X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যে পৃথিবীতে বাস করি, তার সঙ্গে সংলাপই আমার সাহিত্য : আব্দুলরাজাক গুরনাহ

গৌতম গুহ রায়
২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৪১আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৪৭

‘পৃথিবীতে চিরস্থায়ী বলে কিছু হয় না। একটা পরিবর্তন প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে- কোথায়, কীভাবে বেশি পরিবর্তন আসবে, সেটাও একটা জিজ্ঞাসার বিষয়। কিসের পরিবর্তন ঘটবে? উদ্বাস্তুদের নাকি আশ্রয়দাত্রী দেশের? এরসঙ্গে ভাষা ও সংস্কৃতিরও পরিবর্তন ঘটবে। সেটা উভয় পক্ষেরই।’
গত ৫ জানুয়ারি রাতে ডিনারের পর একান্তে নানা বিষয় নিয়ে টুকরো টুকরো কথা হচ্ছিলো ২০২১-এর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত আব্দুলরাজাক গুরনাহের সঙ্গে। ক্রম-প্রসরমান পরিব্রাজন নিয়ে কথা উঠে আসে। তাঁর লেখার প্রসঙ্গে এটি ছিলো স্বাভাবিক জিজ্ঞাসা। যেমন আমাদের এই উত্তরবঙ্গে বা উত্তর-পূর্ব ভারতের সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্রম-পরিবর্তনশীল চেহারার সামনেও এমনই জিজ্ঞাসা উঠে আসে।
সেদেশ এদেশ, পরবর্তিত এই পৃথিবীর বিশ্বাসাহিত্যের ভূমিকা কী হতে পারে? এই জিজ্ঞাসার উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটি নির্ভর করছে বিশ্বসাহিত্য বলতে আমরা কী বুঝি তার উপর। সাহিত্যের ভূমিকা হলো সমাজটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সব সমাজের জন্য এক নয়, আমাদের প্রশ্ন তুলতে হবে।’
এই জিজ্ঞাসারই কিছুটা প্রতিফলন শুনতে পারলাম ঢাকা লিট ফেস্টে তাঁর আলোচনায়। আগের রাতে যে কথাগুলো তিনি টুকরো-টুকরোভাবে বলেছিলেন সেই কথাগুলোরই প্রতিধ্বনি শুনলাম তাঁর আলোচনায়। ‘কেন্দ্রবিহীন এক বিশ্ব’ শীর্ষক সেশনে পুরো আলোচনা ও প্রশ্ন মিলিয়ে আব্দুলরাজাক গুরনাহ বললেন, ‘আমি তাদের নিয়ে আগ্রহী নই, যারা মূল মঞ্চ দখল করে থাকেন বা যারা পত্রিকার পাতা দখল করে থাকেন। কারণ, তাদের বাইরে কিছু মানুষ রয়েছেন, যারা তাদের কাজ নিজেদের মতো করে যাচ্ছেন বলে আমি মনে করি, তাদের মতো সাধারণ মানুষের জীবনের জটিলতা নিয়ে আমি বেশি পরিমাণে আগ্রহী। আর সেখানেই মানুষের সংশয় ও কষ্টগুলো প্রতিভাত হয়; এটা কখনো প্রতিফলিত হয় না বড় মঞ্চে কিংবা বাণিজ্যিক পত্রিকায়।
আমি লেখার পর পড়ে মনে হয়, হয়তো এটিই লিখতে চাচ্ছিলাম, আবার কখনো মনে হয়, কী আবোল-তাবোল লিখলাম! আমার প্রাথমিক উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে কারো পক্ষে লেখা নয়, তবে আমি যেভাবে দেখি সেটাকেই তুলে ধরা। আমি যখন কোনোকিছু পড়ি তখন আমার মতো করেই পড়ি। আমি সবার উদ্দ্যেশ্যেই বলি, আমি কখনো দেখি না আমার দর্শক কিংবা পাঠক কারা। আমি সবার জন্যই লিখি– যারা আমার লেখা পড়ে। তবে একইসঙ্গে আমি যে পৃথিবীতে বাস করি, তার সঙ্গেও আমার সংলাপ, আমার সাহিত্য, এটা শুধু ব্যক্তিসত্তার ব্যাপার নয়।
