X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিথের যৌক্তিকতায় যাপনচিত্র

রিসতিয়াক আহম্মেদ
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৩আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৩

নিভৃতচারী গল্পকার শারেফ আহমাদ জানেন মিথের অনিবার্যতা। প্রেজেন্ট করেন মিথের যৌক্তিকতায় আমাদের যাপনচিত্র এবং আমাদের নাগরিকত্বের উল্লম্ফন। তার মানে কি আমরা এখনও ট্রাইবাল থেকে বের হতে পারলাম না? নাকি এটি আমাদের মনোজগতের সেই স্লোপয়জনিক প্রবৃত্তি, মহাজাগতিক সেই কণা, যাকে আমরা বয়ে চলেছি শতাব্দী পরিক্রমায়; আমরা জানি না।

‘নিমফল’ গল্পে কবরস্থান ভেঙে মসজিদ রোডের ব্লক বি-এর যে বাড়িটি নির্মিত হলো, সেখানে কেন বলা হচ্ছে সময়ের নিষ্পাপ পদচারণায় চাপা পড়ে যায় ক্রোধের আর্তচিৎকার? এবং মাটি ফুঁড়ে বেরোয় আলোর ঝলকানি। কিংবা কেন আমরা একটি পরাজিত সৈনিককে এই জমিতে আবিষ্কার করতে পছন্দ করি। এই প্রশ্নগুলো সামনে রেখে বলতে চাই ধ্যানস্থ অবস্থায় সাড়ে তিন হাত তলোয়ারটির ওপর টুপির অংশবিশেষে তার স্বেচ্ছামৃত্যুর কেচ্ছা। আমরা কি প্রতিনিয়তই একজন মহনায়কের শূন্যতা অনুভব করি, কিংবা একজন মহাপুরুষের? এবং খুঁজে পেতে চাই একজন ইথিক্যাল ও মোরালিটির সাধুপুরুষকে। আর দেখতে চাই একজন সৈনিকর পরাজিত হয়ে সাধুর শিষ্যতে গ্রহণ করতে চাওয়া। আমরা দেখতে ভালোবাসি মৃত্যুও একজন সাধুর নিকট শিষ্যত্ব গ্রহণ করে। আমরা বুঝে নিতে চাই জন্মের উপহার ও মৃত্যুকে বরণ করার মেটাফর। এবং নিজেকে সমর্পণের মেজাজটি আমরা ভেতরে লালন করতে থাকি। আর তাই আমরা অভিশাপকে আবিষ্কার করি— বলতে চাই, আইনুদ্দিন-মইনুদ্দিনের পরিবার মারা যায় শকুনের অভিশাপে।

আমাদের জৈবিকতার আহারে নেমে আসতে হয় কখনও কখনও। আমরা হারিয়ে ফেলি চাপা স্বর, ভীত নিঃশ্বাস ও স্বনির্মিত সেই আশ্রয়স্থলটিকেও। রাতের তিন প্রহর পর্যন্ত জিকির করা লাল শালুতে ঢাকা সেই কবরখানাটি কতগুলি ঝোপঝাড়, কিছু উঁচু গাছ ও আগাছার আশ্রয়বাসে রূপান্তর হয়। এবং রূপান্তর হতে হয় সেই দেড়শতবর্ষী কড়ই গাছটিকে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি দেয়ালে। আর এক সময়ের স্বচ্ছ পানির খালটি রূপান্তর হয় পীরপুর মহল্লার সমস্ত আবর্জনার একমাত্র নির্ভারস্থল হিসাবে। সাথে আমাদের কল্পনার দোষে শকুনরা লোপাট হয়ে যায় ‘এ বি কোম্পানি লি.’-এর বড় হরফে। তবুও ভীতগ্রস্ততায় আমরা প্রত্নতত্ত্ব দৃষ্টিতে দেখে চলি ব্লক বি-এর দোতলা বাড়িটির অস্থিমজ্জা কাঠামো।

