X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
এন্টহিলস অব দ্য সাভানা

প্রলয় ও পুনরুজ্জীবন ।। রাজকুমারী আশালতা দেবী

অনুবাদ : মুহম্মদ মুহসিন
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:১০আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:৪৭

এন্টহিলস অব দ্য সাভানায় চিনুয়া আচেবে আফ্রিকার ইতিহাস বিশ্লেষণ করেছেন দুই লক্ষ্যে- আফ্রিকাকে পুনরুদ্ভাবনের লক্ষ্যে এবং আফ্রিকান হিসেবে আচেবের নিজ জাতির মর্যাদা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে। ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে নাইজেরিয়রা স্বপ্ন দেখছে তারা একটি আলোকিত জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এবং তাদের লয়প্রাপ্ত মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি পুনরায় বিকশিত হয়ে উঠবে। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর দেশীয় শাসকরা জাতিকে সে মর্যাদায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। তারা জাতীয় ঐতিহ্য হারানোর মানসিক ক্ষতকে সারানোর চেষ্টা না করে বরং উপনিবেশী সাহেবদের সকল আচরণের অনুকরণ করে আগাতে থাকে। আফ্রিকার ইতিহাসের এই বিকারকে চিত্রিত করতে আচেবে তার উপন্যাসে স্বাধীনতা-উত্তর নব্য-উপনিবেশবাদী রোগসমূহ বর্ণনার প্রয়াস পেলেন। এই রোগ বর্ণনার উপন্যাস ‘এন্টহিলস অব দ্য সাভানা’। তবে সে বর্ণনায় লেখক তুলে ধরলেন আফ্রিকান সমাজের একটি পুনরুজ্জীবনী কল্পনাও যেখানে জায়গা পেলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বর।

উপন্যাসটির পটভূমি কাঙ্গান নামের একটি আফ্রিকান কল্পিত রাষ্ট্র। কাহিনির সময়কাল ১৯৮০-র দশক। কাহিনি আবর্তিত হয় চার বন্ধুর মাঝে- সাম ওকোলি, ইকেম ওসোদি, ক্রিস্টোফার ওরিকো এবং বিয়াত্রিস ওকোহ। এদের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে কাঙ্গান রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ। সামের সামরিক সরকারকে সাধারণ মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকদের বিকল্প হিসেবে স্বাগত জানায়, একই সাথে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীও মনে করে সাম নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাধিসমূহ রাতারাতি সারিয়ে তুলতে পারবে। কিন্তু কিছুদিনে এই সামরিক সরকারও যথারীতি ঔপনিবেশিক সরকারেরই কার্বনকপি হয়ে ওঠে। একমাত্র পার্থক্য হলো জনগণের প্রতি অত্যাচারকে সামরিক সরকার জনগণকে ভদ্রকরণের তথা পোষমানানোর নামে চালিয়ে যাচ্ছে। ‘তাদের ক্ষমতা আছে পশুর মতো ব্যথা সহ্য করার। আমাদের এই কালো মানুষগুলো সম্বন্ধে আমাদের সাদা মনিবরা এই কথাই বলতো। আমরা সেই কথাগুলোই এখন বলছি আমাদের দরিদ্র মানুষগুলোর সম্পর্কে’ (এন্টহিলস অব দ্য সাভানা, ৪০)। আচেবের মতে দেশের ব্যর্থতার কারণ হলো এই সামের মতো নেতারা যারা জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে শুধু সেই ঔপনিবেশিক মনিবই হতে চায়।

The Trouble with Nigeria প্রবন্ধে আচেবে বলেন : ‘একেবারে সরল ও সোজাসাপ্টাভাবেই বলা যায় নাইজেরিয়ার সমস্যা হলো নেতৃত্ব। নাইজেরিয়দের মৌলিক চরিত্রে কোনো সমস্যা নেই। এখানকার মাটি পানি বায়ুতে সমস্যা নয়। নাইজেরিয়ার সমস্যা হলো এখানকার নেতা অনিচ্ছায় হোক আর অযোগ্যতায় হোক তাদের দায়িত্বশীলতায় পৌঁছায় না। উদাহরণ সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে না।’ (qtd. in Innes 118)

সামের আজীবন প্রেসিডেন্সির প্রস্তাবের পূর্ব পর্যন্ত কাঙ্গানে জীবনযাত্রা মোটামুটি স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু সামের এই সীমাহীন ক্ষমতার লোভ বিপর্যয় ডেকে আনে। কাঙ্গান ভেঙে পড়ে। এই ঘটনা ১৯৬০-এর দশকে আফ্রিকাজুড়ে সংঘটিত সামাজিক বিপর্যয়সমূহ সম্পর্কে আমাদেরকে ধারণা দেয়। কাঙ্গানের এ গল্পে আমরা দেখি কাঙ্গানের চার রাজ্যের তিন রাজ্যেই জনগণ সামের আজীবন প্রেসিডেন্সির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। শুধু আবাজনিয়ানরা সামের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। শাস্তি হিসেবে সামের অর্ডার : ‘তোমাদের এরিয়ায় যতগুলো নলকূপ খনন করা হচ্ছে সব বন্ধ করে দেয়া হবে যাতে তোমরা বুঝতে পারো সূর্যকে ক্ষেপিয়ে তোলার মানে কী দাঁড়ায়। তোমাদের এমন শাস্তি দেয়া হবে যেন তোমরা পরজন্মেও ভুলে না যাও যে, বোঝো আর না বোঝো সামের ডাকে ‘হ্যাঁ’ ছাড়া অন্য কিছু বলা যাবে না’ (এন্টহিলস অব দ্য সাভানা, ১৬)। এভাবে দুই বছর শাস্তিভোগের পর আবাজন থেকে এক শান্তিকামী প্রতিনিধিদল বাসায় সামের কাছে দেখা করতে যায়। আবাজনিয়ানদের এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠে যে, পরিবর্তনের সাথে তাদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে হচ্ছে এবং শেকড়ের সাথে টিকে থাকার তাদের সকল চেষ্টাই অসহায়ভাবে নিষ্ফল হচ্ছে। সাম এই প্রতিনিধি দলের সাথে দেখা করে না। তাদেরকে সামের প্রাসাদে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় না। এই দেখা না করা সামের ক্ষমতার তেজকে আরো শক্তিশালীভাবে প্রকাশ করে। হতাশ প্রতিনিধিদলের নেতা সামের চিরকাল প্রেসিডেন্ট থাকার বিষয়কে পরিহাস করে বলে- ‘বিয়ে করার সময়েও কেউ চিরকালের জন্য বিয়ে করে না। দুইজনের একজন না একজন আগে মরে যায় আর বিয়ের চিরকালত্ব শেষ হয়’ (এন্টহিলস অব দ্য সাভানা, ১২৬)। এ পর্যায়ে আচেবে তার ন্যারেটিভে আফ্রিকান ঐতিহ্যের কিছু গল্প ব্যবহার করেন। ‘কচ্ছপ ও চিতা’র (আমাদের কচ্ছপ ও খরগোশের গল্পের সমান্তরাল) গল্প দিয়ে প্রতিনিধিদল বোঝাতে চায় কচ্ছপের গতিতে হলেও নিরন্তর প্রতিরোধ ও সংগ্রামের মাধ্যমে সামের এই শক্তি রুখে যেতে হবে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আদর্শ ও নীতির একটি ভিত্তি রেখে যাওয়া যায়। ইদেমিলির পুরাণকাহিনি দিয়ে জোর দিয়ে বলা হয় এমনকি মহিলারাও পারে একটি কঠিন শক্তিকে রুখে দিতে। আচেবের ন্যারেটিভ এভাবে গল্প বলে আফ্রিকান মিথ থেকে যা বর্তমান আফ্রিকাকে তার সংকট উত্তরণের পথ বাৎলায়।

জনতার এই কণ্ঠস্বরকে পাত্তা না দিয়ে সাম ওকোলি ‘বাসা’ নামক শহরে তার সাথে দেখা করতে আসা ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় তারই বন্ধু ইকেমের মাঝে সাম সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চিন্তা জেগে ওঠে। সামের সরকার থেকে এভাবে বুদ্ধিজীবীদের বিচ্ছেদ ঘটে। ফলে সামের সরকার স্বাভাবিকভাবেই জনগণের সরকারের পরিবর্তে ঔপনিবেশিক সরকার হয়ে ওঠে। সামের গণবিচ্যুত মন্ত্রীসভা সামাজিক রেনেসাঁর পরিবর্তে ব্যাধি ছড়াতে শুরু করে। যে পরিবর্তন লক্ষ্যীভুত ছিল সুস্থতার দিকে, সে পরিবর্তন গতিপ্রাপ্ত হয় অসুস্থতার দিকে।

সাম গভীরভাবে ক্ষমতার ঘূর্ণিতে আটকাতে থাকে, আর তার বন্ধুরা ধীরে ধীরে জনতার সাথে একাত্ম হতে থাকে। ‘ন্যাশনাল গেজেট’-এর সম্পাদক ইকেম সামের উলঙ্গ দুর্নীতি নজরে আনে। তার ভিতরে একটি তাগিদ অনুভূত হয় এদের হাতে শোষিত দেশের দুর্ভাগা দরিদ্রদের স্বার্থে কিছু একটা করার জন্য। সে তার সম্পাদকীয়তে সামরিক সরকারের কঠোর সমালোচনা শুরু করে। রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে তার কলম শাণিত হয়। এ ন্যারেটিভ অবশ্যই পরোক্ষে বলে জাতির ক্রান্তিকালে এভাবে লেখকদেরকেই প্রথম এগিয়ে আসা উচিত। এরাই জাতিকে দেবে ‘পুনর্জন্ম ও পুনঃদীক্ষা’। স্বাভাবিকভাবেই ইকেম সামের বিরাগভাজন হয়। ইকেমের বিপ্লবী কর্মতৎপরতা ঠেকাতে তাকে ন্যাশনাল গেজেটের সম্পাদক থেকে অপসারণ করা হয়। ইকেম উঁচুতলা থেকে নেমে এসে সাধারণ আবাজনিয়ানদের সাথে মিশে যায়। সে এলিটদের সমালোচনা শুরু করে। সে বলতে শুরু করে এলিটরাই সরকারের দুর্নীতির দোসর। এমনকি সে কেতাবি কায়দার বিপ্লব ও বিপ্লবীরও সমালোচনা করে। সে সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে বলে যে, এ সমাজের ও রাষ্ট্রের ব্যাধি ঘোচাতে হলে ‘এ সমাজের অন্তর্গত শক্তি ফিরিয়ে আনতে হবে, ফিরিয়ে আনতে হবে এর বাস্তবতার কেন্দ্রিক অংশ; আঁতেলীয় বুদ্ধির প্যাঁচের পেছনে ঘোরালে সমাজ সেখানে ফিরবে না’ (এন্টহিলস অব দ্য সাভানা, ১০০)। তার মত হলো, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেতাবি বিপ্লবের পূর্বে প্রয়োজন সমাজের এই সংস্কার যা নব্যউপনিবেশবাদী যন্ত্রণাগুলোর উপশম ঘটাবে। 

কিছুদিনেই বিপ্লবী এবং প্রতিবাদী তৎপরতার কারণে ইকেমকে NTBB ঘোষণা করা হয়। NTBB মানে হলো Not To Be Broadcast অর্থাৎ তার কথা বলার অধিকার নেই। এখানেই শেষ নয়। ইকেমকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরবর্তীকালে হত্যা করা হয়। হত্যা শেষে তার মৃত্যুর এক অন্য গল্প জনতাকে শোনানো হয়। তবে ইকেমের হত্যা ও লাশগুম জনগণকে নীরব করে দেয় না, বরং তাদের ভেতরে বিস্ফোরণে জেগে ওঠার প্রত্যাশা জাগায়। সে প্রত্যাশায় এবার নায়ক হয়ে আসে ক্রিস্টোফার ওরিকো। ক্রিস চাকুরি ছেড়ে দেয় এবং আন্দোলনকে বেগবান করার কৌশল হিসেবে ফেরার হয়ে ওঠে। তার সাথে ছাত্রনেতা ইমানুয়েল এবং ট্যাক্সিড্রাইভার ইউনিয়নের নেতা ব্রাইমো। ক্রিস ধীরে ধীরে মানুষকে জনাতে ও বোঝাতে সমর্থ হয় ইকেমকে সরকার কীভাবে মেরেছে।

নিরাপত্তার প্রয়োজনে ক্রিস, ব্রাইমো ও ইমানুয়েল আবাজনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ইতোমধ্যেই ক্রিস জনগণের নেতা হিসেবে নন্দিত। পথে এক মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে ক্রিস এক সৈন্যের গুলিতে নিহত হয়। মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে ক্রিসের এ মৃত্যু যেমন তাকে নায়ক করে তোলে, মহিমান্বিত করে তোলে তেমনি আচেবের ন্যারেটিভ এখানে সূক্ষ্ম ইঙ্গিত দেয় যে, আফ্রিকার নেতৃত্বকে নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক কঠোরতার বিরুদ্ধে এভাবে দাঁড়াতে হবে এবং দাঁড়াতে হবে নারীকেও।            

