কঠিন শর্তের বেড়াজালে পড়ছে ব্রিটেনে বাংলাদেশিসহ অন্য দেশ থেকে স্বামী বা স্ত্রী আনার সুযোগ। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেছেন, স্পাউস ভিসার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নুন্যতম বার্ষিক আয়সীমা ১৮ হাজার ৬০০ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১২ সালে। কিন্তু গত ১১ বছরে ব্রিটেনে ব্যায় ও মুদ্রাস্ফীতি কয়েক দফায় বাড়লেও নুন্যতম আয়সীমা বাড়ানো হয়নি।
সুয়েলা ব্রেভারম্যাতনের পরিকল্পনায় শর্টেজ ওকুপেশন তালিকার শুন্যপদের বিদেশি কর্মীদের আনার ক্ষেত্রেও কর্মীদের সর্বনিম্ন বেতনসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। এ প্রস্তাব গত অক্টোবরে সংসদে উত্থাপিত হওয়ার কথা থাকলেও বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর ইস্যুটি নিয়ে আরও আলোচনা হয়নি।
ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে অভিবাসন কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমাবেন, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
এদিকে ব্রিটেন সীমান্ত হয়ে নৌপথে আসা অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে নানা পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। ২০২২ সালে ৪৫ হাজার মানুষ বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই সীমান্ত পথে ব্রিটেনে প্রবেশ করেন। যা দেশটির সরকারকে চিন্তায় ফেলেছে।
গত জুনে ব্রিটেনে নেট মাইগ্রেওশনের হার অতীতের রেকর্ড ভেঙ্গে ৫ লাখ ৪০ হাজারে পৌঁছেছে। ইউরোপ থেকে বের হওয়ার পরই করোনা ও ব্রেক্সিটের ধাক্কায় অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ব্রিটেন।