X
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
জন্মদিনে

সাহিত্যের পঞ্চবটী চিন্ময় গুহ

রাজু আলাউদ্দিন
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৩২আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৫২

চিন্ময় গুহর প্রথম যে বইটি পড়েছিলাম সেটি ছিল আঁদ্রে জিদের ‘La Porte Etroite’ উপন্যাস, তিনি যার বাংলা তর্জমা করেছেন ‘শীর্ণ তোরণ’ নামে (বাংলা নামকরণের কৃতিত্ব অনুবাদক অবশ্য কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের প্রাপ্য বলে উল্লেখ করেছেন)। বইটি বেরিয়েছিল ১৯৯৭ সালে। তার লেখা নিশ্চয়ই আরও আগে থেকেই পত্রপত্রিকায় পড়েছিলাম। তবে বই আকারে ওটাই সম্ভবত প্রথম পাঠ। তখনও পর্যন্ত চিন্ময় গুহ, আমার কাছে প্রধানত অনুবাদক, এবং বিরল অনুবাদকদেরই একজন। বিরল, কেননা তিনি ফরাসি ভাষা থেকে সাহিত্যপ্রসবের এক দয়ালু ধাত্রীর ভূমিকায়। আর আঁদ্রে জিদ সম্পর্কে যেহেতু একটা অদম্য কৌতূহল ছিল আগে থেকেই, তাই এই অনুবাদটি প্রকাশমাত্রই কিনে পড়তে শুরু করেছিলাম। আর এই অনুবাদ পড়তে গিয়েই তার ভূমিকাটিতে যখন বিলি কাটছিলাম, তখনই লক্ষ্য করেছি, তিনি নিছক অনুবাদক মাত্র নন, অর্থাৎ শুধু ভিন্ন একটি ভাষা-জানার যোগ্যতাই এই অনুবাদের মূল পরিচয় নয়, ফরাসি সাহিত্য সম্পর্কে তার পরিচ্ছন্ন ও গভীর জ্ঞানেরও এক নকশা ফুটে উঠেছে তার মৈত্রিঘনিম ভূমিকায়। আজকাল শুধুই ভাষা জানার নিঃসার ও নিরালম্ব খোলস নিয়ে কতজনই না অনুবাদজগতে সংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন। কিন্তু কী অনুবাদ করছেন কিংবা কেনই বা করছেন, তার কোনো সুগভীর জিজ্ঞাসা বা উপলব্ধি নিজের কাছে নেই। চিন্ময় গুহ এই দিক থেকে ব্যতিক্রম। কেবল এই অনুবাদগ্রন্থ পড়েই যে এমন এক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত টানা হচ্ছে, ব্যাপারটা মোটেই সেরকম নয়। এরপরেও তিনি যে-সব অনুবাদ করেছেন—প্রধানত ফরাসি সাহিত্যই—যেমন ‘আহাম্মকের অভিধান’, ‘অন্য জলবাতাস অন্য ঢেউ’, এগুলোর সম্মিলনে চিন্ময় গুহর অনুবাদকসত্তার একটি বৈশিষ্ট্য যে কেউ আন্দাজ করতে পারবেন। বিশ্বসাহিত্য সম্পর্কে তাঁর পাঠের পলিতে গড়ে ওঠা ‘ঘুমের দরজা ঠেলে’, ‘হে অনন্ত নক্ষত্রবীথি’ কিংবা ‘বিন্দু থেকে বিন্দুতে’ যদি কেউ পাঠ করে থাকেন, তাহলে তিনি জ্ঞানের জগতে বিশ্বনাগরিকত্বের বিরল অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন নিশ্চিতভাবেই। কিন্তু চিন্ময় গুহ তার পাঠককে কেবল ওই নাগরিকত্ব দিয়েই লেখক হিসেবে নিজের দায়কে সীমাবদ্ধ রাখেননি। পাণ্ডিত্যকে তিনি কাব্যরসে উত্তীর্ণ করেন, তথ্যকে তিনি রূপান্তরিত করেন জ্ঞানে, আর গদ্যকে তিনি প্রাণবন্ত করে তোলেন কল্পনার পত্রপল্লবে। এলিয়ট যে আক্ষেপ করে বলেছিলেন : ‘Where is the wisdom we have lost in knowledge? Where is the knowledge we have lost in information?’ 