“... সাম্প্রতিক মানুষকে তুলে ধরার তাগিদে নিটোল গপ্পো ঝেড়ে তাঁরা তৈরি করছেন নানা সংকটের কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত ছোটগল্পের খরখরে নতুন শরীর।” (বাংলা ছোটগল্প কি মরে যাচ্ছে? —আখতারুজ্জামান ইলিয়াস)

শারেফ আহমাদ সমালোচকদের পিঠ চাপড়ানো থেকে সরে আসা সেই উদ্দীপ্ত যুবক। যে কিনা সমকালীন মানুষের প্রবল ধাক্কা খাওয়াকে উপযুক্ত শরীরে উপস্থাপনের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন এবং তাতে ছোটগল্পের মুমূর্ষু শরীরে প্রাণ সঞ্চারের চেষ্টা অব্যাহত।

নিম্নবৃত্ত জনগোষ্ঠি পাপে বিশ্বস্থ থাকে, সাথে সে পাপ করার সাহসও দেখায়। উচ্চবিত্ত ঈশ্বরের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে স্বৈরশাসকের ভূমিকায়। আর মধ্যবিত্ত? নৈতিকতার একটি ঝকঝকে পোশাক কেনার কসরত করে চলে আজীবন। অবশেষে পলায়নপর জীবনের উপঢৌকন হিসাবে পায় একটি ফ্ল্যাট। অতীতের বাঁচিয়ে চলা জীবনের বারবার ফাঁসিতে ঝোলার দৃশ্যগুলো দেখতে থাকে শখের বাগান করা বেলকনির ইজিচেয়ারটায়। সে বিশ্বাস করে বাঁচিয়ে চলা এই কৌশলের ফজিলতেই তার পৃথিবীর সমস্ত উপভোগ্যে পানাহারের বরকত নিয়োজিত। কিন্তু ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে গিয়েও সে পারে না। এমনকি সমর্পণেও তাঁর লাজুকতা প্রকাশ পায়।

জীবত্বের উচ্ছৃঙ্খলাকে শৃঙ্খলিত করার ভেতর দিয়ে প্রকাশিত হতে থাকে মানুষের অসহায়ত্ব। মানুষ সমর্পণের বেদী হিসাবে গ্রহণ করে ঈশ্বরকে। যদি স্রষ্টা-সৃষ্টির দূরত্বে তার নিরবধি পথ চলা। আর সেই পথ চলার ভেতর দিয়েই সে ভৌগোলিক সীমারেখায় হস্তক্ষেপের দুঃসাহস অর্জন করে। সংস্কার পন্থায় পরিচ্ছন্নতার একটা ছাঁচ তৈরি করে। কিন্তু সেখানে সকল আকৃতি স্থান পায় কি? আর তাই শারেফ আহমাদের সৃষ্ট চরিত্র বিন্নিকে (স্মৃতির অবিনাশী উপাখ্যান) আমরা ভোগ্যপণ্যে পরিণত হতে দেখি। এ থেকে আমাদের নিস্তার নেই। আমাদের জীবত্বের উচ্ছৃঙ্খলা মাথাচারা দিয়ে ওঠে। সালাউদ্দীন ওরফে সালু, যে কিনা যৌবনের নিষ্পাপ অনুভূতিগুলো একমাত্র বিন্নির জন্য ব্যয় করেছে, সেও অবশেষে শরাফত চেয়ারম্যান, লোকমান, মনির, শওকত, গেসুদের মতো পণ্য ভেবেই বিন্নিকে গ্রহণ করে। গল্পকারের সারকাজমের ভেতর আমরা পাই নারীর প্রতি নরের প্রতিশোধ নেওয়ার মাধ্যমটি। বিন্নি-শওকতের হাসি-ঠাট্টাকে প্রেমের উচ্ছ্বাস হিসাবে সালু গ্রহণ করে। সালুর মাথা থেকে হারিয়ে যায় শওকত বিন্নির একজন খদ্দের মাত্র। শওকতকে খুশি করাই বিন্নির কাজ। সালু প্রতিশোধের নেশায় বিন্নিকে ভোগ করে আর দশজনের মতোই। আর বিন্নির অশ্রুজলের ভেতর দিয়ে লেখক জানান দেন একজন ভোগ্য নারীর পুরুষের প্রতি অব্যক্ত বয়ান—সালু, তুমিও ব্যাডা মানুষ। আর সালু মধ্য বয়েসে এসে নিজের ছোট মেয়ের মুখে বিন্নির মুখায়ব খুঁজে পায় এবং চেঁচিয়ে বলে, “বিন্নি বিন্নিরে আমারে তুই মাফ কইরা দিস, বিন্নি আমার বিন্নিরে...”

