পাঁচ দফায় পর্যায়ক্রমে লকডাউন প্রত্যাহারের কৌশল নির্ধারণ করেছে যুক্তরাজ্য। এর আওতায় প্রথমবারের মতো দেশটির গণপরিবহন ও আবদ্ধ স্থানে মাস্ক পরতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে লকডাউন আরোপ করা হলেও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া অন্যদের মাস্ক পরার কোনও সরকারি নির্দেশনা ছিল না।
তবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের রবিবার রাতের ভাষণের পর লকডাউন থেকে ক্রমান্বয়ে বেরিযে আসার জন্য সরকারের যে ৫০ পৃষ্ঠার কর্মকৌশল সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ফেস মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ড ছাড়া যুক্তরাজ্যের বাকি তিন রাজ্য স্কটল্যান্ড, ওয়েলস আর উত্তর আয়ারল্যান্ড অবশ্য লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বরিস জনসনের পরিকল্পনার সঙ্গে একমত পোষণ করেনি।
এর আগ পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকার দাবি করে আসছিল, জনগণের মধ্যে ভাইরাস ছড়ানো ঠেকাতে মাস্ক সহায়ক বলে কোনও প্রমাণ নেই। তবে এই অবস্থান বিতর্ক সৃষ্টি করে, কারণ অন্য অনেক দেশই মানুষকে ঘরের বাইরে মাস্ক পরতে নির্দেশনা দিচ্ছিল।
ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শ না থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাজ্যে অনেকেই প্রকাশ্যে মাস্ক পরতে দেখা যাচ্ছে।
সরকারের কৌশল অনুসারে, যুক্তরাজ্যে আগামী ১ জুন থেকে স্কুল, ১ জুলাই থেকে ক্যাফে-রেস্টুরেন্টগুলো চালু হতে শুরু করবে। ২০ জুলাই থেকে মসজিদে নামাজ আদায় ও সীমিত পরিসরে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে। ১০ আগস্ট থেকে উঠে যাবে সব বিধিনিষেধ। ১৮ মে থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচটি ধাপে এটি কার্যকর করা হবে।