চিন্ময় গুহর গদ্য আমাদেরকে সেই আক্ষেপ থেকে মুক্ত করে। মানে তার প্রবন্ধগুলো পড়লে আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না যে তিনি কেবল তথ্যের ভাণ্ডরী নন, তিনি শুধুই শব্দের কারবারি নন, তিনি নন অন্তঃসারশূন্য বাক্যের জনক। যে-অন্তসারশূন্যতার অসারতা বুঝাতে গিয়ে জীবনানন্দ দাশ সেই কবে আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছিলেন কোন এক অধ্যাপকের প্রতিকৃতি এঁকে:
‘সঞ্চয় করেছি বাক্য শব্দ ভাষা অনুপম বাচনের রীতি।
মানুষের ভাষা তবু অনুভূতিদেশ থেকে আলো
না পেলে নিছক ক্রিয়া; বিশেষণ; এলোমেলো নিরাশ্রয় শব্দের কঙ্কাল;

জ্ঞানের নিকট থেকে ঢের দূরে থাকে।’

গদ্য যদি—জ্ঞানের, কিংবা আরেকটু এগিয়ে যদি বলা যায় প্রজ্ঞার দ্বারা প্ররিশ্রুত না হয়, যদি না নিষিক্ত হয় কল্পনার দ্বারা, তাহলে সেই গদ্য নিরাশ্রয় কঙ্কাল ছাড়া আর কী! চিন্ময় গুহর গদ্য কাব্যবোধ দ্বারা স্পন্দিত, এই গদ্য শৈলীগুণে বিরল প্রজাতির। এই গদ্যে পাণ্ডিত্য যেমন আছে, তেমনি আছে কাব্যগুণ, আছে কল্পনার স্ফূর্তি, কিন্তু সেও হৃদয়ের যুক্তিতে বাধা। আর তাই চিন্ময় গুহর গদ্য পাণ্ডিত্যমধুর। আমাদের বাংলাভাষায় পাণ্ডিত্য শব্দটি অনেকটাই নিন্দাচ্ছলে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তার কারণও আছে। কারণ অনেকেই শুষ্ক ও অসার পাণ্ডিত্য দিয়ে পাঠককে আগাগোড়া পীড়িত করেন। এমনিতেই আমরা এক পাঠবিমুখ জাতি, তার উপর যখন এই নিপীড়ন চলে, তখন সাহিত্যের প্রতি বা জ্ঞানের প্রতি পাঠকের আগ্রহ জাগ্রত হওয়া দূরের কথা, ভয়ে সস্তা বিনোদনেই সে আশ্রয় খুঁজে নেবে। পাঠকদের মধ্যে জ্ঞানের তৃষ্ণা বা প্রেম জাগ্রত করার জন্য লেখকের দায় আমরা যদি স্বীকার করি তাহলে সাহিত্যসমালোচনামূলক গদ্যের ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা খুব বেশি তারিফ করার মতো নয়। আজকাল চিন্তাশীল এবং একই সাথে সুস্বাদু গদ্যের সংকট ভয়াবহ। আমাদের শত শত লেখক, অথচ ভালো প্রাবন্ধিকের সংখ্যা একেবারেই করমেয়। আর যদি শৈলীগুণে ব্যতিক্রমী গদ্যরচয়িতার কথা বলি তাহলে সেই সংকট এতটাই প্রাচুর্যে মোড়ানো যে মনে হবে আমরা বুঝিবা মরুর সেই বেদুইন চারিদিকে যার ধূধূ বালিরাশি। ঊষর লেখকদের কাছে ভাষা যেন স্রেফ বাণিজ্যিক কাজ চালাবার জিনিস, যেন ভাষার সৌন্দর্য বলে কিছুই নেই। অথচ এই ভাষাতেই প্রবন্ধে বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, শঙ্খ ঘোষ, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, আবদুল মান্নান সৈয়দ, হুমায়ুন আজাদ প্রমুখের আবির্ভাব ঘটেছে যাদের হাতে গদ্য তার শৈলীগুণে পেয়েছে স্বাতন্ত্র্যের মহিমা। চিন্ময় গুহ এই ধারার উজ্জ্বল প্রভাকর, উত্তরাধিকারী। তার ‘ঘুমের দরজা ঠেলে’, বিন্দু থেকে বিন্দুতে,’ কিংবা ‘হে অনন্ত নক্ষত্রবীথি’ গ্রন্থে বাংলা গদ্যকে তিনি হৃতগৌরব ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই তিন গ্রন্থের প্রতিটি প্রবন্ধে অভঙ্গ ভারসাম্যে তিনি রচনা করেছেন বাক্যপুঞ্জ। তার গদ্য উদ্ভিজ্জ, ইন্দ্রিয়মধুর আর শ্রুতিস্নিগ্ধ লহরী গুণে সুপাঠ্য হয়ে উঠেছে। এই গদ্য আমাদের চৈতন্যকে অবমুক্ত করে ভাষিক শিল্পিতায়, যেমনভাবে ইন্দ্রের সভায় বেহুলা তার লখিন্দরকে মৃত্যুপুরী থেকে জীবিত ফিরিয়ে এনেছিলেন শৈল্পিক গুণের মাধ্যমে। "সবসময় কবি হয়ে থেকো, এমনকি গদ্যেও।"