X
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
৩০ বৈশাখ ১৪৩২

রাজু আলাউদ্দিনের আকাঙ্ক্ষার মানচিত্র…

সনৎকুমার সাহা
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:০০আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:০০

আমি সাহিত্যের কোনো মনোযোগী পাঠক নই। পড়াশোনা নিতান্তই কম। আর খাপছাড়া। ভালো লাগা-খারাপ লাগা, সবটাই ব্যক্তিগত। পেছনে কার্যকারণের ধারাবাহিকতার দিকে নজর পড়ে সামান্যই। আর, আজকাল ইচ্ছাটাও মরতে বসেছে। চোখ-কান-মাথা জুড়ে আলসেমির দাপট। বাধা দেই না। স্বেচ্ছায় তাতে গা ভাসাই।
          ক’বছর আগে একটা বই পড়ি। দক্ষিণে সূর্যোদয়। লেখক, রাজু আলাউদ্দিন। আমি চমকে যাই। এই নামটার সঙ্গে সে-ই প্রথম পরিচয়। অথচ পরে জানতে পাই, তিনি অজ্ঞাত কুলশীল নন। কবিতা লেখেন। গদ্যও। কোনোটিই গতানুগতিক নয়। তেমন যে নয়, বইটির পাতায়-পাতায় তার ছাপ। মেক্সিকোয়-দক্ষিণ আমেরিকায় স্প্যানিশ ভাষার বিশাল সাম্রাজ্যে রবীন্দ্রনাথ যে একসময় আলোড়ন জাগিয়েছিলেন, তাই নিয়ে এই বই। অবশ্য সুতোর টানে খোদ স্পেনে হিমেনেথ দম্পতির ও আরো ক’জনের আগ্রহের ও আত্মস্থ করার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে আসে। এতদিন আমার জানা ছিল শুধু ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো-কথা। তাও স্প্যানিশ প্রেক্ষাপট মনে করে নয়। রবীন্দ্রনাথের প্রতিভা ও ব্যক্তিমায়ার তৃপ্তিকর তথ্য হিসেবে। এখানে কিন্তু বিষয়মুখটা ঘুরিয়ে দেওয়া। দক্ষিণ আমেরিকায় স্প্যানিশ সাহিত্যের সৃষ্টিকুশলময় রবীন্দ্রনাথ কতটা প্রেরণা জুগিয়েছেন, অথবা, প্রতিহত হয়েছেন, সেটি ওই ভাষার সমকালীন সাহিত্যকাণ্ড বা পরবর্তী তর্ক-বিতর্ক থেকে আপন নিরাসক্তি পুরোপুরি বজায় রেখে তিনি সাবলীল দক্ষতায় সর্বাঙ্গীন করে ফুটিয়ে তুলেছেন। এমন বই আমি আগে পড়িনি। পরেও না। কিন্তু আমাদের দেখবার চোখ পুরোপুরি খুলে দেওয়ায় এ যে কী অসাধ্য-সাধন করে, তা ভেবে মনে বিস্ময় জাগে, কৃতজ্ঞ থাকি। তাঁর এই কাজের পেছনে একটা প্রেরণা, প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে, অনুমান, তাঁর জীবনসঙ্গিনী মেক্সিকো-কন্যা, যাঁর মাতৃভাষা স্প্যানিশ, বেড়ে উঠেছেন যিনি ওই আবহেই। সম্ভবত এর একটা পরিণাম, জেনে, অথবা না জেনে, রাজু আলাউদ্দিন এখন বহন করছেন বাংলা ও স্প্যানিশ, উভয় সাহিত্য-সংস্কৃতির ঐতিহ্যের স্বাভাবিক উত্তরাধিকার। বাংলায় তাঁর কাজে আলোর মিশ্র প্রকাশ ঘটে। তা আভিনব ও সমৃদ্ধ। আমাদের দৃষ্টি প্রসারিত হয়।