মানুষ যে ভৌগোলিক সীমারেখায় হস্তক্ষেপের দুঃসাহস অর্জন করে সংস্কার পন্থায় পরিচ্ছন্নতার ছাঁচ তৈরি করল, সেখানেই শারেফ আহমাদের থিওলজিক্যাল দৃষ্টি আমাদের জানান দেয়—আদিম অস্তিত্ববাদের জন্মান্তরের প্রবাহমানতা। আমরা জেনে যাই রাষ্ট্রনায়করাও চার্চের শরণাপন্ন হতে বাধ্য। এও সত্য যে, গদা হাতে ইকবাল নামের ছেলেটি (যে কথা কোনো শেষ খুঁজে পায় না), যার মগজ কাফের, মুরতাদ, নাস্তিক, নাফরমান, মালাউন, ইহুদি, নাসারা, বিধর্মী, মূর্তিপূজক শব্দ-সাগরের ভেতর হাবুডুবু খাচ্ছে এবং ভাবছে তীরে উঠেই তার শহীদি আত্মা চিরায়াত স্বর্গের দুয়ারে পৌঁছে যাবে। সে দেখতে পেয়েছিল জিহাদ নামের এক ছেলেকে কুমিল্লার হোটেলে সকাল থেকে রাত অবধি নোংরা টেবিল পরিষ্কারের দৃশ্য। শারেফ আহমাদ আমাদের সামনে ইথিক্যাল-মোরালিটির বাজারকে উন্মুক্ত করে তোলেন। কতগুলো মিছিল, কতগুলো কলাম আর কতগুলো গবেষণাপত্র আমাদের জানান দেয় শ্রেণি-বৈষম্যের আঁতুড় ঘরের গন্ধ। আমরা ব্রাহ্মণ্যবাদের জালে আটকা পড়তে থাকি। এবং ফতোয়াবাজে প্রকাশ হতে থাকে ‘এ গড অব স্মল থিংস’। ফলত, আমাদের স্পিরিচুয়ালিটি নির্বাসিত হতে থাকে। শারেফ আহমাদ আমাদের সামনে সামাজিক বৈচিত্র্যকেও তুলে ধরতে সক্ষম হন। সক্ষম হন দ্বন্দ্বকে পরিষ্কার করতে। যা কিনা মানবসভ্যতা হাজার বছর ধরে রপ্ত করে চলে এসেছে। আমরা মেনে নেই জিহাদ একটি ধ্বংসের অস্ত্র, জিহাদ একটি মুক্তির অস্ত্র। কিন্তু আমাদের প্রকৃত মুক্তি মিলবে বিনিময় প্রথায়।

