তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে। মাঠ পর্যায়ে কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আজ ৫ জানুয়ারি তথ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সিরডাপ মিলনায়তনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একদিকে সরকার তামাক কোম্পানি থেকে কর নিচ্ছে, আবার তামাক নিয়ন্ত্রণের কথা বলছে। যা জটিল বিষয়। সরকার জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যই আইন প্রণয়ন করেছে। তা কার্যকর করার দায়িত্বও সরকারের। এজন্য আইন বাস্তবায়নে সর্বদা তদারকি করতে হবে। তদারকি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর এভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সফল হওয়া যাবে। এজন্য তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পারিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান ।
কর্মশালা আয়োজনে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল বাংলাদেশ (ইসি বাংলাদেশ) এবং ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স (সিটিএফকে)। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য) রোকসানা কাদের।
বাংলাদেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার সাম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়ক ফারহানা হক অভি এবং প্রজ্ঞার সমন্বয়ক হাসান শাহরিয়ার।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মরতুজা আহমেদ বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারণা বন্ধে তথ্য মন্ত্রণালয় এবং গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
/জেএ/এফএ/