          শুধু এই কথাগুলো বলা আমার লক্ষ্য নয়। আসলে মূল কথায় আসার জন্য বলা যেতে পারে, এ গৌরচন্দ্রিকা। তিন বছর আগে তাঁর কবিতার বই একটি প্রকাশ পেয়েছে। নাম : ‘আকাঙ্ক্ষার মানচিত্র গোপনে এঁকেছি’—সবই বাংলা কবিতা-ঐতিহ্যে বাগবিধিতে, স্বপ্নকল্পনায়, আত্মস্বরূপে নির্ভুল এই পরিচয়। কিন্তু তার পরেও ফল্গুধারার মতো শৃংখলা, সংযমও পরিমিতিবোধ যেন অন্তঃসলিলা বয়ে যায়, যা কবিকে আলাদা করে চেনায়। মনে হয় বাড়তি কিছু আছে।
          বইটির আর এক বৈশিষ্ট্য, এ দ্বিভাষিক। প্রতিটি কবিতার সঙ্গে তার ইংরেজি অনুবাদ আছে। তবে অনুবাদক আর একজন, নাম, বিনয় বর্মন। শুরুতে ভূমিকাও ইংরেজিতে তাঁর লেখা। অনুষঙ্গে, এই সময়ে বাংলাভাষার অন্যতম সেরা কবি মোহাম্মদ রফিকের সপ্রশংস মূল্যায়ন,—ইংরেজিতেই। যারা বাংলা জানেন না, তাঁরাও ইংরেজি মাধ্যমে কবিতাগুলোর সুর স্বাদ ও মূল্যায়ন একসঙ্গে পাবেন। আজকের বহুভাষিক বাস্তবতায় এর মূল্য কম নয়। এখানে এই বইটি নিয়েই আমার কথা। তবে তা শুরুর আগে আরো একটু আবোলতাবোল বকবক করে নেই। লেখার সবটাই যে তেমন হবে না, ঐ নিশ্চয়তা কিন্তু দিতে পারি না। ‘পড়েছি মোগলের হাতে…’ এই প্রবাদ বাক্যটির সবটা যেন অগত্যা যাঁরা পড়ছেন, তাঁরা অনিচ্ছাতে হলেও হজম করতে রাজি থাকেন। মিনতি আমার এইটুকু।
          আমরা জানি, কবিতার অনুবাদে তার অনেক লাবণ্য, অনেক সৌকর্য হারিয়ে যাবার আশংকা থেকে যায়। বিশেষ করে মূল ভাষা ও অনুবাদের ভাষা যদি দুই পরস্পর বিচ্ছিন্ন সাংস্কৃতিক বলয়ে বিকশিত হয়ে থাকে। গীতাঞ্জলি পর্ব থেকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর কিছু কবিতা নিজেই ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। কিন্তু এতে তাঁর আত্মবিশ্বাস কখনোই খুব প্রবল ছিল না। শেষে হাল ছেড়ে দেন। যেটুকু অনুবাদ তিনি করেছেন একটু খুঁটিয়ে সেদিকে দৃষ্টি দিলে সহজেই ধরা পড়ে, বাংলায় পেলব বা গভীর অনুভবের দ্যোতনা ইংরেজিতে আসেনি। অনেক জায়গায় আক্ষরিক অনুবাদ কষ্টার্জিত বা কৃত্রিম। কোথাও কোথাও সংক্ষেপিত, ফলে তুলনায় আড়ষ্ট। উপমা-বা রূপকল্পনা হাস্যকরভাবে আবেগরিক্ত, ফলে মরা ডালের মতো নিষ্প্রাণ, অথবা আগাছার মতো শ্রীহীন। তারপরেও যদি তিনি ইংরেজি অনুবাদে নতুন মূল্য সৃষ্টি করে থাকেন, তবে তার কারণ তাঁর অলোকসামান্য প্রতিভা। একই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে বিভিন্ন ভাষায় পারস্পরিক অনুবাদ সমস্যা এমন অসেতুসম্ভব হবার কথা নয়। য়োরোপ ও আমেরিকার ভাবনা ও কর্মপ্রবাহ গত প্রায় পাঁচশ বছরের যোগাযোগে বিষয়টি সেই-রকমই দেখায়। এই উপমহাদেশেও তেমনই হওয়া স্বাভাবিক। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উদ্ভব ও বিকাশে এই লক্ষণ প্রত্যাশিতভাবে স্পষ্ট। কিন্তু ইংরেজির মাধ্যমে য়োরোপীয় সংযোগে এই ধারা এখন শীর্ণ। যদিও কথ্য সংস্কৃতিতে, সঙ্গীতে আদান-প্রদান আগের মতেই সচল। হয়তো যোগাযোগ আরো ব্যাপক। এখানে চলচ্চিত্রের অবদান কম নয়।