উপন্যাস লেখার আনন্দটাই হলো কাহিনিকে তার মতো করে একটি নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে যাওয়া, কখন কীভাবে কোন চরিত্র সামনে আসবে, কোথায় কখন মোচড়টা, বাঁকটা দিতে হবে- এগুলোর মধ্যেই মজাটা তৈরি হয়। পাণ্ডুলিপি যখন গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়, তখন অবশ্যই ভালো লাগে; কিন্তু লেখার সময়ের আনন্দের সঙ্গে সেটা তুল্য নয়।’

গত ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি সাহিত্য-সমাজ-জনজীবন নিয়ে এমন নানা জিজ্ঞাসায়, কবিতায়, কথায় উদযাপিত হলো এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সাহিত্য উৎসব ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’। বিশ্বে ৩৭টি দেশের শতাধিক কবি সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে জমজমাট এই সাহিত্য উৎসবের কেন্দ্রজ্যোতি ছিলেন নোবেল জয়ী আখ্যানকার আব্দুলরাজাক গুরনাহ। প্রথমদিন তিনি ছিলেন অনেক খোলামেলা, কথায় ও আড্ডায়, সেই অবকাশেই নানা জিজ্ঞাসার উত্তর দিচ্ছিলেন। গুরনাহ’র সঙ্গে এই আলাপনে স্বাভাবিকভাবেই বারংবার উঠে এসেছে অভিবাসন প্রসঙ্গ, আফ্রিকার সাহিত্য প্রসঙ্গ। প্রশ্ন রেখেছিলাম যে একজন সাহিত্যিকের পক্ষে স্বদেশ নিয়ে লেখার ক্ষেত্রে অভিবাসন কি সহায়ক হয়ে ওঠে? সাম্প্রতিক অতীতের অনেক চর্চিত উপন্যাসেই এটা দেখা যায়। এখানে উল্লেখ করা যায় যে গুরনাহ নিজে তানজানিয়ার মানুষ হলেও তাঁর লেখালেখি ইংল্যান্ডে বসে।
আবদুলরাজ্জাক গুরনাহ এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘মানুষের দেখার ক্ষেত্রে দূরত্ব একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। সেটা ভিজ্যুয়াল আর্ট থেকে সামাজিক ক্ষেত্র, সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নানা কৌণিক দৃষ্টিভঙ্গির সুযোগ করে দেয় এই দূরত্ব। চিন্তার অবকাশ দেয়। ঘটনার মধ্যেও ডুবে থাকার অনুভূতিও প্রকাশ কিন্তু কখনই এক হয় না। আফ্রিকার মানুষের দারিদ্র, বৈষম্য, অস্তিত্বের সঙ্কট আপনি ইংল্যান্ডে বসে বা এই দেশে বসে অনুভব করলেও বাস্তবতার স্বাদ পাবেন না। অথবা ইউক্রেন বা আফগানিস্থানের যুদ্ধ বিপন্নতার অভিজ্ঞতা রণক্ষেত্র আপনি দূরবর্তী থেকে শুধু কল্পনাই করতে পারবেন মাত্র। একজন আফ্রিকা, ইউক্রেন বা আফগানিস্থানের মানুষের সেই বিপর্যস্ত অবস্থার থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে তাঁর স্বাদেশিকে চিন্তা করতে পারেন, কিন্তু তাঁর জন্য এটি কষ্টকল্পনা হবে। ঘটনার মধ্যে থাকলেই আপনি নিজেকে যুক্ত করতে পারবেন, যেটা দূরত্বে থেকে সম্ভব নয়। আপনি চেষ্টা করতে পারবেন মাত্র। তাই এত সহজে বিষয়টি ঘটে না, ব্যাপারটা লেখালেখির প্রসঙ্গে বলছি।’
কথা থেকে কথান্তরে যাওয়ার পথে নানা বিষয়ের অবতারণা ঘটছিলো। উঠছিলো সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা উদ্বাস্তু সমস্যার প্রসঙ্গ, দেশহীন হয়ে যাওয়া মানুষদের কথা, যে কথার অনেকটাই ব্যক্তিগত পর্যায়ের। বিশ্বসাহিত্যে এই সমস্যা কতটা ছাপ রাখতে পারবে সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘এই বিশ্বে কোনোকিছুই চিরকালীন নয়, সমস্যাগুলোও নয়, এরও প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটে চলেছে। এই পরিবর্তনকে আপনি কীভাবে দেখছেন সেটারই প্রতিফলন ঘটবে আপনার সৃজনে, সাহিত্যে।
সাধারণ জীবনযাপন করতে গেলে কিছুটা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। আমরা এরমধ্যে দিয়েই জীবনযাপন করি। মানুষ হওয়ার মধ্যে অনেক কঠিন বিষয় থাকে।’
আমাদের এই উপমহাদেশ সম্পর্কে আপনার ধারণা কেমন? আপনি কী এই অঞ্চলের ভবিষৎ নিয়ে আশাবাদী?
‘এই উপমহাদেশ সম্পর্কে আমি অবহিত, ভারতীয় উপমহাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি যে মিশ্র সংস্কৃতির আবহে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে তার অভিমুখ নির্ধারণ করবে এই অঞ্চলের বিভিন্ন ভাষার সাহিত্যের আগামী লেখকরা। ধর্মীয় পরিচিতি ক্রমশ মুখ্য হয়ে উঠলে তার প্রভাব নিশ্চয় সাহিত্যেও পড়বে। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা নানা ভাষা ও ধর্মের মানুষের প্রত্যেকেরই বিষয়, সমষ্টিগত ভাবনাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সবার আগে। এই অঞ্চলের মানুষ, সাহিত্যিকদের বাস্তব অভিজ্ঞতার নিরিখেই সেটি রূপায়িত হবে। আর একটি কথা যুক্ত করি, ২০২৩-এর শুরুতে আমি রয়েছি বাংলাদেশে, এই বছরই আবার আসবো এই উপমাহাদেশে, ভারতের জয়পুরে, আমার সঙ্গে এই অঞ্চলের নিবিড় পরিচিতি আরও বৃদ্ধি পাবে এতে।’
এরপরের জিজ্ঞাসা ছিলো উপনিবেশিক শাসন ও তার পরবর্তী সাহিত্য নিয়ে। তিনি আলোচনার শুরুতেই শ্রদ্ধা জানালেন এডওয়ার্ড সাঈদকে, তাঁর ‘ওরিয়েন্টালিজম’ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিশা দেখানো কিতাব বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের চিন্তা-চেতনা আচরণের গভীরে দীর্ঘদিনের ঔপনিবেশিক শাসনের শেকড় ঢুকে আছে, আমাদের চেতনার বি-উপনিবেশিকরণ আজ জরুরি। তবে আমাকে যদি বলা হয় যে আমি উপনিবেশ শাসন পরবর্তী সাহিত্যের লেখক, তবে আমি বলব আমি আব্দুলরাজাক গুরনাহ, জন্ম তানজানিয়ায় জানজিবার দ্বীপ, মাতৃভাষা কিসোয়ালি, লিখি ইংরেজি ভাষায়। ১৯৮৭-তে প্রকাশিত আমার গ্রন্থ ‘মেমোরি অব ডিপারচার’ এই গ্রন্থ তার নামেই অনেক বার্তা দিয়েছে। লেখক হিসাবে আমার শুরুটা ছিল কোনোকিছুর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া থেকে। এটা এমন না যে আমি মাইগ্রেট করছি, এটি জীবনের একটা সিদ্ধান্ত ছিল। প্রতিশ্রুতিটি এমন ছিল না যে, কোনোকিছু লেখার জন্য লিখতে হবে। এটি অতটা সহজ ছিল না, আবার অন্যকিছু করব বলেও হাল ছেড়ে দেইনি। যখন প্রকাশ করতে পারিনি, তখন মন খারাপ হয়নি। তার মানে এই না যে অন্যকিছু করার জন্য বসে থাকবো। তখন মনে হতো, ইশ! যদি কেউ আমার বই প্রকাশ করত! তারপর আরেকটা লিখব, যেটা আমি করেছি। একই সময় সেই প্রতিশ্রুতি, আকাঙ্ক্ষা ছিল লেখার প্রতি।
আর একটা বিষয় নিয়ে আমি আবার পরিষ্কার করে বলছি যে, আমি ইতিহাসবিদ নই, ঔপন্যাসিক। তবে আমার উপন্যাসে ঐতিহাসিক অনেক ঘটনা এসেছে। ইতিহাসের অনেক ঘটনা আমাদের এখনো তাড়িত করে। যেমন ধরুন, বিশ্বযুদ্ধ বা ঔপনিবেশিক শাসন, স্বাভাবিক যে এগুলো আমার লেখার মধ্যে আসবে। আমি ইতিহাসের ঘটনা ও উপন্যাসের বয়ান- এই দুটো একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমার কাছে এ দুটো আলাদা কিছু নয়। আমি সাধারণত কোনো বিরাট বিষয়ের ভেতর সাহিত্যকে টেনে নিয়ে যাই না, ছোট ছোট বিষয় নিয়ে লিখতে চাই বা লেখায় আনতে চাই।’
আব্দুলরাজাক গুরনাহর প্রতি যে প্রশ্নটি অনেক বার ছুড়ে দেওয়া হয়েছে সে প্রসঙ্গ তুলে এনে বললেন, ‘আমি ইংরেজিতে লিখতে শুরু করেছি সেটা অবশ্যই ঔপনিবেশিকতা নিয়ে উদ্বেগ পরিত্যাগ করার জন্য, অন্যথায় হয়তো ইংরেজি শিখতাম না– এটা আমি যা পড়ি, সে সম্পর্কেও প্রযোজ্য, যার প্রায় সবই ইংরেজি ভাষায়। আমি যখন লিখতে শুরু করি তখন নিজেকে কোথায় খুঁজে পেয়েছি সেই ভাবনা পরিহার করতেও হয় আমাকে। কারণ, লেখালেখির জন্য একটি ভাষা নির্বাচন করে নিতে হয়, বিশেষ করে যদি কারও বিকল্প থাকে। কাউকে বলা যায় না- তুমি এই ভাষায়  লেখো বা লেখো না। প্রত্যকে নিজে নিজের মতো চিন্তা করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই যে যে ভাষায় লিখছেন, সেটা হতে পারে ফরাসি বা বাংলা, সেটা তাঁদের ব্যাপার। ব্যক্তিগতভাবে আমি ঔপনিবেশিক বাস্তবতার মধ্যে বেড়ে ওঠার কারণে স্কুলে থাকতেই ইংরেজি ভাষা শিখি এবং ইংরেজি বই পড়তে শুরু করি। তাই এই ভাষায় লিখতে, নিজেকে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, উপভোগ করি। এই ভাষার সঙ্গে আমার সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পেছনে অনেকগুলো ঘটনা আছে। লেখালেখির প্রথম থেকেই ভাষাটি আমার কাছে চলে এসেছে। কখনো মনে হয়নি, আমি কোনো বিকল্প খুঁজে নেবো। কারণ, এই ভাষা আমার আত্মস্থ হয়েছিল।’

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