—শার্ল বোদল্যেরের এই উক্তির মান্যতা তার গদ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এসেছে। চিন্ময় গুহ যে-নিষ্ঠায় ও মমতায়, যে-শিল্পবোধ নিয়ে বাংলা গদ্যকে নির্মাণ করে যাচ্ছেন তার পেছনে উত্তরাধিকারের পরম্পরা খুব দীর্ঘ নয়, এমনকি এই গদ্যের বয়সও—ইউরোপিয় প্রধান ভাষাগুলোর গদ্যের ঐতিহ্যের তুলনায়—খুব বেশি নয়। কিন্তু এই নওল-কিশোর-গদ্যে এখনও যে বিপুল সম্ভাবনা নিহিত আছে, তা আমাদের লেখকরা খুব কমই উপলব্ধি করতে পারেন। এই উপলব্ধি করাটাই এক পা এগিয়ে থাকার শামিল। এই সূত্রে স্প্যানিশ ভাষার সীমাবদ্ধতা নিয়ে বোর্হেস এবং নেরুদার সেই কৌতুকর কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাল্কা মেজাজের আলাপচারিতার কথাটা আমাদের মনে পড়বে: “And then we fell to speaking of the Spanish language. And we came to the conclusion that nothing could be done with it, because it was such a clumsy language, and I said that was the reason that nothing whatever had ever been done with it..” (Conversations with Jorge Luis Borges, Richard Burgin, 1969, P-95) 
৫/৬ শ’ বছরের দীর্ঘ এক গদ্যের ঐতিহ্য থাকার পরও স্প্যানিশ ভাষার এই দানবীয় প্রতিভার কাছেও মনে হয়েছিল স্প্যানিশ ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু করা সম্ভব নয়, কিন্তু এও তো সত্যি যে তারা দুজনই—একজন কবিতায়, অন্যজন গদ্যে—এমন দুই দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন যার তুলনা অন্য ভাষাতে সচরাচর দেখা যায় না। বাংলা ভাষায়ও—রবীন্দ্রনাথের ওই উপমাবহুল সুললিত গদ্যভাষা তৈরি হওয়ার আগে—কেই-বা ধারণা করতে পেরেছিল, বাংলা গদ্যে এমন এক উল্লম্ফন ঘটবে? কিন্তু প্রতিভা সবই সম্ভব করে তোলে। চিন্ময় গুহর গদ্য আমাদের এই বিশ্বাসকে কেবল দৃঢ়ই করে না, একই সঙ্গে বাংলা ভাষার সম্ভাবনা সম্পর্কেও নিশ্চিত করে তোলে।  চিন্ময় গুহ রচিত গ্রন্থসমূহ
কিন্তু এই ভাষাশিল্পীর পরিচয় কেবল অনুবাদ ও গদ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, গবেষণা আর সাক্ষাৎকার নামক জনরাতেও আছে তার হীরকোপম ঔজ্জ্বল্য। এলিয়ট আমাদের কাছে কেবল পরিচিতই নয়, সম্ভবত ইংরেজিভাষী লেখকদের মধ্যে শেক্সপিয়রের পরেই সবচেয়ে পঠিত ও চর্চিত এক কবি। আমরা কেবল দূর থেকে এটুকুই জানি এলিয়ট বহু ভাষায় অভিজ্ঞ ছিলেন। জানতেন সংস্কৃত ভাষাও। কিন্তু ফরাসি ভাষা জানার সূত্রে এলিয়ট কতটা ঋণ গ্রহণ করে নিজের প্রতিভাকে সমৃদ্ধ করে তুলেছিলেন সেই হদিস আমরা কজনই বা জানি? কিংবা ফরাসি ভাষায় অনভিজ্ঞ সেইসব ইংরেজিভাষী লেখক পাঠকরাও কি জানতেন? ফরাসি ভাষায় জবরদস্ত আলেম চিন্ময় গুহ আমাদেরকে সেই অজ্ঞতার কারাগার থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন ‘Where the Dreams Cross : T. S. Eliot and French Poetry’ নামক তার অসামান্য গবেষণাগ্রন্থের মাধ্যমে। এলিয়টের সৃজনী সত্তায় ফরাসি কবিতার অভিঘাত কতটা ফলপ্রসূ হয়ে উঠেছিল এই গ্রন্থে চক্ষুউন্মীলক পর্যবেক্ষণ আর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের মাধ্যমে তুলে তিনি ধরেছেন। 
আর ‘আয়না ভাঙতে ভাঙতে’ তিনি প্রবেশ করেন সাহিত্যের অন্য এক দিগন্তে যেখানে প্রতিফলিত হয় দুই ব্যক্তিত্বের হাতে গড়া যৌথশিল্পের এক অভিন্ন অবয়ব। সাক্ষাৎকার নামক বাচনিক শিল্পেও চিন্ময় গুহ আমাদেরকে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ মনীষার সঙ্গে এতটাই অন্তরঙ্গ করে তোলেন যে মনে হবে আমরা যেন লেখকদের নিহিত পাতালছায়ায় প্রবেশের বিরল অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। সতর্ক ও সুকৌশলে তিনি তার প্রশ্নের সিঁড়ি বেয়ে এগোতে থাকেন আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে। প্রশ্নের যথাযথতা ও লক্ষ্যভেদী জাল ফেলে লেখকের তলদেশের সঞ্চরমাণ অনুভূতি ও উপলব্ধির রঙিন মাছগুলোকে তিনি আলতোভাবে তুলে নিয়ে আসেন।
অর্থাৎ অধ্যাপনা, অনুবাদ, সাক্ষাতকার, গদ্য আর গবেষণা মিলে চিন্ময় গুহ আমাদের সাহিত্যের সেই প্রাকৃত ও স্বাস্থ্যকর পঞ্চবটী যেখানে সবুজ বাতাস বহমান, যেখানে চিন্ময় গুহর শব্দকুল সতত সঙ্গীতময়। তার গদ্যের গহিন অরণ্যে শব্দের “হরিণেরা খেলা করে হাওয়া আর” অর্থের “ হীরার আলোকে”। প্রিয় লেখক চিন্ময় গুহ, আপনাকে জন্মদিনের উষ্ণ আলিঙ্গন।

