X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ বিভাগ সংস্কারে ট্রাম্পের সম্মতি

বিদেশ ডেস্ক
১৩ জুন ২০২০, ০৮:৩৮আপডেট : ১৩ জুন ২০২০, ০৮:৪৪
image

কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উত্তাল আন্দোলন চলছে। পুলিশ বিভাগের সংস্কারের দাবি উঠছে বিভিন্ন স্তর থেকে। অবশেষে সেই দাবির স্বীকৃতি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পুলিশ বিভাগের সংস্কারের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছেন। তবে ট্রাম্পের প্রস্তাব বিক্ষোভকারীদের আদৌ খুশি করবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা আছে।


পুলিশ বিভাগ সংস্কারে ট্রাম্পের সম্মতি
বৃহস্পতিবার টেক্সাসের একটি চার্চের অনুষ্ঠানে যোগ দেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, 'পুলিশ বিভাগের সংস্কারের জন্য আরও অর্থ খরচ করা হবে। পুলিশকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে। সমাজের সব শ্রেণির সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক যেন ভালো হয়, সে দিকে নজর দেওয়া হবে।'

ট্রাম্পের দাবি, পুলিশ সমাজ রক্ষা করে, তারা সমাজের বন্ধু। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর বিক্ষোভকারীরা ঠিক এর বিপরীত কথাই বলছিলেন। এমনকি, ডেমোক্র্যাটরাও দাবি তুলেছিলেন পুলিশ বিভাগের খরচ কমানোর। তাদের বক্তব্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ পুলিশ বিভাগে খরচ করা হয়। দেশে পুলিশের সংখ্যাও প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। ফলে পুলিশ বিভাগের বরাদ্দ কমিয়ে তা উন্নয়নের খাতে খরচ করা হোক।

পাশাপাশি পুলিশ বিভাগের আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। অনেকেরই অভিমত, মার্কিন পুলিশের মধ্যে বৈষম্য এখনো প্রকট। শুধু ফ্লয়েডের ঘটনা নয়, এর আগেও পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। সামনে এসেছে ইসলামোফোবিয়াও।

ট্রাম্প অবশ্য গোড়া থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, বিক্ষোভকারীরা ভুল বার্তা দিচ্ছেন। মনে হচ্ছে, কোটি কোটি সাধারণ মার্কিন বর্ণবিদ্বেষী। বাস্তব মোটেই তেমন নয়। একই সঙ্গে এদিন পুলিশ বিভাগের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন তিনি। রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, 'পুলিশ আছে বলেই দেশে শান্তি রয়েছে। সকলে সুরক্ষিত।' একই সঙ্গে মিনেপোলিসসহ দেশের প্রতিটি প্রান্তে বিক্ষোভ ঠেকাতে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড পাঠানোর কথাও ফের জানিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, রাস্তার দখল পুলিশকে নিতেই হবে। তবে শান্তিপূর্ণভাবে।

স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন বিক্ষোভকারীরা। তাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে বর্ণবাদ বজায় আছে যুক্তরাষ্ট্রে। ট্রাম্প তা নিরসনে কোনও ভূমিকাই নেননি। বরং উল্টোটাই প্রতিফলিত হয়েছে। ফলে আপাতত আন্দোলন থামবে না। দেশজুড়ে লাগাতার বিক্ষোভ চলতেই থাকবে। কালোদের জীবনেরও দাম রয়েছে, এটা বুঝতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে।

 

/এফইউ/বিএ/
সম্পর্কিত
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
সর্বশেষ খবর
মারা গেলো গাজায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি
মারা গেলো গাজায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি
বিক্রির জন্য সবজি কিনে ফেরার পথে দুই ব্যবসায়ী নিহত
বিক্রির জন্য সবজি কিনে ফেরার পথে দুই ব্যবসায়ী নিহত
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি