মানুষ একা চলতে পারে না। জীবনের নানা পর্যায়ে আমাদের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়, তাদেরকে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। তবে কিছু মানুষ স্বভাবগতভাবেই হয় টক্সিক। এ ধরনের মানুষকে জীবনে রাখলে তারা নষ্ট করে দিতে পারে আপনার মানসিক শান্তি ও স্বস্তি। এদেরকে জীবনে না রাখাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। জেনে নিন মানসিক শান্তি বজায় রাখতে চাইলে কোন ধরনের মানুষ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন।
- কিছু মানুষ আছে যারা আপনার দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে তাদের নিজেনের স্বার্থ হাসিল করে নেয়। এটি করার জন্য আপনার ইমোশনালকেও ব্যবহার করে। তারা সবসময় নিজেদেরকেই প্রাধান্য দেয় এবং অন্যের দুর্বলতাকে পুঁজি করে। এদের অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন।
- কেউ কেউ আছে যারা সবসময় সমালোচনা করতে থাকে। ভালো কাজের প্রশংসার বদলে এরা সবসময় খুঁত ধরতেই ব্যস্ত। তাদের এই নেতিবাচক মনোভাবের কারণে সকল উদ্দীপনা নষ্ট হয়ে যায় অন্যদের। এই ধরনের মানুষকে জীবনে স্থান দেবেন না।
- নার্সিসিস্ট ব্যক্তিকে নিজের আশেপাশে রাখবেন না। আত্নপ্রেমী মানুষ নিজের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয় সবসময়। তারা নিজেদের সাফল্যের জন্য অন্যদের বিপদে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করে না।
- কেউ কেউ আছে যারা সবসময় প্রতারিত ব্যক্তি সাজে বা ভিক্টিম রোল প্লে করে। এই ধরনের মানুষ আপনার জন্য ক্ষতিকর। এরা সবসময় অন্যের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু নিজে অন্যদের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করে না।
- যারা গ্যাস লাইটিং করে, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই শ্রেয়। এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক ম্যানিপুলেশন বলা হয় গ্যাস লাইটিংকে। অন্য পক্ষের নিয়ন্ত্রণের কারণে নিজের বাস্তব ভাবনার উপর নিজেরই সন্দেহ তৈরি হয় এতে। অন্য ব্যক্তির উপর ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়।
- যদি বুঝতে পারেন কেউ আপনার কপট বন্ধু সাজার অভিনয় করছে, তবে দ্রুত তাকে বিদায় জানান। তারা আপনার কাছে ভালো সাজলেও আদতে আপনার ভালো চায় না।
- যারা নেতিবাচক মানসিকতার, তাদেরকে নিজের আশেপাশে রাখবেন না। তারা আপনার মানসিক শান্তি নস্তের কারণ হতে পারে।
- কেউ কেউ আছে সবসময় অন্যের সমালোচনায় মত্ত থাকে। আপনার কাছে এসেও অন্যের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বা সমালোচনা করে। তাদেরকে সচেতনভাবে এড়িয়ে চলুন। কারণ তারা অবশ্যই অন্যের কাছে গিয়েও আপনার সমালোচনা করে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া