গল্পের বাজারে চিন্তাশীল পাঠক হতাশ হন নতুন চরিত্রের অভাবে। নাম গুলো শুধু পাল্টে যায়। অভ্যাস, রীতি, মেজাজ, তাপ-উত্তাপ সবই যেন কপি পেস্টের আওতায়। প্রেমের অনুভূতিতেও গভীরতম অসুখটি তারা নির্বাচন করতে যেন অক্ষম। তাহলে শারেফ আহমাদ কি নতুন কোনো চরিত্র আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন; নতুন কোনো ব্যথা? সমাজের গজিয়ে ওঠা নতুন কোনো শাখার কি হদিস দেন? কিংবা নতুন কোনো কর্তনের আর্তনাদ? শারেফ আহমাদের সৃষ্ট চরিত্রগুলো আমাদের কাছে রোমান্টিসিজমের হাওয়া বয়ে আনেন না। তাঁর চরিত্রগুলোকে আমরা ছুঁতে পারি, স্পর্শ করতে পারি। চরিত্রের সাথে কোলাহলমুখর জম্পেস আড্ডা দিতে পারি, বেনসন লাইট থেকে গোল গোল ধোঁয়া ওড়াতে পারি, চায়ের টেবিলে থাপ্পর মেরে প্রশাসনকে গালি দিতে পারি, সিস্টেমকে লাথি মারার স্পর্ধা রাখতে পারি। এমনকি রাত্রির নিস্তব্ধতার ভেতর দীর্ঘশ্বাসের বাতাসও আমাদের কানে এসে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু কেন? কারণ তিনি আমাদের সামনে তুলে ধরেন চরিত্রের নৃতাত্ত্বিক পরিচয়। যার দরুণ আমরা অপরাপর মিশে যেতে পারি।

‘মামুন হোসাইন’ গল্পটিতে আমরা মামুন হোসাইন নামেরই তিনটি চরিত্রের সন্ধান পাই। প্রথম মামুন হোসাইনকে আমরা দেখতে পাই অনুভূতির আকাশে মুক্ত বিহঙ্গের মতো চরে বেড়াতে। তারপর? অনুভূতির সর্বোচ্চ চূড়াকে স্পর্শ করেও কেন তাঁর ভেতর পরাধীনতার সুখ বাসা বাঁধে ? এমিলি ডিকন্সের কবিতা কেন স্টিভ জবসের প্রতিদিন ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙার জরিমানা হয়? আমরা জানি না। কিন্তু আমরা দেখি আমাদের ভেতরকার মামুন হোসাইনকে। কিন্তু আসলেই মামুন হোসাইন কে? ‘মামুন হোসাইন আমাদের শহরে ঘোলা আকাশে ম্রিয়মান একটি তারার মতো উজ্জ্বল হয়ে বিকিরণ করে আমাদের একঘেয়ে ক্লান্ত জীবনে।’

গল্পের দ্বিতীয় মামুন হোসাইন হিসাবে আমার খুঁজে পাই কথাসাহিত্যিক মামুন হোসাইনকে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস যেমন বলেছিলেন, “আমি ২৪ ঘণ্টাার লেখক। আমি যা কিছু দেখেছি একজন লেখকের চোখ দিয়ে দেখেছি।” শারেফ আহমাদ কি আমাদের একজন লেখক সত্তার সাথে মোলাকাত করাতে চান? কিংবা একজন লেখক, যিনি কিনা সমাজের ক্ষতগুলো সবার আগে টের পান এবং ক্ষতগুলোকে নগ্নভাবে আমাদের সামনে মেলে ধরেন। আমরা জানি প্লেটো তার কল্পিত রাষ্ট্রে কবিদের রাখতে চাননি। প্লেটো, আপনাকে আমাদের আধুনিক সমাজ থেকে একটি প্রবাদবাক্য- অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে? এবং আমরা মামুন হোসাইনের বক্তব্য থেকে কতিপয় শব্দ বুক পকেটে করে বাসায় আনি। অতঃপর রাত্রির নির্জনতার ভেতর কতগুলো কুকুরের ঘেউ ঘেউ ধ্বনিকে পেছনে ফেলে মেলাতে থাকি ‘পুরস্কার না তিরস্কার, নোবেল, টলস্টয়, সাম্রাজ্যবাদ, আমলাতন্ত্র, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, প্রান্তিক মানুষের জীবনরেখা, পেছন ফিওে দেখা এবং নিশ্চুপতা...’। শারেফ আহমাদ আমাদের মগজে প্রবেশ করিয়ে দেন বাদামি রঙের ভিন্নতা। আমাদের ক্যানভাসে একে একে প্রলেপ পড়তে থাকে হালকা বাদামি, গাঢ় বাদামি, ধূসর বাদামি, উজ্জ্বল বাদামি, ম্রিয়মান বাদামি, অস্পষ্ট বাদামি, অ্যাবস্ট্রাক্ট বাদামির চিত্রকল্প। আমাদের ভাঙা হাড়ে ব্যান্ডেজের লেয়ার পড়তে থাকে একে একে। এবং আমরা নিখোঁজ হওয়ার সাধনায় ব্রত হই।