          কিন্তু য়োরোপ-আমেরিকান সাংস্কৃতিক বলয় এতটাই ভিন্ন ছিল যে সেখানে আমাদের পরম্পরার অভিঘাত প্রায় কিছুই কোনো দাগ কাটে না। যদিও উত্তমর্নের ভূমিকা এদেশের ওপরমহলে গ্রহণ-বর্জনে তারা যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। বেশ কিছু নিচু তলাতেও চুঁইয়ে পড়ে। পাশ্চাত্য সাহিত্য-সংস্কৃতির অনুবাদ ও অনুকরণ আমাদেরও কৌতূহল জাগায়। কিছুটা বা জীবনযাপনের অভ্যাসে মেশে।
          অবস্থার একটা গুণগত পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে গত শতকের আশির দশক থেকে। তার আগে সত্তরের দশকে তথ্য-প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, চাই-বা-না চাই, পৃথিবীজুড়ে মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগে সম্ভাবনার বিচিত্র পথের দিশা চোখের সামনে এঁকে দেয়। নিজেরদের অজানতেই আমরা ঘর-বারের সীমারেখা মুছে ফেলতে থাকি। আপন-আপন ভাষায় প্রয়োগ কুশলতায় ও চিত্রকল্পনাতে এর অলক্ষ প্রভাব পড়তে শুরু করে। ফলে তা সম্পূর্ণ আত্মসচেতন হয়েও বিশ্বের সংযোগে ভিড়ে যায়। অনুবাদের কাজ মূল কাঠামো ও মূল ভাবনার অনুসরণে পূর্ণ বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়েও সহজ, সাবলীল ও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। কবি বা অনুবাদক কাউকেই এজন্য আগের মতো সাংস্কৃতিক বিভিন্নতার দুর্ভেদ্য প্রাচীরের সামনে আটকে যেতে হয় না। অবশ্য অভিজ্ঞতা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কেউ যদি একুশ শতকে এসেও দেড় হাজার-দুজাহার বছর আগের মূল্যবোধের বোঝা ধ্রুবজ্ঞানে বয়ে বেড়াতে সদম্ভে খাড়া থাকেন, তবে তিনি এই প্রবাহে শামিল হতে পারেন না। পারেন না তাঁরাও, যাঁরা কূপমণ্ডুকতার স্বভাব থেকে বেড়িয়ে আসতে ভয় পান। রাজু আলাউদ্দিন এমন কোনোটিই নন। জীবনস্রোতে তিনি বিশ্বনাগরিক। ঘরের পরিবেশেও তারই অন্তরঙ্গ ছোঁয়া। একান্ত বাঙালি ভাবনাতেও তাঁর মিশে যায় এই সব। এদের পরিশ্রুত প্রবাহ কবিতায় তাঁর ভাষার নির্মাণ। ইংরেজি অনুবাদে তার স্বতঃস্ফূর্ত স্বাভাবিকতা ও মৌলিক সৌরভ অনেকটাই থেকে যায়। অনুবাদকের পরিচয় কিছুই জানি না। অনুমান, তিনিও একই পথের পথিক। মূল কবিতার আকর্ষণ, অনুভবের সূক্ষ্ম চলাচল, তিনি যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে বজায় রেখেছেন। এখানে অবশ্য তাদের নিয়ে আলোচনায় যাচ্ছি না। যাঁরা সত্যিকারের যোগ্য, তাঁরা তা করবেন।
