প্রোটিন, ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাট সমৃদ্ধ ডিম যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তেমনি চুলের যত্নেও এর জুড়ি মেলা ভার। চুল শক্তিশালী করে ডিমের মাস্ক। এছাড়া বৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি চুল ঝলমলে করতেও জুড়ি নেই ডিমের হেয়ার মাস্কের।
ডিমে পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে যা চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। ডিমের প্রোটিন চুলের ভেঙে যাওয়া রোধ করে চুলকে শক্তিশালী করে। এতে বাড়ে চুলের বৃদ্ধিও। ডিমে থাকা ভিটামিন এ এবং ই মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কুসুমে থাকা অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড চুল ময়শ্চারাইজড এবং ঝলমলে রাখে।
যেভাবে হেয়ার মাস্ক তৈরি করবেন
ডিমের মাস্ক তৈরির জন্য একটি বা দুটি ডিম ভেঙে নিন। ডিমের পরিমাণ নির্ভর করে চুল কত লম্বা এবং ঘন সেটার উপর। ডিম ভালো করে ফেটিয়ে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল মেশান। এই তেলগুলো ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা চুলের পুষ্টি জোগায় এবং কন্ডিশন করতে সাহায্য করে। এই মাস্কে ১ টেবিল চামচ মধু যোগ করতে পারেন। মধু চুলকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা প্রদান করবে। মধুর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে।
শুষ্ক চুলে অতিরিক্ত আর্দ্রতা জোগাতে ২ টেবিল চামচ দই যোগ করতে পারেন মাস্কে। দইয়ে প্রোটিন এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে, যা মাথার ত্বককে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
তৈলাক্ত চুল হলে ডিমের প্যাকে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবুর রসের বিভিন্ন উপকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তেল উত্পাদনকে স্বাভাবিক ও ভারসাম্যপূর্ণ করে। এই মিশ্রণে ২ টেবিল চামচ ঠান্ডা গ্রিন টিও যোগ করতে পারেন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুলের জন্য উপকারী। নিস্তেজ চুলের জন্য মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা রোজমেরি, ল্যাভেন্ডার বা পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন। এসব তেল মাথার ত্বককে সতেজ করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। সেই সঙ্গে ডিমের গন্ধও দূর করে অনেকাংশে। চুল পড়ার সমস্যা থাকলে ২ টেবিল চামচ মেথি দানা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর ডিমের সাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন ডিমের হেয়ার প্যাক
ডিমের এই মাস্ক ভেজা চুলে লাগাতে পারেন, আবার শুকনা চুলেও লাগাতে পারন। গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন। মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এটি মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে। ফলে নতুন চুল গজায়। ভালো করে লাগানো শেষ হলে চুলে একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ২০ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে পুরোপুরি পরিষ্কার করে ফেলুন চুল। শ্যাম্পু শেষে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।