“পুরো পৃথিবী একদিকে আর আমি অন্যদিক,
সবাই বলে করেছো ভুল আর তোরা বলিস ঠিক...”
লাইন দুটো নিশ্চয়ই খুব পরিচিত? অথবা বন্ধুকে নিয়ে অন্য কোনো গান, কবিতা বা গল্পের কিছু মনে পড়ছে? এই যদি হয় সম্পর্কের জোর তবে আজ বন্ধু দিবসের মতো বিশেষ দিনে বন্ধুকে একটা ধন্যবাদ কিন্তু দিতেই হবে! ধন্যবাদ দেয়ার জন্য উপহার একটি অতি প্রাচীন, বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে সেই প্রথম কবে থেকে তা আমাদের জানা না থাকলেও বন্ধুকে এবার কী কী দিয়ে চমকে দেওয়া যেতে পারে তা ভাবতে আপনাকে একটু সাহায্য করছি আমরা বাংলা ট্রিবিউন পরিবার।
কেক
বন্ধুকে চমকে দিতে পারেন মজার কোনও থিমে কেক বানিয়ে। সে সময় যদি হাতে একেবারেই না থাকে তাহলে নাহয় দোকানের কেকই দিন। কেকের ওপর লিখতে পারেন মজার কিছু। নিজেদের ব্যবহার করা দুটো লাইন, কোনও নাম বা এমন কিছু যা দেখে বন্ধু হাসবে একান-ওকান।
কার্ড
স্কুলের পর পেইন্টিং এর অভ্যাস কেটে গেছে অনেকেরই। এক সময় নিজের হাতে কার্ড তৈরি করে বন্ধুদের উইশ করার ব্যাপারটি যেমন প্রচলিত ছিল তেমন ছিল আকর্ষণীয়ও। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আধুনিক এই কর্মব্যস্ততার যুগে দামি কার্ড কেনার সামর্থ্য থাকার পরও আপনার হাতে তৈরি করা ছোট্ট একটি কার্ড আর তাতে লেখা ভালোবাসার একটা দিয়ে লাইন বন্ধুকে চমকে দিতে পারেন খুব সহজেই। রংটা নিজেই করুন। যা খুশি আঁকুন বা লিখুন। কে না জানে সম্পর্কে গভীরতা দেখা হয়। মূল্য বা কাজ দেখে নয়?
ঘড়ি
সব সময় দেরি করে আসা বন্ধুকে দিতে পারেন ঘড়ি। ব্যাপারটি যেমন মজার হবে তেমন ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবাণীও দেওয়া গেল। এরপর দেরি করে এলে তার হাতের দিকে তাকিয়ে একবার “ ঘড়ি কই?” জিজ্ঞাসা করলেই বন্ধুকে দেখে নেওয়া যাবে একহাত!
ডায়েরি
বন্ধুর কাছাকাছি আর থাকা হয় না আগের মতো? দুটো ডায়েরি নিন। একটি নিজের কাছে রাখুন। আরেকটি তাকে দিন। দেয়ার সময় বলে দিন একটি লাইন “ সব রেকর্ড করা থাকবে তোমার অন্তর্বর্তী শূন্যতায়!” বন্ধু যদি বুদ্ধিমান হয়, আর কিছু কি বলতে হবে?
ঘুরতে যাওয়ার টিকেট
এ যুগে যখন টিভি দেখা আর খাওয়া ছাড়া বিনোদনের আর তেমন কোনও সুযোগ নেই তখন ঘুরতে ভালোবাসে না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। বন্ধুকে দিতে পারেন কোথাও ঘুরতে যাওয়ার বাস, ট্রেন বা এয়ার টিকেট। প্রয়োজনে আপনিও সাথে যাবেন। দুই বন্ধুতে ঘোরাও হবে, আবার নিজেদের জন্য আরও কিছু মুহূর্তও জমানো যাবে!
ভিডিও
কয়েকজন বন্ধু মিলে একজন বন্ধুর জন্য বানান ভিডিও। সে কেমন, তাকে নিয়ে আপনারা কী ভাবেন, মজার কিছু ঘটনা, তাকে কিছু বলতে চাইলে ইত্যাদি মিলিয়ে তৈরি করতে পারেন ভিডিও। এরপর খুব সিরিয়াস চেহারা করে সেটি বন্ধুকে দেখতে দিতে পারেন। এরপর দেখুন তার চেহারা!
বই
উপহার হিসেবে বই খুব প্রচলিত হলেও বইয়ের মতো বড় উপহার আর কিছু নেই। বরাবরের মতো এবার খুব ভারি কিছু না লিখে সোজা করে নাহয় লিখে দিন, “ আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধুকে তোর হাতে তুলে দিলাম বন্ধু!”
মানিব্যাগ
বন্ধুদের মধ্যে খুব কৃপণ বলে পরিচিত বন্ধুটিকে দিতে পারেন মানিব্যাগ। আরও মজা করতে চাইলে কিছু লিখে বা খুচরা পয়সা দিয়ে ভারি করে দিতে পারেন সেই মানিব্যাগটি। উপহার দেয়ার পাশাপাশি তাকে ছোট একটা শিক্ষাও দেয়া হচ্ছে কিন্তু!
ছবি
নিজেদের নানা সময়ের মুহূর্তগুলো একসাথে ফ্রেম বন্দি (কোলাজ) করে বাঁধিয়ে দিতে পারেন। সে ছবি একদিনের উপহার না। বরং সারা জীবন ধরে আপনাদের জমানো মুহূর্তগুলোর এক মায়ার বাঁধন।
কফির মগ
কফির মগে আজকাল মানুষের চেহারা প্রিন্ট করানো যাচ্ছে। আপনি বন্ধুর মজার কোনো ছবি কফির মগে প্রিন্ট করিয়ে তাকে দিতে পারেন। মগ ও দেওয়া হলো, বন্ধুকে চমকেও দিলেন!
এবার তবে বসে না থেকে কাজে লেগে পড়ুন। উপহার দিন যে কোনো কিছু। একেবারে কিছুই করতে না পারলে বন্ধুটি আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি তো জানান!
প্রচ্ছদের ছবি-পুনিজ কিচেন।
/এফএএন/