আজ ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫৩৭ মিলিয়ন মানুষের ডায়াবেটিস রয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটি ৬৪৩ মিলিয়নে বাড়তে পারে। ডায়াবেটিস হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণে আনার চাইতে হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা ভালো। আজকাল অনেক কম বয়সেই ডায়াবেটিস হয়ে যাচ্ছে আমাদের। এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে অনিয়মিত জীবনযাপন। আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস এবং অসচেতনতা রোগটির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। জেনে নিন কোন কোন কারণে বেড়ে যায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
- অত্যধিক চিনিযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, উচ্চমাত্রায় চিনি খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ডায়াবেটিসের ঝুঁকির অন্যতম প্রধান কারণ। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে।
- জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশনে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, ডায়াবেটিসের বংশগত দিকটির উপর জোর না দেওয়া ডায়াবেটিসের জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেয়। পারিবারিক ইতিহাস আছে এমন ব্যক্তিদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে এটি ভুলে গেলে চলবে না।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার অভ্যাস না থাকলে জটিলতা আরও বাড়ে ডায়াবেটিসের। ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন বলছে, ডায়াবেটিসের প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং ব্যবস্থাপনা উল্লেখযোগ্যভাবে এর জটিলতা হ্রাস করে।
- দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টকে ডায়াবেটিস প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে উল্লেখ করেছে।
- পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ইনসুলিন সংবেদনশীলতা ব্যাহত করতে পারে। ডায়াবেটিস কেয়ারের একটি গবেষণায় অপর্যাপ্ত ঘুমের সঙ্গে ডায়াবেটিসের ঝুঁকির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।