কর্মক্ষেত্রে আত্নবিশ্বাসী হওয়া জরুরি। নাহলে যেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে কর্মজীবনে, তেমনি যেকোনো সময় বেকায়দায় পড়ে হতে পারেন হেনস্তা। অচেনা পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া কিছুটা ঝক্কির হলেও অসম্ভব নয়। জীবনের প্রথম চাকরি করতে ঢুকে তাই অথৈ জলে প়ড়ে গেলে চলবে না। এতে কাজে ভুল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। নিখুঁত কাজ করার জন্য দক্ষতার পাশাপাশি চাই আত্মবিশ্বাসও। আত্মবিশ্বাস থাকলে অনেক কঠিন পরিস্থিতিও সামলে নেওয়া যায়।
কাজের জায়গায়, সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতনদের সামনে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন?
১। নিজেকে সবসময় বড় মনে করবেন না বা নিজেকে নিয়ে জাহির করবেন না। নিজের বিষয়ে অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিন। এতে বাকিরাও আপনার সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার করবেন। অন্যদের সমালোচনাকে গঠনমূলক কাজে লাগান। নিজেই উপকৃত হবেন। তবে কারোর আচরণ আত্নসম্মানে আঘাত করলে অবশ্যই সেটার প্রতিবাদ করুন।
২। আত্মপ্রত্যাশা যেন বাস্তমসম্মত হয়। আত্মবিশ্বাসের অনেকটা জুড়ে রয়েছে আত্মমূল্যায়ন। যে ভাবনা নিয়ে এগোবেন আর কাজের জায়গা বা পরিপার্শ্ব যেভাবে মূল্যায়ন করবে, তার মধ্যে বারবার সামঞ্জস্যের বড়সড় ঘাটতি তৈরি হলে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়। তাই আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে পরিকল্পনা সঠিক হওয়া জরুরি।
৩। নিজের সম্পর্কে অতিরঞ্জিত করে কিছু বলবেন না। নিজের ভালো দিকগুলো কর্মক্ষেত্রে সকলের সামনে তুলে ধরুন। নিজের বিষয়ে নেতিবাচক কথা বললে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যেতে পারে
৪। প্রস্তুতির অভাব আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। প্রস্তুতি না থাকলে কোনও কাজই দক্ষতার সঙ্গে করা সম্ভব নয়। কাজের মান ভালো না হলে নিজের মধ্যেও উদ্বেগ কাজ করে। উদ্বেগ ধীরে ধীরে অবসাদে পরিণত হতে পারে। অবসাদ আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে।
৫। সমালোচনা করুন, তবে তা যেন গঠনমূলক হয়। সমালোচনা করার সময় কাজের ভালোমন্দ যেন মুখ্য হয়ে ওঠে, ব্যক্তিগত কোনও ইগোকে সেখানে প্রাধান্য দেবেন না।
৬। কাজে কোনও ভুল হলে সেটাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। ভুল স্বীকার করুন এবং পরবর্তীতে সাবধানতার সঙ্গে কাজ করবেন সেটা বলুন। মনে রাখবেন, কোনও মানুষই ভুলের উর্ধে নয়।
৭। সহকর্মীদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সমালোচনা করবেন না। এটা আপনার ব্যক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।