হার্ট অ্যাটাকের কারণে হওয়া বুকের ব্যথাকে অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে ভুল করেন। অনেক ক্ষেত্রেই এর ফলাফল হয় ভয়াবহ। হার্ট অ্যাটাক এক ধরনের মেডিক্যাল ইমারজেন্সি, তাই সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা খুবই জরুরি। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি থেকে যায়। হার্ট অ্যাাটাকের কোন কোন লক্ষণ অবহেলা করবেন না জেনে নিন। এই লক্ষণগুলো আগেভাগে চিহ্নিত করতে পারলে হার্ট অ্যাটাকের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
- বুক ব্যথাকে কোনও অবস্থাতেই অবহেলা করা যাবে না। গবেষণা বলছে, হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের প্রায় ৪০ শতাংশ অনেক আগে থেকে এবং ৬৮ শতাংশের কিছুদিন আগে থেকে হালকা ব্যথা ছিল বুকে। ফলে বুক ব্যথা হলে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- ব্লকড হার্ট ধমনীর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো বুকে ব্যথা বা টান অনুভব করা। শারীরিক কার্যকলাপের সময় আপনি এই অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন, যেমন- হাঁটা বা ব্যায়াম করার সময়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যথা বিশ্রামের সময়েও হতে পারে। যদি ব্যথা তীব্র হয় বা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করতে হবে।
- বুক ধড়ফড় করার মতো লক্ষণ থাকলে সচেতন হওয়া জরুরি। হৃৎপিণ্ডের রক্তনালি সরু হতে থাকলে তার স্বাভাবিক ছন্দের পতন ঘটতে পারে। পুরো দেহে রক্তসঞ্চালনের কাজটা করার জন্য অতিরিক্ত দ্রুততার সঙ্গে স্পন্দিত হতে পারে হৃৎপিণ্ড। এতে বুক ধড়ফড় করার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এর অর্থ কার্যকরভাবে রক্ত পাম্প করার জন্য লড়াই করছে হৃদযন্ত্র।
- ভারী কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে যাওয়াটাও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। রক্তনালি সরু হয়ে যাওয়ার কারণে রক্তপ্রবাহ কমে যায়, তখন শরীরকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যার ফলে সামান্য কোনও কাজ করলেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্ত লাগে।
- কোনও কারণ ছাড়াই প্রচুর ঘাম হওয়া বা ঠান্ডা এবং আর্দ্রবোধ করা হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। হৃদযন্ত্রে রক্ত প্রবাহ বন্ধ থাকলে এটি ঘটতে পারে।
- যদি অল্পতেই ক্লান্তিতে সারা শরীর ছেয়ে আসে তবে সতর্ক হয়ে যান হৃৎপিণ্ডের ব্যাপারে। কারণ অনেক হার্ট অ্যাটাকের রোগীর শুরুর দিকে এ রকম ক্লান্তিবোধ হয়।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ওয়েবএমডি