গোপালগঞ্জ জেলায় রয়েছে অসংখ্য বিল। এর মধ্যে অন্যতম সদর উপজেলার বলাকইড় বিল। এটি জেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। ১৯৮৮ সালের বন্যার পর থেকে বর্ষাকালে এতে প্রাকৃতিকভাবে পদ্মফুল জন্মে। এখন এটি পদ্মবিল নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
বলাকইড় বিলের দিকে দূর থেকে তাকালে মনে হবে যেন ফুলের বিছানা পেতে রাখা! চোখ যতদূর যায় শুধু পদ্ম আর পদ্ম। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গোলাপি ও সাদা রঙের পদ্ম দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। পদ্মকে বলা হয় জলজ ফুলের রানী। প্রতিদিনই এমন অপরূপ দৃশ্য দেখতে বন্ধু ও পরিবার নিয়ে ভিড় করে দর্শনার্থীরা। নৌকায় ঘুরে বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন তারা।
বিল থেকে পদ্মফুল তুলে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে স্থানীয় শত শত দরিদ্র পরিবার। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজায় পদ্মফুলের চাহিদা থাকায় ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজারে বেচাকেনা চলে। শহরে একেকটি ফুল ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়া এই বিলের পদ্মফুল ঢাকা, খুলনা, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে পাইকাররা। এর মাধ্যমে স্থানীয়দের আয়ের পথ তৈরি হয়েছে।
বলাকইড় বিল ও পদ্ম দেখতে ঢাকা থেকে এসেছেন ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম। তার কথায়, ‘করোনার কারণে কয়েকমাস গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। অনেকদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে বলাকইড় বিলে এসেছি। এখানে পদ্মফুলের সৌন্দর্য দেখে মন ভরে গেলো।’
বিলের সৌন্দর্য দেখে আরও বেশ কয়েকজন ভ্রমণপ্রেমী মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তাদের মন্তব্য, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এই এলাকা রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে গড়ে উঠবে। একইসঙ্গে পর্যটনের সম্ভাবনা দেখে দেবে।’