ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইতোমধ্যে আঘাত এনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ইতোমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে। এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। তবে দেশটির আবহাওয়বিদরা জানিয়েছেন স্থলভাগে ঢুকে শক্তি হারাতে শুরু করেছে বুলবুল।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে সাগর আইল্যান্ড নামের দ্বীপটিতে ভূমিধ্বস দেখা দেয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ ও সাগরদ্বীপ হয়ে স্থলভাগে ঢুকে পড়ে ঝড়টি। ঝড়ের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত অন্তত দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর, ভেঙে পড়েছে অনেক গাছপালা, উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। নিচু এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
স্থলভাগে ঢোকার সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের মতো। তবে আছড়ে পড়ার সময় কিছুটা শক্তি হারিয়ে ফেরবে এটি। স্থলভাগে ঢোকার পর ইতোমধ্যেই অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় থেকে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে বুলবুল। স্থানীয় আবহাওয়া দফতরের পরিচালক জিসি দাস বলেন, অতি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় মাত্রা থেকে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় মাত্রায় নেমে এসেছে।
ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় পর্যন্ত খেজুরি, নন্দগ্রাম, নয়াচর ও রামনগরে। কলকাতা, হুগলি, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টি চলবে আগামী ২৪ ঘণ্টা। রবিবার দুপুরের মধ্যে বুলবুলের শক্তিক্ষয় হবে। বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরার দিকে যেতে পারে ঝড়টি।