নাটোরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঈদুল আজহার ষষ্ঠ দিনেও বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও তাদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন আয়োজকরা। উত্তরা গণভবন, ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত নলডাঙ্গা উপজেলার হালতিবিল, সিংড়া উপজেলার চলনবিল, নাটোর শিশু পার্ক, গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা, বাগাতিপাড়া উপজেলার গ্রিনভ্যালি পার্ক ও নাটোর রাজবাড়িতে ভ্রমণপ্রেমীরা ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন।
পাটুল বাজারের সেতুর আগে থেকে হালতিবিল পর্যন্ত মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। বিলে নৌকা ভাড়া করে দারুণ সময় কেটেছে তাদের। পাটুল বাজার থেকে শুরু করে হালতিবিল পর্যন্ত বসেছে শিশুদের খেলনা থেকে শুরু করে নানান মুখরোচক খাবারের দোকান। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত আছে পুলিশ বাহিনী।
সিংড়ার চলনবিল স্পট, গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা, নাটোর রাজবাড়ি আর লালপুরের গ্রিনভ্যালি পার্কেও ভ্রমণপ্রেমীরা ঈদ উদযাপন করেছেন। গ্রিনভ্যালি পার্কে দায়িত্বরত রায়হান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঈদের দিন থেকেই শত শত দর্শনার্থী পার্কে এসেছে। সকাল ১০টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে ভিড়।
গ্রিনভ্যালি পার্ক দেখে খুশি সপরিবারে আসা মাসৌরা বেগম কাকলী। পার্কে বেড়ানো সদর উপজেলার দীঘাপতিয়া এলাকার শিশু কনক জানায়, গ্রিনভ্যালি পার্কে এসে তার ভালো লেগেছে। ট্রেন, নাগরদোলা, পাহাড় ও ইঞ্জিনবোটে উঠেছে সে। ভেতরের সেতুতে ছবিও তুলেছে।
সিংড়া উপজেলা থেকে মা-বাবার সঙ্গে গণভবন দেখতে এসেছে শিশু কুমকুম। এখানকার মিনি চিড়িয়াখানা, সংগ্রহশালা ও লেক দেখে তার ভালো লেগেছে। একই স্থানে বেড়াতে আসেন রাজশাহীর বাসিন্দা মুকুল।
নাটোরের এনডিসি জিয়াউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঈদের দিন থেকে উত্তরা গণভবনে দর্শনার্থীরা ভিড় করেছে। সেদিন দুপুর ২টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ওইদিন আয় হয় ২৮ হাজার টাকা। এর পরদিন টিকিট বিক্রি থেকে এসেছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঈদের পঞ্চম দিনে আয় হয়েছে ৫১ হাজার টাকা। শনিবার সকাল থেকেও বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল।
শনিবার দুপুরে উত্তরা গণভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা মোটরসাইকেল, অটোচার্জার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি নিয়ে গণভবনে হাজির হচ্ছেন। টিকিট কাউন্টারে লক্ষ্য করা গেছে তাদের লাইন।
দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত লোকবল নেই গণভবনে বলে জানান এনডিসি জিয়াউর রহমান। এ কারণে তাদের খুব হিমশিম খেতে হচ্ছে।