রোজকার সাধারণ রান্নার বাইরে সবাই চায় একটু না একটু ভিন্ন কিছু রান্না করতে। প্রতিদিন তিনবেলার রান্নায় ভিন্নতা আনতে ঘরে থাকা ডাল দিয়েই করে ফেলতে পারেন মজাদার ডাল মাখা। ডাল মাখায় একটু মাংস দিলেই সেটি হবে জম্পেশ। ডালে হাড়গোড় ও চর্বিসহ মাংস দিলেই বেশিই স্বাদ পাওয়া যাবে।
উপকরণ:
গরু/খাসির মাংস- ৬০০ গ্রাম (চর্বি ও হাড়সহ)
ছোলার ডাল- ১ কাপ
সরিষার তেল- ১/৪ কাপ ও ৩ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ
আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা- দেড় চা চামচ
মরিচের গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
জিরার গুঁড়া- ১ চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ
তেজপাতা- ৩টি
দারুচিনি- ২ টুকরা
এলাচ- ৬টি
কাঁচামরিচ- ১০টি
লবণ- স্বাদ মতো
প্রস্তুত প্রণালি
পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ছোলার ডাল ভিজিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর পানি ছেঁকে চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে দিয়ে দিন ডাল। ৪ কাপ পানি ও আস্ত কাঁচামরিচ দিন। ১ চা চামচ লবণ দিয়ে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ডাল ৭০ শতাংশ সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সেদ্ধ হলে কাঁচামরিচগুলো চামচ দিয়ে তুলে নিন। ডালও তুলে নিন একটি বাটিতে। ডাল, মরিচ ও সেদ্ধ করা পানি- তিন উপকরণই আলাদা করে রেখে দিন।
একটি ছড়ানো প্যানে ১/৪ কাপ সরিষার তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি ও আস্ত গরম মসলা দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে বাটা মসলাগুলো সব দিয়ে দিন। ভালো করে নেড়েচেড়ে সব গুঁড়া মসলা দিন। সব উপকরণ মিশিয়ে ১/৪ কাপ পানি ও স্বাদ মতো লবণ দিন। আগে সেদ্ধ করে রাখা কাঁচামরিচ দিয়ে প্যান ঢেকে দিন। ৫ মিনিট রেখে দিন এভাবে। মসলার উপর তেল উঠে আসলে গরুর মাংস দিয়ে দিন। গরুর মাংসে হাড় বেশি থাকলে খেতে ভালো লাগবে। মাংস দিয়ে নেড়ে প্যান ঢেকে দিন। লো মিডিয়াম আঁচে ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। পর্যাপ্ত পানি দিয়ে প্যান আবারও ঢেকে দিন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সেদ্ধ করুন মাংস। মাঝে কয়েকবার নেড়ে দেবেন। মাংস মাখা মাখা হয়ে গেলে সেদ্ধ করে রাখা ডাল দিয়ে দিন। নেড়েচেড়ে ঢেকে দিন প্যান। ৫ মিনিট পর ডাল সেদ্ধ করা পানিটুকু দিয়ে দিন প্যানে। লো মিডিয়াম আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন মাংস। ইচ্ছা হলে জিরা ফোড়ন দিয়ে বাগাড় দিতে পারেন।