আমরা যেভাবে জঙ্গিদের গ্রেফতার করি, পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই, বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। রবিবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সদর দফতরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মতবিনিময় সভায় আইজিপি বলেন, ‘জঙ্গি দমনে ক্রাইম রিপোর্টারদের সহযোগিতা পেয়েছি, আগামীতেও সহযোগিতা চাই। জঙ্গি দমন অভিযান অব্যাহত আছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মিডিয়া সবসময় পুলিশের পাশেই আছে।’ পুলিশ ও সাংবাদিক মিলে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ‘আমরা যেভাবে জঙ্গিদের জীবিত গ্রেফতার করেছি, বিশ্বের কোথাও এমন নজির নেই। জঙ্গিদের কাছে বোমা থাকে, বিধংসী অস্ত্র থাকে; সে ক্ষেত্রে তাদের গ্রেফতারের সুযোগই নেই। এরপরও কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের নেতারা বিবৃতি দেয়, কথা বলে, প্রশ্ন তোলে, যা জঙ্গিদের পক্ষে যায়। কিন্তু জঙ্গি অভিযানে যখন পুলিশ মারা যায় তখন তারা কিন্তু কোনও বিবৃতি বা কথা বলে না।’
পুলিশ ও সাংবাদিকদের পেশাগত সেতুবন্ধন আরও দৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আইজিপি বলেন, ‘পেশাগত সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য পারস্পারিক সমঝোতা থাকা দরকার। মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় না। পুলিশ-সাংবাদিক পরস্পরের পেশাগত লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। উভয়েই জনগণের স্বার্থে দেশের জন্য কাজ করে থাকে।’ এসময় তিনি জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় ক্র্যাব সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসের বিপক্ষে, আমরা মাদক ও জঙ্গিবাদের বিপক্ষে। অন্যায় ও দুর্নীতি রুখতে আমরা পুলিশকে সহযোগিতা করে আসছি এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করবো।’ পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে পারস্পারিক পেশাগত বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম বলেন, ‘পুলিশ যেভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে, তাতে ক্রাইম রিপোর্টাররা সব ধরনের সহায়তা করছে। ক্র্যাবও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশের সহযোগিতা পেলে সেসব পদক্ষেপকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।’
/এআরআর/এমও/