          সাধারণত কবিতা ও গণিতের অহেতুসম্ভব ব্যবধান প্রসঙ্গে অনেকে বলে থাকেন, গণিতে পাই বিভিন্ন উপাদানের নানা রকম সম্পর্কে একক সমাধানের বা সমাধানরাশির প্রমাণ; আর কবিতা চলে অনুভবের মুক্তাকাশে ইচ্ছেমতো ওড়ার স্বাধীনতায়। এই বিভাজন যথার্থ কি না, এ নিয়ে সংশয় কিন্তু থেকে যায়। কবিতাও খোঁজে বাস্তবের বহুবিধ কল্পনায় অন্বয় ও অন্বয়ের অন্তর্জালে স্থিতি ও অস্থিতির বিন্যাস। প্রত্যক্ষের দৃশ্যাবলি ও কর্মচঞ্চলতা মায়া জাগায়। তাকে পূর্ণপ্রাণের সমারোহে জাগ্রত করে অন্তরালের সম্পর্ক-সম্বন্ধে কান পেতে গন্ধ-বর্ণময় ধ্বনির ঐশ্বর্যে অর্থের বা তাৎপর্যের শিল্পিত অন্বেষণে কবির অভিনিবেশ। গণিতে চলকরাশির মতি-গতি ও স্থিতি বা অস্থিতির সম্পর্কের নিষ্কাশনে যে তৃপ্তি, কবিতাতেও মায়ার আড়ালে রসের খেলায় অশেষের পেছনে ছোটায় সেই অন্তহীন যাত্রার আকর্ষণ। তবে গণিতের উপাদান বস্তুনিরপেক্ষ চিহ্ন বা সংখ্যা, যারা আত্মসাৎ করতে পারে বিশ্ব-মহাবিশ্বের যাবতীয় তাড়নার নিরাসক্তিকে; বিপরীতে কবিতার ভিত্তিভূমি ষড়ৈশ্বর্যশালিনী আসক্তির সমাহার। সেও ছোটে সচ্চিদানন্দ সমাহিতির খোঁজে। এই রকম ছোটার নমুনাই পেলাম রাজু আলাউদ্দিনের কবিতাগুলোয়। স্থান-কালের আড়াল থাকলেও বাণীরূপ তাকে অতিক্রম করতে চায়। বোধ হয় এই কারণেই এরা অধিকতর অনুবেদ্য। প্রকৃতি-পরিবেশের একান্ত সীমায় আটকে থাকে না। এই সীমাই কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে প্রতিহত করেছিল। তিনি অবশ্য আজকের প্রযুক্তিবিপ্লবে মানববাস্তবতায় প্রসারমান সমজাতীয়তা প্রত্যক্ষ করেননি।
          বইটির নাম—‘আকাঙ্ক্ষার মানচিত্র গোপনে এঁকেছি’—এখানেই ‘ভালোবাসার ওক্সিমোরন’ কবিতাটির এক চরণ থেকে কেটে নেওয়া। ‘ওক্সিমোরন’ তাৎক্ষণিকভাবে শুধু ওই শব্দের ব্যবহারেই বৈপরীত্যে সামঞ্জস্যের ব্যঞ্জনা ইংগিতময় করে তোলে। এভাবে ইশারায় সমগ্রের বিশেষত্ব ফুটিয়ে তোলা, অথবা, তার কোন মেজাজে দৃষ্টি আকর্ষণ করা এই সময়ের কবিতায় নতুন তাৎপর্য আনে। অবশ্য তা প্রাণবান হলে তবেই। রাজু আলাউদ্দিনের এই কবিতাসংকলনে এর দক্ষ প্রয়োগ বারবার আমাদের মুগ্ধতা কেড়ে নেয়। প্রেক্ষাপটে বিবিধ বিচিত্র আলো ফোটে। বহুমুখে ধায়। অনুভবে প্রসারণ ও সংকোচন একই শব্দসীমায় ঘটে চলে। কৃত্রিম মনে হয় না। চেতনার স্বাভাবিকতাতেই এমনটি মানিয়ে যায়। যেমন ‘আকাঙ্ক্ষা’ অসীমের অভিসারী হতে পারে, আবার তাকে বিশেষ কোনো প্রত্যক্ষের অভিমুখীও ভাবা যায়। ‘মানচিত্রে’ সমুদ্র বইয়ের পাতায় কতটুকুই-বা জায়গা নেয়, কিন্তু বাস্তবে তার কূল-কিনারা মেলে না। ‘গোপনে আঁকা, আর, উত্তমপুরুষে বলা মুহূর্তে একে ব্যক্তির অস্তিত্বে, তার সমস্ত বৈপরীত্য ও বিপন্নতা