আমরা যখন আধুনিক সমাজের নগরগুলোতে সারারাত্রি আলোর ব্যবস্থা করে আমাদের পরাশ্রয়ী নগ্নতাকে উদযাপন করে চলেছি, তখন শারেফ আহমাদ আমাদের সমাজের কাণ্ডকে ধরে সমস্ত জোর দিয়ে একটি ঝাঁকি মারেন। আমরা যারা শাখার পত্রবিন্যাসে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে নিজেদের খেয়ালে এতোদিন বসেছিলাম তারা নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হই, কেউ কেউ পতিতও হই।

আমরা দেখি গল্পের তৃতীয় মামুন হোসাইনের জন্মে নিরানব্বইজন ফকির মিসকিনদের ভেতর এলাকার ইমাম, চেয়ারম্যান, জোতদার, ইটখোলার ব্যাবসায়ী, পাড়া-প্রতিবেশীদের আল্লাহকে উৎসর্গকৃত গরুর মাংসে মধ্যাহ্নভোজ সাড়তে। মামুন হোসাইনের বাবা ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানানোর খোয়াব দেখেন। মামুন হোসাইন মায়ের পরম আদর এবং বাবার স্নেহমিশ্রিত শাসনে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষায় বেড়ে ওঠে। মামুন হোসাইন জীবনের ক্ষণস্থায়ী ত্বকে আবিষ্কার করে নবীর যাপন, পরকালের অনন্ত জীবন, হাসরের ময়দান, কিয়ামতের লক্ষণ এবং বেডিং কাপড়ের পুটলি নিয়ে মসজিদে মসজিদে ঘুরে বেড়ানো। আমরা শারেফ আহমাদের কথায় জানতে পারি—

“মামুন হোসাইন সুদূরের অতিথি পাখি
মামুন হোসাইন বিপন্ন লক্ষ্মী পেঁচা
মামুন হোসাইন থিকথিক ঘরে ফেরা চড়–ই
না হলে লাক্স সাবান
সাম্পান
খেজুর।

যদি কোনোটার মাঝেই মামুন হোসাইনকে চিনতে পারা না যায়, তবে একটা কথাতে নিশ্চিত হতে পারেন—তাদের প্রত্যেককেই আপনারা মামুন হোসইন নামে চিহ্নিত করতে পারবেন।”

‘যে কথা কোনো শেষ খুঁজে পায় না’ গল্পগ্রন্থটিতে মোট ৪টি গল্প রয়েছে। ৪টি গল্পই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন। তবুও আমরা শারেফ আহমাদের মেটাফোরিক কারিশমায় সংযোগ স্থাপন করতে সামর্থ্য হই, জানতে পারি এই সমাজের বর্তমান হালহকিকত।

যে কথা কোনো শেষ খুঁজে পায় না
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
প্রকাশক: বেহুলাবাংলা
প্রচ্ছদ: হাজ্জাজ তানিন
মূল্য: ২২৫

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘“সুলতান পদক” পেয়ে আমি গর্বিত ও ধন্য’
‘“সুলতান পদক” পেয়ে আমি গর্বিত ও ধন্য’
বুয়েটকে হিজবুত তাহরীর-মুক্ত করতে ৬ শিক্ষার্থীর স্মারকলিপি
বুয়েটকে হিজবুত তাহরীর-মুক্ত করতে ৬ শিক্ষার্থীর স্মারকলিপি
বরুণের স্পিনের পর সল্ট ঝড়ে দিল্লিকে হারালো কলকাতা
বরুণের স্পিনের পর সল্ট ঝড়ে দিল্লিকে হারালো কলকাতা
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
সর্বাধিক পঠিত
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে