X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

তিতুমীরের জন্মভিটায়

মুহম্মদ মুহসিন
২৫ এপ্রিল ২০১৭, ০৭:০০আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০১৭, ০৭:০০

তিতুমীরের জন্মভিটায়
এ বছর ১৩ মার্চ কলকাতায় গিয়েছিলাম এক সপ্তাহের জন্য। গিয়ে দেখলাম আমার যা কাজ তাতে পুরো এক সপ্তাহ খরচের সুযোগ কম। তাই ভাবলাম কলকাতার ধারেকাছে দু’একটি জায়গায় একটু হাঁটাহাঁটি করে আসা যায় কিনা, যাতে এই পা-দু’খানার উপরে আরো একটু মাহাত্ম্য যোগ করে এক সময় নাতি নাতনিদের দিকে তাকিয়ে বলা যায়, ‘দেখ দাদু, এই ঠ্যাঙের ঠাটও এক সময় কম ছিল না, অমুক- অমুক- অমুক জায়গার পথের ও ধূলির গল্প এই পায়ে সযত্নে সঞ্চিত আছে- দেখে রাখো- আমার মরার পরে প্রয়োজনে এ গল্প তুমি আবার চালাতে পারবে।’

এই ভাবনা থেকেই মাথায় ঢুকলো স্থান নির্বাচনের প্রশ্ন। সে প্রশ্ন করলাম অনেকের কাছে। নামও আসলো অনেক স্থানের। সে-সবেরই এক সারি নাম ছিল নারিকেলবাড়িয়া-হায়দারপুর-তিতুমীরের জন্মভিটা ইত্যাদি। এই নাম-সারি মনে ধরলো। নাম তো মনে ধরেছে, এবার পথের খোঁজ মাথায় ঢুকানো দরকার। যে নাম দিলো সে-ও পথের খোঁজ দিতে পারলো না ভালো। আমতা আমতা করে যা বললো তার উপরে আস্থা আনতে পারলাম না পুরোপুরি। ফলে পথ চাইলাম আরো অনেকের কাছে। সে চাওয়ায় বিপত্তিই যেন বেড়ে উঠলো। কারণ রেসপন্সে মনে হচ্ছিলো দশজনে একজনের অবস্থা এরকম যে, এই স্থানসমূহ দূরে থাক তিতুমীর বলতে কোনো মস্ত ব্যক্তি ছিলেন এই পশ্চিমবঙ্গে এমন কথাইতো কখনো শোনেনি। আমার ভিতরেও তখন একটু একটু করে যেন সন্দেহ উঁকি দিতে শুরু করলো, ‘তিতুমীর, হায়দারপুর, নারিকেলবাড়িয়া, বাঁশের কেল্লা এসব সত্যিকারে পশ্চিমবঙ্গের কোনো বিষয় তো? নাকি আবার পূর্ববঙ্গের?’ সন্দেহটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত দানা বাঁধতে পারলো না। যাঁর কারণে সন্দেহটির দানা বাঁধা সম্ভব হলো না তিনি কলকাতা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন। তিনি বলে দিলেন রাস্তা। আমি সোদপুর থাকি বলে প্রথমে দমদম যেতে হবে। সেখান থেকে বনগাঁ লোকালে মছলন্দপুর। মছলন্দপুর থেকে ম্যাজিক গাড়িতে রামচন্দ্রপুর। রামচন্দ্রপুর থেকে সোজা নারিকেলবাড়িয়া তথা ইংরেজবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে ইতিহাসের প্রথম দুর্গ- বাঁশের কেল্লা।

১৬ মার্চ সাত সকালে উঠে রওয়ানা হলাম ড. আমজাদ হোসেনের নির্দেশিত পথে। দমদম থেকে বনগাঁ লোকালে উঠেই সিট পেলাম। ভাবলাম সিট যেহেতু পেয়েছি মাথাটা পিছনে ঠেস দিয়ে একটু ঘুমিয়ে নেয়া যাবে। কলকাতায় কোনো লোকাল ট্রেনে উঠে এর আগে কখনো সিট পাইনি বলেই সিট পেয়ে ভাবনাটা আনন্দের সাথে অতখানি বেড়ে গিয়েছিল। যাত্রী যদি সিট পেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে কলকাতার লোকাল ট্রেনের হাজার হাজার হকারদের রুজির কী হবে? সুতরাং তাদের রুজির স্বার্থে হোক কিংবা আমার অনভ্যস্ততার কারণেই হোক জোড়া চোখ খোলা রেখেই বসে থাকলাম। ঘণ্টা দেড়েক যেতে বোধ হয় এসে পড়লাম মছলন্দপুর।

