ভারতের অরুণাচল রাজ্যে আধা সামরিক বাহিনী আসাম রাইফেলস এর একটি টহল দলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী তিরাপ জেলায় চালানো এই হামলায় বাহিনীটির এক জওয়ান নিহত হয়েছে। সন্দেহভাজন হামলাকারীদের খোঁজে ওই অঞ্চলে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অরুণাচলের তিন জেলা—তিরাপ, লংডিং এবং চ্যাংলাংয়ে দীর্ঘদিন থেকেই চালু রয়েছে ভারতের বিতর্কিত সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন। এতে নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালানোসহ ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে।
এসব অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষিত বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। আসাম ও নাগাল্যান্ডে সক্রিয় এসব গোষ্ঠীর কোনও কোনোটির আস্তানা রয়েছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে। যেখান থেকে বেরিয়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা শেষে তারা আবার ফেরত যায়। এ মাসের শুরুতে চ্যাংলাং জেলায় আরও একবার হামলার শিকার হয় আসাম রাইফেলস-এর সদস্যরা। জেলার টেংমো গ্রামে টহল দলের ওপর হামলা চালানো হয়।
মঙ্গলবার আসাম রাইফেলসের একটি পানিবাহী গাড়ির ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তারপরে গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়। এই ঘটনায় এক জওয়ান নিহত ও অপর একজন আহত হয়।
গত ১১ জুলাই অরুণাচলের লংডিং জেলায় নাগা আন্ডারগ্রাউন্ড গ্রুপ এনএসসিএন-এর ছয় সন্দেহভাজন সদস্যকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া গত বছর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় তৎকালীন এক আইনপ্রণেতাসহ দশ জন আহত হয়।