X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১
ডাচ থেকে বাংলায়

মার্ক বোঘের কবিতা

অনুবাদ : তানবীরা তালুকদার
১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৮আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৭

মার্ক বোঘ মার্ক বোঘ-এর জন্ম ১৯৭০ সালে। খুব অল্প কিছুদিন তিনি ‘বুদ্ধিমত্তা ও চারুকলা’ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তারপর তার ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে কিছুদিন কাজ করেছেন। ২০০১ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কোথাও যেনো কিছু ঘটেছে’ (Alsof er iets gebeurt )-র জন্য সি.বুডিং পুরস্কার পান। তিনি নিজের কর্মহীনতার প্রবণতা নিয়ে বেশ অহংকার করেন, যদিও তার বই খুব জনপ্রিয়। পাঁচটি উপন্যাস আর পাঁচটি কবিতার বইয়ের মধ্যে থেকে তার কবিতার বই The Encyclopaedia of Big Words (2005)-এর জন্য ২০০৬ সালে সম্মানজনক ভি.এস.বি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি খুব দ্রুত লেখেন এবং প্রকাশ করেন, বই বিক্রিও হয় বেশি। তার লেখাকে প্রাত্যহিক জীবনের ছবি আর হতাশা নামে অভিহিত করা হয়। সমালোচকরা তার লেখাকে অসম্ভব বৈচিত্র্যপূর্ণ লেখক আরিয়ান ডাইনকার আর খেরার্ড রিভের সাথে তুলনা করেন।

প্রতিদিনের করণীয়

আমি যে ভাস্কর্য হয়ে উঠেছি

তাকে প্রতিদিন সাজিয়ে রাখি:

জীবনকে আড়াল করে

পান করি আকণ্ঠ।

 

কফি থেকে শুরু করে

আগের দিনের যত পরিকল্পনা

ভেঙে চূর্ণ করি সবই

আবার অবিশ্বাসকে রাখি ঝুলিয়ে

 

আমি নিজেকে তোমার বিশৃঙ্খলায় সঁপে দিই

তোমার দুই চোখ

আমাকে এখনো ভাবে অপরিচিত

 

এখনো বেঁচে আছে সময়ের পূর্ণতা নিয়ে

তোমার আয়নায় আবারো আসবে হাজার সম্ভাবনা নিয়ে

আমি ঠিক জানি না

কিসে তুমি বিশ্বাস করো

 

তোমার প্রতিদিনের শিল্প দেখে যাই

আর কী অজুহাতে

তুমিও হয়েছো পাকা কারিগর

 

সেদিনের সন্ধ্যা থেকে মৃত আমরা

ভান করে পড়ে থাকি জীর্ণ বিছানায়

খুব চুপচাপ শুয়ে থাকার প্রতারণা করে চলি

কাব্যগ্রন্থ : প্রেমের সেই দিনগুলো

 

কুড়েমি

ঈশ্বরের মতো কুঠার চালিয়ে কুড়েমি-নাটক চলে

যেনো সময় সানন্দে ফুরায়—গান শুনে।

 

ধীরে তালে যা করেছি অস্বীকার—

প্রায় নিঃশব্দে ওই সুরের সৃষ্টি।

 

আমরা কী করতে পারি:

বারবার গোঙানি

কেউ ফিরেও তাকায় না

রুখে দিতে পারি সব বিহ্বল প্রতিবাদে— 

সবকিছু পেছনে থাকে পড়ে

 

কুড়েমি তার অস্পষ্ট গান গায়, আর

অসহ্য নীরবতা হাওয়ায় মিলায়

 

না, গানও লাগছে না ভালো!

সৌন্দর্য-পিপাসা আরো বেশি

দখলে নিয়েছে অনিচ্ছুক সত্তা—

পড়ে যাচ্ছি সময়ের মতো

কাব্যগ্রন্থ : কোথাও যেনো কিছু ঘটেছে

 

প্রণয়

আকাশ শুয়ে আছে মাটিতে

ওই দূরে, অদৃশ্য আর দৃঢ়

 

তুমি সেজেছো তোমার চুলেরই রঙে

তোমার চোখ, পোশাক আর কণ্ঠও তাই

দেবী তুমি

নিজেকে বিলিয়ে মরি

শিহরনে।

 

হয়ত তুমি অনন্যা

ক্ষমাহীন অধরা তুমি

যদি আমি পাখি হতাম

 

আমাকে চূর্ণ করে দেয়

তোমার স্পষ্টতা

বিশ্বাসের মতো

আমি তোমাকে দেখি আর

কেঁপে কেঁপে উঠি

 

তুমি বলো, আমি আছি নিশ্চুপ

গ্রহণ করো আমার কঠোরতা

গ্রহণ করো আমার স্থবিরতা

গ্রহণ করো আমার ভালোবাসা।

কাব্যগ্রন্থ : মহৎ শব্দের বিশ্বকোষ থেকে।

//জেডএস//
সম্পর্কিত
ভাঙা হাটের দিন
প্রিয় দশ
প্রিয় দশ
সর্বশেষ খবর
সূর্যকুমারের ছক্কায় সেঞ্চুরি ও মুম্বাইয়ের জয়
সূর্যকুমারের ছক্কায় সেঞ্চুরি ও মুম্বাইয়ের জয়
ক্ষতচিহ্নিত হাড়মাংস অথবা নিছকই আত্মজনের কথা
ক্ষতচিহ্নিত হাড়মাংস অথবা নিছকই আত্মজনের কথা
চাইলেই কি বনের আগুন প্রতিরোধ সম্ভব
চাইলেই কি বনের আগুন প্রতিরোধ সম্ভব
একদিন আগে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
একদিন আগে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস