X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

যে গ্রামের সবাই খালি পায়ে থাকে

সাদ তারেক
২৯ আগস্ট ২০১৯, ১৬:১৭আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০১৯, ১৬:১৭

ভিলাগাবি গ্রামে যাওয়ার ট্রেকিংয়ের পথ ভারতের মতো এত বৈচিত্র্য পৃথিবীর আর কোনও দেশে সম্ভবত নেই। জাতি, ধর্ম, বর্ণের পার্থক্যে অদ্ভুত কত সংস্কৃতি যে দেশটিতে আছে, সেই হিসাব দেওয়া কঠিন! তেমনই এক গ্রাম ভিলাগাবি। তামিলনাড়ুর জঙ্গলের ভেতর অবস্থিত এই গ্রামের সবাই খালি পায়ে থাকেন। অদ্ভুত লাগছে? তবে এর পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে।

তামিলনাড়ু রাজ্যের এক জঙ্গলের ছোট্ট পল্লী ভিলাগাবি। ১০০ পরিবারের গ্রামটি এখনও সেভাবে ভ্রমণপিপাসুদের নজরে আসেনি। পাশের কোদাইকানালে পর্যটকের ভিড় থাকলেও ভিলাগাবির বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য আড়ালেই পড়ে আছে। তবে এখানকার সব মানুষের খালি পায়ে থাকার গল্প শোনার পর ধীরে ধীরে ভ্রমণপ্রেমীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।

ভিলাগাবিতে যাওয়ার কোনও পথ নেই। ট্রেক করেই যেতে হয় সেখানে। ট্রেকারদের জন্য জায়গাটি স্বর্গ বলা চলে! তবে নরম মন নিয়ে এই দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়া কঠিন। রোমাঞ্চকর ভ্রমণ শেষে গ্রামে পৌঁছানোর পর চোখ ছানাবড়া হয়ে যেতে পারে! কারণ সেখানে ঘরের চেয়ে মন্দিরের সংখ্যা বেশি। মূলত এজন্যই গ্রামের মানুষ জুতা পায়ে রাখেন না।

ভিলাগাবি গ্রামের মন্দির ৩০০ বছরের পুরনো এই গ্রামের বাসিন্দারা যুগের পর যুগ খালি পায়ে চলাফেরা করছেন। গ্রামে ঢোকার মুখেই বোর্ডে স্পষ্ট লেখা আছে– ‘অনুগ্রহপূর্বক পায়ের জুতা খুলুন।’ গ্রামের ভেতর একটু পরপরই মন্দির থাকায় তারা কেউ পায়ে কিছু পরেন না। আরামে চলার চেয়ে ঈশ্বরের প্রতি সম্মান দেখানোকে গুরুত্ব দেন তারা।

গ্রামবাসীর বিশ্বাস, ঈশ্বর ও দেবতারা তাদের সঙ্গেই বাস করেন। যেহেতু মন্দিরের ভেতর জুতা পরে প্রবেশ করা যায় না, তাই এই গ্রামে পায়ে কিছু রাখা নিষেধ। ঠিক কত বছর আগে থেকে এই প্রথা চালু হয়েছে সেই ব্যাপারে অবশ্য কারও কোনও ধারণা নেই।

গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়বে মন্দির। তার অভ্যর্থনা পেয়ে ভেতরে একে একে পাওয়া যায় ২৫টি মন্দির। বাড়িগুলোর ফাঁকে ফাঁকে থাকা মন্দির আছে গ্রামের শেষ মাথা পর্যন্ত। তবে মন্দিরকে পূজা করলেও এই গ্রামের লোকজনের দুঃখ-কষ্টের শেষ নেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা গ্রামটি সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

ভিলাগাবি গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যাতায়াতের কোনও রাস্তা নেই, নেই হাসপাতাল কিংবা স্কুল। একটা মাত্র চায়ের দোকান, এর সঙ্গে লাগোয়া ছোট্ট একটি মুদি দোকান। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য গ্রামের বাসিন্দাদের ছুটে যেতে হয় কোদাইকানালে। সেই জায়গায় যাওয়াও তাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের। কারণ যাওয়ার পথ খুবই সরু। এরপরও ভিলাগাবির মানুষজন খুব খুশি। অতিথিদের তারা স্বাগত জানান চওড়া হাসিতে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে লরি চাপায় মৃত্যু বেড়ে তিন
চট্টগ্রামে লরি চাপায় মৃত্যু বেড়ে তিন
রাজধানীতে রিকশাচালকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে রিকশাচালকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, স্বামীর লাশ উদ্ধার
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, স্বামীর লাশ উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে
গরমে সুস্থ থাকতে কোন কোন পানীয় খাবেন? ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় কখন জরুরি?
গরমে সুস্থ থাকতে কোন কোন পানীয় খাবেন? ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় কখন জরুরি?