মিনেসোটায় পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যখন পুরো যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে, তখন প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নিউ ইয়র্ক ও মিয়ামির পুলিশ। শনিবার নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ চলাকালে প্রতিবাদকারীরা হাঁটু গেড়ে বসে নীরবতা পালন করার সময় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। মিয়ামিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ৫০ জনের বেশি লোককে গ্রেফতার করলেও কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাঁটু গেড়ে বসে প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে সংহতি জানান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, নিউ ইয়র্কে পুলিশ কর্মকর্তাদের সংহতি জানানোর ভিডিও ধারণ করেছেন আলিয়া আব্রাহাম। তিনি বলেন, আমি এমনটি প্রত্যাশা করিনি। কখনও এমনটি দেখি নাই।
দ্য ব্ল্যাক রিসোর্স নেটওয়ার্ক নামের সংগঠন পরিচালনাকারী আব্রাহাম নামের তরুণী জানান, তার অ্যাক্টিভিজম জীবনে পুলিশ কর্মকর্তাদের এমন কিছু করার কখনও দেখেননি। তবে এমন সংহতি জানানোই যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, এটি দারুণ ও ভালো লক্ষণ। কিন্তু আমরা যা চাই তা নির্দিষ্ট পদক্ষেপ।
মিয়ামিতে শনিবার রাতে বিক্ষোভ জোরদার হয়েছিল। সেখানে ৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাঁটু গেড়ে বসে সংহতি জানানোর ফলে অনেক প্রতিবাদকারীই অবাক হয়েছেন।
Demonstrators & Police Chiefs from Miami Dade County kneel and say a prayer following the death of #GeorgeFloyd @wsvn #MiamiDade #7News #wsvn @OfficialJoelF pic.twitter.com/TurQB2C36y
— Franklin White (@FranklinWSVN) May 30, 2020
ডব্লিউপিটিভি’র খবরে বলা হয়েছে, মিয়ামি-ডে কাউন্টির পুলিশ প্রধান ফ্লয়েডের মৃত্যুতে হাঁটু গেড়ে বসে প্রার্থনা করেছেন এবং প্রতিবাদকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন।
সংস্থাটির এক মুখপাত্র হুয়ান দিয়াজগ্রান্ডোজ বলেন, এই পেশার নেতৃত্বদানকারী হিসেবে আমরা আমাদের প্রশিক্ষণ ও প্রটোকলের উন্নতির জন্য চেষ্টা করছি যাতে কর সমাজে আস্থা হারিয়ে না যায় বা ছায়ায় ঢাকা পড়ে।
যদিও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের এই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কয়েকটি শহরের সঙ্গে একেবারেই বেমানান। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পোড়ানো, লুটপাট এবং পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ার কথা জানা গেছে।
উল্লেখ্য, মিনিয়াপোলিস পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে টানা ৬ষ্ঠ দিনের মতো রবিবারও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে সক্রিয় করা হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিসহ অন্তত ১৫টি অঙ্গরাজ্যে ।