নিয়ে, নির্দিষ্ট করে। আমরা বর্তমানের অনিশ্চিত সম্ভাবনা রাশি স্পর্শ করি। সম্ভাবনা ও প্রত্যাশা, উভয়ের সামনেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন তোলে। কবিতায় কিন্তু ভারসাম্য বজায় থাকে। তারিফ করি। নতুন কিছু পাই। তা আমাদের কল্পনায় মানববাস্তবতাকে এক ইন্দ্রয়গ্রাহ্য সম্প্রসারিত, কিন্তু অন্তর্জগতে সতত পরিবর্তনশীল, প্রেক্ষাপটে স্থাপন করে। বাংলাভাষার নিজস্ব সংবেদনশীলতা ও ঐতিহ্যলালিত পরিকাঠামো কিন্তু হারিয়ে যায় না। তারা বরং অভিনব অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়। সাহসীও।
          বইটির আরো অনেক কবিতা আমাদের চেতনায় আলোড়ন তোলে। কল্পমায়া ‘নূতন আভরণে’ নূতন রূপ পায়। বিশ্বাস বা অভ্যাসের জগতেও আকস্মিক হানা দিয়ে তাতে অপ্রত্যাশিত জীবনের স্পন্দন জোগায়। ‘ঢাল-তলোয়ার ঝনঝনিয়ে’ বাজে না। লাবণ্য অটুট থাকে কিন্তু পাঠাভ্যাসে ঝাঁকি দেয়। তা কল্যাণকর। সর্বান্তঃকরণে একে স্বাগত জানাই।
          সব কবিতাই কিন্তু এক একটি পূর্ণাঙ্গ সৃষ্টি। মেদহীন, স্বয়ম্প্রভ, মার্জিত ও ব্যাকুল। রজনিগন্ধা ফুলের মতো। কোনো নমুনা খাড়া করতে চাই না। প্রত্যেক কবিতার উপলব্ধি ও উপভোগ, তার সবটা নিয়ে। বিস্ময়ের সংযোজনাও। এদের খণ্ডিত করা সংগত মনে করি না।

মূল নাম : আকাঙ্ক্ষার মানচিত্র গোপনে এঁকেছি। ইংরেজি নাম : Secretly have i drawn the Map of Desire. English Translation : Binoy Barman. Edited by Khaliquzzaman Elias. Published by Kheya Prokashan. First Published Ekushe Boimela, 2017. Cover : Masuk Helal. Price : 250.

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রোহিঙ্গাদের জন্য ৩১৬ কোটি টাকায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান
রোহিঙ্গাদের জন্য ৩১৬ কোটি টাকায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান
নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে: আমির খসরু
নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে: আমির খসরু
এক নম্বর হতে চান মিরাজ
এক নম্বর হতে চান মিরাজ
ইস্তাম্বুলে রুশ প্রতিনিধি নয়, পুতিনের সঙ্গে বৈঠক চান জেলেনস্কি
ইস্তাম্বুলে রুশ প্রতিনিধি নয়, পুতিনের সঙ্গে বৈঠক চান জেলেনস্কি
সর্বাধিক পঠিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
স্বর্ণের দাম আবার কমলো
স্বর্ণের দাম আবার কমলো
সুস্থ তটিনী, তবে শুটিংয়ে ফেরার মতো নয়
সুস্থ তটিনী, তবে শুটিংয়ে ফেরার মতো নয়
পাকিস্তানে ভারত হামলা করলে সহায়তা করবে বালুচ লিবারেশন আর্মি
পাকিস্তানে ভারত হামলা করলে সহায়তা করবে বালুচ লিবারেশন আর্মি