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
বেগম রোকেয়া দিবসধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে মহীয়সীর বসতভিটা, ৫ বছর ধরে বন্ধ স্মৃতিকেন্দ্র
শেখ ফজলুল হক মনির ৮৫তম জন্মদিন আজ
রেজাউদ্দিন স্টালিনের কবিতাবিবিধ ঘটনাবলির যোগসূত্র
সর্বশেষ খবর
নির্বাচনে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে সরকার-ইসিকে দায় নিতে হবে: আসক
নির্বাচনে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে সরকার-ইসিকে দায় নিতে হবে: আসক
এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
জনগণের সেবক হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
জনগণের সেবক হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
নিশ্চিত করলেন প্রেম, উসকে দিলেন বিয়ে গুঞ্জন!
নিশ্চিত করলেন প্রেম, উসকে দিলেন বিয়ে গুঞ্জন!
সর্বাধিক পঠিত
একাধিক দেশের ৯০ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার নিষেধাজ্ঞা
মানবাধিকার লঙ্ঘনএকাধিক দেশের ৯০ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার নিষেধাজ্ঞা
যাত্রীসেবা বাড়াতে ৪ অঞ্চলে ভাগ হচ্ছে রেলওয়ে
যাত্রীসেবা বাড়াতে ৪ অঞ্চলে ভাগ হচ্ছে রেলওয়ে
যাত্রাবিরতির দাবিতে ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ ট্রেন থামিয়ে মানববন্ধন
যাত্রাবিরতির দাবিতে ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ ট্রেন থামিয়ে মানববন্ধন
বাংলাদেশে উৎপাদন হলো বিশ্বসেরা কফি, কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা
বাংলাদেশে উৎপাদন হলো বিশ্বসেরা কফি, কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা
ট্রাভেল ট্যুর প্যাকেজের নামে কোটি টাকার প্রতারণা
ট্রাভেল ট্যুর প্যাকেজের নামে কোটি টাকার প্রতারণা