এবার ম্যাজিক গাড়ি। আমাদের পূর্ববঙ্গের নারীপুরুষ সম্পর্কের বিষয়ে যথারীতি লাজুক চোখগুলো কলকাতার লোকাল ট্রেনগুলোতে অনেক ম্যাজিক-ভেলকি দেখে শুরুটায় এমনিতেই থ’বনে থাকে। এরপরে আবার কী গাড়ির কী ম্যাজিক দেখতে হবে এ নিয়ে আগের দিন ড. আমজাদের মুখে ম্যাজিক গাড়ির নাম শোনার পর থেকেই একটা হাবাসুলভ কৌতূহল আমার মধ্যে কাজ করছিল। এবার মছলন্দপুর নেমে মনে হলো ভিতরে সেই কৌতূহল ক্লাইম্যাক্স বিন্দুতে পৌঁছার তাড়নায় মোটে তর সইতে পারছে না। আর সে কারণেই বোধ হয় সকালের নাস্তাটাস্তা করার কথা মনেই পড়লো না ম্যাজিক গাড়ি দেখার ছটফট বাসনা-বিলাসে। অনেক মানুষের নির্দেশনায় অল্পদূর হেঁটেই পেলাম রামচন্দ্রপুরের ম্যাজিক গাড়ির স্ট্যান্ড। ম্যাজিক গাড়ি মানে হলো মাইক্রোবাসের চেয়ে একটু ছোট কিন্তু তিন চাকার মাহিন্দ্র গাড়ির চেয়ে একটু বড় এক ধরনের চার চাকার গাড়ি। গাড়িতে উঠে মনে হলো এ গাড়িকে ম্যাজিক গাড়ি বলার একটাই কারণ হতে পারে, আর তা হলো এত ছোট গাড়িতে এত বেশি মানুষ বসাতে পারার ম্যাজিক সম্ভবত ভারতবর্ষের আর কোনো গাড়ির জানা নেই।

সেই ম্যাজিক গাড়ির ম্যাজিকের সাহায্যে পুচকে বাঙালি দেহখানাকে ডানে-বাঁয়ে উপরে নিচে আরো অনেক কেটে-ছেঁটে সাইজ করে বসলাম রামচন্দ্রপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিছুদূর যেতেই পাশের যাত্রীর কাছে জানতে চাইলাম তিনি অধিকদূর যাবেন কিনা। জানা গেল তিনিও রামচন্দ্রপুরই যাবেন। শুনে আমার চোখেমুখে পুরো মিস্টার বিনের আনন্দের আলো ঠিকরে উঠলো। যাহ্ শালা, আর বোকা বোকা চেহারা নিয়ে কাউকে জিগ্যেস করে জ্বালিয়ে মারতে হবে না- ‘দাদা, রামচন্দ্রপুর আর কয় স্টপেজ পরে?’

চলতে থাকলো ম্যাজিক গাড়ি। চলতে চলতে মনে হলো গাড়িটির আরো একটি ম্যাজিকাল গুণ আছে। এই গাড়ি রাস্তার খানাখন্দের সাথে তাল রেখে যতই লাফালাফি করুক তাতে ভিতরের যাত্রীদের কিচ্ছু আসে যায় না। কারণ যাত্রীদের মাথাগুলো গাড়ির ছাদ দিয়ে এবং শরীরগুলো চতুষ্পার্শ্বের মানুষের চাপ দিয়ে এমনভাবে আটকানো আছে যে তাদের এক সুতাও নড়েচড়ে যাওয়ার কোনো ভয় নাই। এই ম্যাজিকের ভার কিছুক্ষণে অবশ্য কিছুটা কমলো। কিছু মানুষ পথে পথে নেমে যাওয়ায় চারপাশের চাপ একটু হালকা হলো। এখন মাথাটা ডানে বাঁয়ে একটু কাৎ করাও সম্ভব হচ্ছিলো এবং বাইরের দু’একটি দৃশ্য চোখ পর্যন্ত এসেও পৌঁছেছিলো। সেই সুযোগেই হঠাৎ চোখে পড়লো, ‘তিতুমীর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’লেখা একটি সাইনবোর্ড। বোঝা গেল আমি যেখানে যাবো তার কাছাকাছি এসে গেছি। তাই বলে আমি হাবলুর মতো লাফিয়ে উঠলাম না, কারণ আমি তো মিস্টার বিনের চেয়েও জ্ঞানী এক পরিব্রাজক, আমার পাশে রয়েছেন এক প্রবীণ যাত্রী যিনিও নামবেন রামচন্দ্রপুরে। সুতরাং আমি তো পরিমাণমতো ভাব নিয়ে নির্বিকার বসে থাকতেই পারি এবং সকলকে বোঝাতে পারি যে এই পথে প্যাসেঞ্জারিতে আমি আদমি কাবেল কারো চেয়ে কম নই।

কিন্তু সে বোঝাতে গিয়ে অল্পক্ষণের মধ্যে আমিই প্রয়োজনীয় বুঝ পেয়ে গেলাম। মিনিট কয়েকের মধ্যেই বাজার একটা পার হয়ে আমার ম্যাজিক গাড়ি এগিয়ে চললো। ফাঁকফোকর গলে দোকানের সাইনবোর্ডগুলো যতটুকু চোখে পড়লো তাতে রামচন্দ্রপুর লেখাও যেন দেখলাম বার কয়েক। তা, আসল রামচন্দ্রপুর আসার আগেই এমন সাইনবোর্ড তো অনেকই চোখে পড়তে পারে। আর আসল রামচন্দ্রপুর এখনো আসেনি এই মর্মে পুরোপুরি ইয়াকিন নিয়েই পাশের প্রবীণ বিজ্ঞতর যাত্রীকে জিগ্যেস করলাম- ‘মূল রামচন্দ্রপুর বাজার আরও সামনে, তাই না?’ আমার প্রবীণ ও বিজ্ঞ সহযাত্রী- ‘তা-ই হবে’বলতে যাচ্ছিলেন বলেই মনে হলো। কিন্তু তার আগেই পাশের অন্য যাত্রীরা হুড়ুদ্দুম চেঁচিয়ে উঠলো- ‘আরে মশাই কী বলেন? রামচন্দ্রপুর এই মিনিট কয়েক আগেই ফেলে এলেন তো- না চেনেন পাশের দু’একজনকে বলবেন তো?’ বুঝলাম মিস্টার বিনরা এভাবেই মিস্টার বিন হয়। এমন মহানায়ক অভিনেতার সাথে নিজেরে মিলিয়ে নিতে পারার এই আনন্দ নিয়ে নামলাম ম্যাজিক গাড়ি থেকে।

ম্যাজিক গাড়ি থেকে নেমে ফেলে আসা পথের দিকে অর্থাৎ উল্টোপথে হাঁটা শুরু করলাম। একটা গ্রাম্য জীর্ণ দোকানঘরের সামনে দু’জন মানুষ বসা দেখে তাদের কাছে জানতে চাইলাম-‘তিতুমীরের নারিকেলবাড়িয়া গ্রামটি কোন দিকে?’ তারা প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে প্রথমেই আমার নাম, পরিচয়, ঠিকানা ইত্যাদি জানতে চাইলো। ঠিকানা শুনে প্রথম প্রশ্নই ছিল- আমি পাসপোর্ট ভিসায় এসেছি নাকি চোরাইপথে। নাম পরিচয়ের প্রশ্ন চলাকালীন পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছিল যে, আমি বাংলাদেশেরই কোনো গ্রাম দিয়ে হাঁটছি এবং বাংলাদেশেরই কারো কাছে কোনো গন্তব্যের পথ জানতে চাচ্ছি। কারণ, এ কথা বাংলাদেশের যে-কোনো গ্রামের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য যে, আপনি বাংলাদেশের কোনো গ্রামের পথ দিয়ে হাঁটবেন আর যার সাথে দেখা হবে তার কাছে আপনার ঠিকানা না বলে হেঁটে যাবেন, বা হেঁটে যেতে পারবেন তা তো হবে না। তবে তাদের তৃতীয় প্রশ্নটি বজ্রের প্রচণ্ডতায় জানিয়ে দিলো যে, এটা বাংলাদেশ নয়, কারণ, বাংলাদেশের কোনো গ্রামে কোনো বাঙালি চেহারার মানুষ হাঁটবে আর তার দেশ ভারত বললে তাকে জিগ্যেস করবে যে, সে পাসপোর্ট ভিসায় এসেছে নাকি চোরাই পথে এসেছে- এমনটা কখনো হতে দেখিনি।

যাক, প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর পাওয়ার পরে মনে হলো তারা আমার প্রশ্নের ব্যাপারে খেয়াল দেয়ার প্রয়োজন বোধ করলো। দু’জনের একজনকে মনে হলো একটু শিক্ষিত গেছের। একজনের নাম বললো শের আলি, আরেকজনের নাম আর মনে পড়ছে না। শিক্ষিত জন বললো- ‘আপনি আপনার গন্তব্যে যাওয়ার পথ অনেকখানি পিছনে ফেলে এসেছেন, এইসব টোটো বা ম্যাজিক গাড়ির একটায় উঠে রামচন্দ্রপুর ছেড়ে আরো উল্টোমুখো এগিয়ে হুগলী টালি কারখানা নামক স্থানে নামবেন, সেখানে গেলেই হাতের বাঁ দিকে তিতুমীরের নারিকেলবাড়িয়া যাওয়ার পথ পাবেন।’ পথের এই নির্দেশনা নিয়ে কিছু দূর এগোতেই পিছন থেকে ওনাদের একজন জোরে চেঁচিয়ে জানালো- ‘ভাই, আপনি তিতুমীরের বাড়ি যাবেন- কেন যাবেন হে? সে তো বেঁচে নেই।’ শুনে আমার খটখট করে হাসি পাচ্ছিলো। কিন্তু হাসতে পারিনি। বিদেশ-বিভূঁয়ে কোন হাসির কী মানে হয়ে যায়- আল্লা মালুম। শেষে বিপদের আবার হাত-পা থাকবে না। সুতরাং না হেসেই জানালাম- ‘সে আমি জানি। আমি তার কবর দেখতে যাচ্ছি, তাঁকে নয়।’ আমার উত্তরটিও যে তাদের কথার চেয়ে কম অগা-মার্কা ছিল না সে কথা তখনো আমার খেয়ালে জাগেনি। তখনো আমার মাথায় আসেনি যে তিতুমীরের কোনো কবর নেই।

‘কবর আবার দেখে নাকি? কবর তো জিয়ারত করে।’ তবে আরব দুনিয়ায় মানুষ সবই জেয়ারাত করে। মসজিদে নববী থেকে নেমে আপনি যে দিক দিয়েই বের হন রাস্তায় ট্যাক্সি-ওয়ালাদের-‘জেয়ারা জেয়ারা’ডাক কোনো দিক দিয়েই মিস করবেন না। আর আপনার তখন ভুল করে মনে হতে পারে, মদিনায় মনে হয় কাজই দুটো- মসজিদে নববীতে নামাজ পড়া আর কবর জেয়ারত করা। কিন্তু জেয়ারার গাড়িতে যদি উঠে বসেন তো দেখবেন, না, গাড়িগুলো যেখানে যাচ্ছে সেখানে কবর নেই, আছে ইতিহাস। আমিও কবর দেখবো বলে যেদিকে রওয়ানা হলাম সেখানে মূলত কবর নেই, আছে ইতিহাস। কবর যে নেই সে কথা তখনো আমার মাথায় আসেনি।

নারিকেলবাড়িয়ার বাঁশের কেল্লার ঐতিহাসিক স্থানে তিতুমীরের কবরটি অনেক খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎই পুরনো ইতিহাসের পাঠ থেকে আমার মনে পড়েছিল যে, তিতুমীরের কোনো কবর নেই। ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর মেজর স্কটের অধীনে পদাতিক বাহিনী ও গোলন্দাজ বাহিনী নারিকেলবাড়িয়ার কেল্লা গুঁড়িয়ে দিয়ে তিতুমীরসহ তাঁর ৫০জন অনুসারী হত্যা করে। আগের অভিযানগুলোয় তিতুমীর বাহিনির কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধে নিতে উন্মত্ত হিংস্রতায় সেদিন ইংরেজ বাহিনি তিতুমীর ও তাঁর ৫০ জন সহযোগীর লাশ ইসলামিক কায়দায় দাফনেরও সুযোগ দেয়নি। তারা এই লাশগুলো নির্মম হিংস্রতায় আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল। ইংরেজ বিরোধী সশ্রস্ত্র সংগ্রামের প্রথম বাঙালি শহীদ বীর তিতুমীরকে ইংরেজরা এভাবে এই মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে প্রয়াস পেয়েছিল। আমার সেই ইতিহাস তখন স্মরণে না পড়ায় মনে মনে এই ভাবনা নিয়েই আগাচ্ছিলাম যে তিতুমীরের কবর জেয়ারাতে যাচ্ছি।

সেই জেয়ারাতের কথা ঐ লোকগুলোকেও শোনালাম। তিতুমীর বেঁচে নেই একথা জানলেও ঐ লোকগুলোও মনে হয় আমার মতোই জানতো না যে, তিতুমীরের কোনো কবর নেই। জানলে তো আমার ঐ বাক্যও তাদের শুধরে দেয়ার কথা। কিংবা আমার দ্রুত প্রস্থানের কারণে হয়তো সেই সময় তারা পায়নি। আমার দ্রুত চলার পা বেশিক্ষণ চালাতে হলো না। একটি অটোরিকশা জাতীয় বস্তু পেলাম যাকে ওখানে আবার- ‘অটো’ বলে না, বলে ‘টোটো’। আমাদের অটো-রূপ ইন্ডিয়ান সেই টোটোতে উঠলাম। টোটো কিছুক্ষণেই আমাকে নামালো সেই জায়গায় যেখানে লেখা দেখে গিয়েছিলাম- ‘তিতুমীর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’। সেখানেই নাকি হুগলি টালিকারখানা। ফলে পথনির্দেশদাতাদের অসিয়ত মোতাবেক সেখানেই নামলাম। (চলবে)

তিতুমীরের জন্মভিটায় প্রতি মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা