জমানো টাকা ফেরত চাওয়ায় দেবরের পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলায় গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার সুমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) আদালতে থানার সাধারণ নিবন্ধন জিআর শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক অমোল কৃষ্ণ দে ১৪ জনকে সাক্ষী করে চার্জশিটটি দাখিল করেন। চার্জশিট গ্রহণের জন্য আগামী ২৮ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মামলার বাদীর ছোট ভাই ভুক্তভোগী সামিউল স্টিলের প্লেনসিটের দোকানে চাকরি করেন। বেতনের টাকা তিনি তার ভাবি ফাতেমার কাছে জমা রাখতেন। গত ৯ নভেম্বর সামিউল কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে কাজের উদ্দেশে বের হলে আসামি ফাতেমা তাকে ফোন দিয়ে জানায়, সে বঙ্গবাজার কেনাকাটা করে পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যাবে। সেখানে ভুক্তভোগী সামিউলকে তার জমানো টাকা দেবে।
এরপর ভুক্তভোগী সামিউল সেই টাকা নেওয়ার জন্য পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যান। তখন আসামি তাকে বলেন, রাস্তায় বসে তো পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া ঠিক হবে না। এরপর ভুক্তভোগী সামিউলকে আসামি ফাতেমা পীর ইয়ামেনি মার্কেট সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। এসময় ভুক্তভোগী সামিউলকে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুরুষাঙ্গের মাথা কেটে ফেলেন। এতে সামিউল চেতনা ফিরে দেখতে পান তার পুরা শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। তখন ফাতেমা ভুক্তভোগী সামিউলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পুরুষাঙ্গ কাটা অংশ দেখিয়ে বলেন, বিয়ে করবি, তোর বিয়ের স্বাদ মিটিয়ে দিয়েছি। এসময় ভুক্তভোগী সামিউলকে বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকিও দেন আসামি ফাতেমা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এরপর ফাতেমা তার অজ্ঞাত দুই থেকে তিন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে সামিউলকে সিএনজিতে করে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা না হওয়ায় তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসা না হওয়ায় সর্বশেষ আল মানার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।