X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

আমিনবাজারে ৬ ছাত্র হত্যা মামলা: তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা ২৩ জুলাই

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ জুলাই ২০১৯, ১৬:৪৭আপডেট : ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৬:৪৯

আমিনবাজারে ৬ ছাত্র হত্যা মামলা: তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা ২৩ জুলাই সাভার আমিনবাজারের ৬ ছাত্র হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা  অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল হককে আংশিক  জেরা করা হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) এ পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আংশিক জেরা করার পর পরবর্তী জেরার জন্য  আগামী  ২৩  জুলাই দিন ধার্য করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুন্নাহার। সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস এই তথ্য জানান।

পিপি বলেন, মামলাটিতে মোট ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৩ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

এর আগে গত ১২ জুন এ তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আংশিক জেরা করেন। এরপর সোমবার  দ্বিতীয় দিনও আংশিক জেরা করা হলো।

২০১১ সালের ১৭ জুলাই (শবে বরাত) রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলাচরে ঘুরতে যান সাত ছাত্র। ওই সময় ডাকাত সন্দেহে ছয়ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর ডাকাতির অভিযোগে আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। ওই সময় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

নিহতরা ছাত্ররা হলেন, ধানমন্ডি  ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত। ওই ঘটনায় নিহতদের বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও বেঁচে যান ।

এরপর ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি তদন্ত শেষে র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা নিরীহ ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে জখম করে। পরবর্তী সময়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মসজিদের মাইকে সবাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দেয় এবং থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাদের হত্যা করা হয়।

এরপর হত্যা মামলাটি ২০১৩ সালের ৮ জুলাই আদালত ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ( চার্জ) গঠন  মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন।

/টিএইচ/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা