ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে নরজদারিতে রেখেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। এছাড়া আরও দুজন নজরদারিতে রয়েছে। যেকোনও সময় তারা গ্রেফতার হবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে র্যাব তাদের শনাক্ত করে। তবে নজরদারিতে থাকায় গ্রেফতারের আগে তাদের পুরো পরিচয় প্রকাশ করছে না র্যাব।
এ বিষয়ে র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা তিন জনকে শনাক্ত করেছি। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ তিনি বলেন, ‘বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালের মধ্যে যেকোনও সময় তারা গ্রেফতার হবে। তবে এই মুহূর্তে তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’
র্যাবের একটি সূত্র জানায়, যে তিন জন নজরদারিতে রয়েছে, তাদের মধ্যে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। সে-ই প্রধান ক্রিমিনাল।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।