ঈদের সময় বাসায় যেমন রান্নার হরেক আয়োজন থাকে, তেমনি বন্ধু বা আত্মীয়দের বাসায় গেলেও বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতেই হয়। পোলাও, বিরিয়ানি, মিষ্টি খাবার খাওয়া হয় ঈদের কয়েক দিন জুড়েই। হঠাৎ রোজা ভাঙার পর ভারী খাবার খাওয়া বা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার কারণে এ সময়টায় গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের অস্বস্তি কমাতে কী করবেন? জেনে নিন সেটাই।
- দই অথবা টক দই খান। এতে আছে প্রোবায়োটিক উপাদান যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও গ্যাস কমিয়ে রাখে।
- ভারী খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাবেন না। এতে খাবার হজমের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।
- বেশি খাওয়া হয়ে গেলে হালকা ব্যায়াম কিংবা কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এতে হজম যেমন দ্রুত হবে, তেমনি রক্তে শর্করার পরিমাণও কমবে। কিছুক্ষণ সাইকেল চালাতে পারেন। তবে ভরপেটে ভারী ব্যায়াম করবেন না।। এতে উল্টো হজমের গতি কমে যেতে পারে।
- আদা চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এছাড়া আদার সঙ্গে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। আদা কুচি করে পানিতে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখুন কিছুক্ষণ। এরপর মধু মিশিয়ে খান।
- খাবার থেকে সৃষ্টি হওয়া বর্জ্য শরীর থেকে বের করতে প্রচুর পানি পান করুন। পানি বিপাক প্রক্রিয়া ঠিক রাখে ও শরীর সুস্থ রাখে। এক্ষেত্রে ডাবের পানি ও পানিপূর্ণ ফলও খাবারের তালিকায় রাখুন।
- অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে খাওয়ার ৩০-৩৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি পান করুন। বিশেষজ্ঞদের বলছেন, কুসুম গরম পানি খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে।
- ঈদের সময়ে বাড়তি খাওয়া যদি হয়েই যায়, তবে চেষ্টা করুন পরবর্তী খাবারের সঙ্গে ব্যালেন্স করে নিতে। স্যুপ বা সহজপাচ্য খাবার রাখুন পাতে।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে কয়েকটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খান। ৪-৫টি তুলসী পাতা এক কাপ পানিতে ফেলে ফুটিয়ে পান করলেও আরাম মিলবে।
- কোল্ড ড্রিংক ও বাড়তি চা-কফি বাড়িয়ে দিতে পারে গাস্ট্রিকের সমস্যা। এগুলো তাই এড়িয়ে চলুন কিংবা পরিমিত খান।
- খাবার বেশি খাওয়ার পর যদি হাঁসফাস লাগে, তবে লেবু পানি হতে পারে আদর্শ। খাবারের তেলজাতীয় উপাদানগুলোকে শরীর থেকে বের করে দিতে এর জুড়ি নেই।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, ওয়েবএমডি