এদিকে বাসা শহরে সবকিছুর ওলটপালট হয়ে যায়। আজীবনের প্রেসিডেন্ট সামকে কে বা কারা হত্যা করে জঙ্গলে পুতে রেখেছে। আর্মি চিফ অব স্টাফ ক্ষমতা দখল করেছে। দেশ পুরো ওলটপালট হয়ে গেছে। পিজিন ইংরেজিতে সেই ওলটপালটের বর্ণনার দুলাইন এরকম : ‘This our country na waa! I never heard the likeness before. A whole President de miss; like old woman de waka for village talk say him goat de miss! This Africa na waa!’ (এন্টহিলস অব দ্য সাভানা, ২১৩)।

ইকেম এবং ক্রিসের অসমাপ্ত কর্তব্য এবার ঘাড়ে তুলে নেয় এক নারী। তার নাম বিয়াত্রিস। অনেক যন্ত্রণা বিড়ম্বনার মধ্যেই বিয়াত্রিস এগিয়ে নেয় তার সংগ্রাম। ইমানুয়েল, ব্রাইমো, আদাম্মা সকলের আশ্রয়স্থল বিয়াত্রিসের বাড়ি। জনতা তাদের গোত্র, গোষ্ঠী, নৃতাত্ত্বিক পরিচয় এই সকল বাঁধা ডিঙ্গিয়ে তার নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে শামিল হয়েছে, যেন আফ্রিকা তার উপনিবেশ-পূর্ব এবং উত্তর-উপনিবেশ তিক্ত ইতিহাস পিছনে ফেলে সকল বিভক্তি মুছে দিয়ে তার কেন্দ্রিক বাস্তবতার মৌলিক পথে আবার উঠতে পেরেছে। ‘বিয়াত্রিসের পাশে এই আন্দোলনে যারা দাঁড়িয়েছে তাদেরকে হতে হবে আফ্রিকার আগামীর নিয়ামক, …পিছনের রাজনীতিতে এখানে স্বৈরাচার ও দুর্নীতির সাথে এলিট শাসকদের সমঝোতার প্রবণতার যে ইতিহাস রয়েছে, আশা করা যায় বিয়াত্রিস তথা নারী নেতৃত্বের স্নিগ্ধতার শক্তি সে প্রবণতা দূর করবে’ (EllekeBoehmer, 104)। বিভক্তি মুছে এভাবে একত্র যাত্রার সূচক আরেকটি প্রতীকী ঘটনা হলো ইকেম ও এলেওয়ার সন্তানের নামকরণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের উপস্থিতিও প্রমাণ দেয় জনতা তাদের বিভাজনের সকল বাঁধা ভেঙেছে। এ যেন ঘোষণা দেয় বিয়াত্রিসের নেতৃত্বে জনতা শুধু উত্তর-উপনিবেশিক বিভাজনরেখাগুলোই শুধু মুছে দেয়নি, তারা তাদের উপনিবেশ-পূর্ব আফ্রিকান বিভাজনরেখাগুলোও শক্ত হাতে মুছে দিয়েছে। নামকরণ অনুষ্ঠানে বিয়াত্রিস পালন করে বাবার ভূমিকা। সত্যিই সে এক নতুন সূচনা। সে এই মেয়ে সন্তানটির জন্য রাখে একটি ছেলে নাম : আমায়েচিনা- AMAECHINA- যার অর্থ ‘এ পথ কখনো রুদ্ধ না হোক’ (May-the-path-never-close)। যে মেয়েটির জন্ম হলো রাষ্ট্রের এক ক্রন্তিকালে, যার বাবা সমাজের উঁচুতলা থেকে নেমে আসা বিপ্লবী এক নেতা এবং যার মা হলো শ্রমিক শ্রেণির এক নারী তার জন্ম থেকে সূচিত হোক এক নতুন সাহসী সময় এবং তার জন্ম ও নামকরণ থেকে সূচিত হোক এমনই আশার এক পথ, প্রতীকীভাবে আচেবের ন্যারেটিভ এই আশাবাদ তুলে ধরে। প্রতিবাদ, প্রলয় ও সবশেষে আশাবাদের এই গল্প উইঢিবির (anthills) মতোই স্মরণ করিয়ে দেয় যে, এই ঢিবি ঢেকে দিয়েছে অতীতের সকল প্রলয়ের কদর্য এবং এর ওপরেই জন্মাবে আবার সাভানার ঘাস। সে ঘাস আফ্রিকার পুনরুজ্জীবনের প্রতীক।

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী