X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১
আধুনিকতা থেকে উত্তরাধুনিকতা

আধুনিকতাবাদ ও উত্তরাধুনিকতাবাদ ।। পর্ব-২

মুহম্মদ মুহসিন
১২ মার্চ ২০২৩, ১৫:৪৮আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, ১৫:৪৮

আধুনিকতাকে ধারণের জন্য সাহিত্যের আঙ্গিকগত ভাঙনের কসরত থেকে জন্ম নেয়া আধুনিকতার ছা-পোনা এই তত্ত্ব ও আন্দোলনগুলো কেন ও কীভাবে তাদের পিতৃপরিচয় মুছে নতুন পরিচয়ের দিকে অগ্রসর হলো সেই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে নিহিত আছে আধুনিকতার পিতৃপরিচয়ত্যাগী সন্তান উত্তরাধুনিকতার জন্মের কাহিনি। লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, আধুনিকতার বিষয়বস্তুগত ও আঙ্গিকগত দ্বিবিধ চরিত্রের উভয়ের মধ্যে ‘ভাঙন’-এর অভিন্ন বৈশিষ্ট্য বিরাজ করলেও উভয়ের মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য তাদের জন্মলগ্ন থেকেই ছিল। আধুনিকতা বিষয়বস্তুগত যে ভাঙনকে ধারণ করে সেই ভাঙনের প্রতি রয়েছে মানবের ক্ষোভ, চিৎকার ও হাহাকার। আধুনিকতার জন্মই হয়েছে সেই চিৎকার ও হাহাকারের তীব্র প্রকাশ থেকে। অপরদিকে সাহিত্যের আঙ্গিকগত ভাঙনের যে বৈশিষ্ট্য আধুনিকতা ধারণ করে তার প্রতি মানবের কোনো ক্ষোভও নেই, ঘৃণাও নেই। বরং তার প্রতি রয়েছে সাহিত্য স্রষ্টার তথা মানবের দরদ ও ভালোবাসা। কারণ, আঙ্গিকগত সেই ভাঙন ছিল ভাঙনের চেয়ে বরং এক নতুন সৃষ্টি। প্লট ছুড়ে ফেলে গল্প বলতে পারার কারিগরি এক নতুন সৃষ্টি। ছন্দ ফেলে দিয়ে কবিতায় সুতীব্র অনুভবের প্রকাশ করতে পারার কারিগরি এক নতুন সৃষ্টি। কথককে ধোঁয়াশা করে ‘নাই’ করে দিতে পারার যোগ্যতা এক নতুন সৃষ্টি। ভাঙন থেকে উদ্ভূত এই সকল সৃষ্টি খুব দ্রুত লেখক পাঠকের সকলের মন কেড়ে নিলো। আধুনিক সাহিত্যের আঙ্গিক অর্থাৎ আধুনিক সাহিত্যের ফরম বা আধার এভাবে ভালোবাসার বস্তু হয়ে উঠলো। আর আধারের প্রতি ভালোবাসা প্রগাঢ় হতে হতে এর আধেয় বা বিষয়বস্তুও এক সময় মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে শুরু করলো।

আমি এ কথা বলছি না যে, এই ঘটনার পূর্ব পর্যন্ত লেখক-পাঠক আধুনিক সাহিত্যকে এর বিষয়বস্তুর মধ্যে ধারণকৃত সত্য-সুন্দর-শিবমের কাঠামোগত ভাঙনের কারণে ঘৃণা করতো। সাহিত্য সে আধুনিক হোক বা তৎপূর্ব যুগের রোমান্টিক বা নিউক্লাসিক হোক সব সময়ই তা মানুষের ভালোবাসার বস্তু। ঘৃণার উচ্চারণও সাহিত্যের পরশপাথরে এক ধরনের শিল্পে ও সৌন্দর্যে রূপান্তরিত হয় বলেই তো আধুনিক সাহিত্যও সকলের ভালোবাসার বস্তু হয়ে উঠতে পেরেছিল। তবে আধুনিক সাহিত্য তার বিষয়বস্তু হিসেবে যে সত্য-সুন্দর-শিবমের বিশাল কাঠামোসমূহের ভাঙনকে ধারণ করছিল সেই ভাঙন জনমানুষের ভালোবাসার বস্তু ছিল না। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এক জাদুকরী রসায়নে আধুনিক সাহিত্যের আঙ্গিক মানুষের ভালোবাসা কাড়ার পরে কয়েক দশকের মধ্যে আধুনিক সাহিত্যের আধেয়রূপ যে ভাঙনের প্রতি মানুষের ক্ষোভ ও বিলাপের চিৎকার ছিল সেই ভাঙনকেও মানুষ আনন্দে বরণ করতে শুরু করলো এবং উদযাপন করতে শুরু করলো। যখনই আধুনিকতার আঙ্গিক বা ফরমসমূহ এভাবে তার আধেয়রূপ ভাঙনকে উদযাপনযোগ্য করে তুলতে সমর্থ হলো তখনই সে তার পিতৃপরিচয় মুছে দিয়ে ঘোষণা করতে চাইলো যে সে আর আধুনিকতার ফরম নয়, আধুনিকতার বাহক উত্তরসূরীও নয়, বরং সে নিজ নতুন পরিচয়ে তার নাম বললো ‘উত্তরাধুনিকতা’। এবার এই নতুন নামে সাহিত্যে আধার ও আধেয় অর্থাৎ ভাঙন থেকে উদ্ভূত সাহিত্যের আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু উভয়ই উদযাপনযোগ্য ও গৌরবময় হয়ে উঠলো।

এবার উত্তরাধুনিকতার এই সাহিত্যে আধুনিকতার উপাদান বেশি কিছু কিন্তু হারায়নি। তার ফরমও ভাঙন থেকে প্রাপ্ত আধুনিক ফরম। এক্সপ্রেশনিজম, কিউবিজম, দাদাইজম, স্ট্রিম অব কনশাসনেস ইত্যাদি আন্দোলন থেকে জন্ম নেয়া ফরম বা আঙ্গিক। বিষয়বস্তুও সত্য, সুন্দর, ন্যায়, আদর্শ ইত্যাদি হারিয়ে যাওয়া থেকে উদ্ভূত বিশ্বাসহীনতা, আত্মাহীনতা, আসুরিকতা ইত্যাদি। তাহলে পরিবর্তনটা কোথায় হলো? পরিবর্তনটা হলো এই যে, আধুনিকতায় যে ভাঙন নিয়ে হা-পিত্যেশ করা হতো, আহাজারি করা হতো, উত্তরাধুনিকতায় ঢুকে সেই বিষয়বস্তু ও ভাঙন নিয়েই আনন্দে লাফানো শুরু হলো। জাঁ ফ্রাসোয়াঁ লায়োতা তার ‘Answering to the Question: What is Postmodernism?’ প্রবন্ধে বললেন যে, যে মহা-আখ্যান বা গ্রান্ডন্যারেটিভগুলোর ভাঙনের প্রতি হ্যাবারমাস হা-পিত্যেশ করেছেন সেইগুলোর প্রতি অনাস্থার নামই উত্তরাধুনিকতা।

যতক্ষণ পর্যন্ত সাহিত্যকর্মটি আধুনিকতার ছাতার তলে ছিল ততক্ষণ কোনো আদর্শে বা গ্রান্ডন্যারেটিভে বিশ্বাসহীনতা মানে ছিল মানবের অধঃপতন, আর তাই বিশ্বাসহীনতা নিয়ে তার খুব আহাজারি ছিল, ম্যাথু আর্নল্ড ‘ডোভার বিচ’ কবিতায় যেমন আহাজারি করেছেন। কিন্তু উত্তরাধুনিকতার ছাতার তলে ঢুকে এবার বিশ্বাসহীনতাই হয়ে গেছে মানবের গৌরবের ও অহঙ্কারের বস্তু। এবার বিশ্বাসকে সে কূপমন্ডুকতা বা সংকীর্ণতা বা মৌলবাদিতা বলে সমানে গাল দিতে পারছে। আধুনিকতার ছাতার তলে আত্মাহীনতা ছিল অভিশাপের বিষয়। আধুনিকতার পরাকাষ্ঠা ‘দি ওয়েস্ট ল্যান্ড’ কবিতায় তাই ‘হলি গ্রেইল’-রূপ আত্মা হারিয়ে সব জমি ও মানুষ বন্ধ্যা হয়ে গেছে। উত্তরাধুনিকতার ব্যাখ্যায় হলি গ্রেইল উহার ‘ল্যান্স’সহ একেবারেই যোনি-শিশ্নের এক ইমেজ যার মধ্যে আত্মারূপ পবিত্রতার কিছু নেই বরং উহার পবিত্রতার সবটুকুই দেহজ ও কামজ। আধুনিকতার ছাতার তলে দাঁড়ালে ‘দি টেমপেস্ট’ নাটকের ক্যালিবান হবে সকল ন্যায় ও শুভ বিবর্জিত আত্মাহীন অসুর, আর উত্তরাধুনিকতার ছাতার তলে দাঁড়ালে ক্যালিবান হবে ন্যায় ও শুভকে রক্ষার লক্ষ্যে এক প্রতিবাদের শ্রদ্ধার্হ কণ্ঠস্বর, যে সুতীব্র চিৎকারে প্রতিবাদ জানাচ্ছে ন্যায় ও শুভকে হরণকারী আসুরিক শক্তি প্রসপেরোর বিরুদ্ধে। এভাবে আধুনিকতা থেকে পাওয়া একই বস্তু এক নতুন ব্যাখ্যায় এক আলাদা পরিচয়ে নাম গ্রহণ করলো উত্তরাধুনিকতা।

তবে উত্তরাধুনিকতা আধুনিকতা থেকে পাওয়া সাহিত্যের ফরম ও থিমকে ধ্রুবকের মতো এক জায়গায় রেখে শুধু ব্যাখ্যা পাল্টিয়ে তার ভূমিকার যবনিকাপাত করেনি। আধুনিকতার ফরম ও থিম অর্থাৎ আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু উভয়েরই উল্লেখযোগ্য বিকাশও সাধন করেছে উত্তরাধুনিকতা। এ কাজে উত্তরাধুনিকতা ব্যাপক রসদ সংগ্রহ করেছে বিনির্মাণবাদের নিকট থেকে। আধুনিকতা নৈরাজ্য পছন্দ করে না, তাই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আধুনিকতা তীব্র প্রতিবাদের চিৎকার তোলে। টেক্সটের অর্থে যাতে নৈরাজ্য প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য স্ট্রাকচারালিজম অর্থের এক কাঠামো বেঁধে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। পোস্টস্ট্রাকচারালিজম ও বিনির্মাণবাদ সেই কাঠামোকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল, বিশেষ করে জ্যাক দেরিদার নেতৃত্বে। কীভাবে স্ট্রাকচারালিজম প্রবর্তিত অর্থ কাঠামো দেরিদার হাতে ভেঙে টুকরো টুকেরা হয়ে ধূলিসাৎ হয়েছিল এবং কীভাবে টেক্সটের অর্থ জগৎকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছিল সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে ইতোপূর্বে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তবে সে ভাঙনের সূত্রে লব্ধ নতুন নির্মাণ নিয়ে ব্যাপক জয়ধ্বনি দেরিদার শিষ্যদের হাতে শুরু না হলেও অল্পদিনে মিশেল ফুকোর শিষ্যদের হাতে শুরু হলো। তাদের হাতে দেরিদার ভাঙনলব্ধ চূর্ণিত টুকরোগুলোর ওপর দাঁড়াতে শুরু করলো বহুমুখী নির্মাণ। দেরিদা তাঁর ডিফেরঁস (différance) তত্ত্ব দিয়ে অর্থের সকল সম্ভাবনাকে শুধু ভেঙেই যাচ্ছিলেন আর আ্যপোরিয়ার (aporia) নিরুদ্দেশ গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। এবার ফুকোর বিনির্মাণবাদ তত্ত্ব ‘অথর ফাংশন’ (author function) এর ধারণার মধ্য দিয়ে সেই ভাঙা টুকরোগুলোর ওপর নির্মাণ শুরু করলো নতুন নতুন অর্থের সৌধ। এবার অর্থ দাঁড়াতে শুরু করলো সমাজের ক্ষমতা-কাঠামোর প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে, অর্থ দাঁড়াতে শুরু করলো সমাজের জ্ঞানকাঠামোর প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে, অর্থ দাঁড়াতে শুরু করলো সমাজের অর্থকাঠামোর প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে এবং এমনভাবে ‘অথর ফাংশন’ (author function) এর সাথে সংশ্লিষ্ট বহুতর চিন্তনবিন্দুর ওপর দাঁড়াতে শুরু করলো টেক্সটের অর্থের সৌধ। টেক্সট থেকে অর্থ গ্রহণের এই নতুন নতুন দ্বার উত্তরাধুনিকতার সৃষ্টি। আধুনিকতার লক্ষ্য ছিল নির্দিষ্ট সর্বগ্রাহী এক অর্থের দিকে। সে লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হলে আধুনিকতা হা-পিত্যেশ করতো। পক্ষান্তরে উত্তরাধুনিকতা খুলে দিলো অযুত অর্থের দ্বার। অর্থের রকম যত বেশি উত্তরাধুনিকতা তত খুশি।

উত্তরাধুনিকতা আরেকটি নতুন কাজ করেছে। সেটি হলো উত্তর-উপনিবেশবাদকে নিজের মধ্যে আত্তীকরণ। উপনিবেশবাদ আধুনিকতার অংশ না হলেও উপনিবেশবাদ ছিল ইউরোপ জুড়ে প্রতিষ্ঠিত একটি গ্রান্ড ন্যারেটিভ। সে ন্যারেটিভ অনুযায়ী আমরা কলোনাইজড এশিয় এবং আফ্রিকীয়রা কলোনাইজার ইউরোপিয়দের দয়ায় শিক্ষিত হয়েছি, সংস্কৃতিবান হয়েছি, ধর্মের আলোপ্রাপ্ত হয়েছি- এক কথায় অসভ্য থেকে সভ্য হয়েছি। কলোনাইজাররা আমাদেরকে সভ্য বানানোর সিলেবাসের অংশ হিসেবে আমাদেরকে সাহিত্যও শিখিয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকে শিখেছি সাহিত্য কী, সাহিত্যের বিভিন্ন জাঁর (প্রকরণ) ও ফরম (আঙ্গিক) কী, সাহিত্যের উপযোগিতা কী ইত্যাদি ইত্যাদি। কলোনিয়ালিজমের শেখানো সাহিত্যের প্রকরণ ও আঙ্গিকগুলো উত্তর-উপনিবেশবাদ নির্দয়ভাবে ভাঙতে শুরু করে এবং সেগুলো ভেঙে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে কলোনাইজড দেশ ও জাতির উপনিবেশপূর্ব সাহিত্যের প্রকরণ ও আঙ্গিককে পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা করে। ভাঙন থেকে নতুনের সৃজন ও উত্থান যেহেতু উত্তরাধুনিকতার খুবই মজ্জাগত আনন্দের ব্রত সেহেতু উত্তর-উপনিবেশবাদের এই কর্মকে উত্তরাধুনিকতা অতি আগ্রহের সাথে তার নিজ কর্ম হিসেবে আপন করে নেয়। কলোনাইজারদের নিকট থেকে শেখা সাহিত্যের প্রকরণ ও আঙ্গিক গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিয়ে এভাবে নিজ মৃত্তিকার উপনিবেশপূর্ব যুগের সাহিত্যের প্রকরণ ও আঙ্গিককে পুনরুজ্জীবিত করার বৈশিষ্ট্যে যাহাই উত্তরউপনিবেশবাদ তাহাই উত্তরাধুনিকতা। এখানে এসে উত্তরউপনিবেশবাদ ও উত্তরাধুনিকতা একাকার হয়ে গিয়েছে, উত্তর-উপনিবেশবাদ উত্তরাধুনিকতার বিশাল অবয়বের মাঝে লীন হয়ে গিয়েছে। আমাদের বাঙলা সাহিত্যে সেলিম আল দীনের দ্বৈতাদ্বৈতবাদী নাটক কিংবা দেবেশ রায়ের বৃত্তান্ত ঘরানার উপন্যাস এমনই উত্তরাধুনিকতার চর্চা।

ইউরোপিয় জাঁর ও ফরমকে বিদায় জানিয়ে নিজ মৃত্তিকার জাঁর ও ফরমের পুনরুজ্জীবনের এই উত্তরাধুনিক চর্চা দ্বারা লাতিন আমেরিকা দুনিয়াকে বিস্ময়ে কাঁপিয়ে দিয়েছে। মিগুয়েল আনহেল আস্তুরিয়াসের ‘লিয়েন্দাস’ ছিল এমনই উত্তরাধুনিক চর্চা। সেই চর্চার বিস্ময়কর সাফল্যকে ভিত্তি ধরে লাতিন আমেরিকায় ১৯৬০ এর দশক থেকে ঝড় ওঠে তাদের বাস্তবতায় নতুন উপন্যাস সৃষ্টির। ইউরোপ সেই বাস্তবতার সাথে অভ্যস্ত নয় বলে তার নাম দেয় জাদুবাস্তবতা। আলেহো কার্পেন্তিয়ের, কার্লোস ফুয়েন্তেস, হুয়ান রুলফো, গার্সিয়া মার্কেজ সেই উত্তরাধুনিক বাস্তবতার চর্চা দ্বারাই দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ১৯৬০ এর দশক থেকে ১৯৮০ দশকের শেষাবধি। অবশ্য এই সব মিলিয়েই এ আলোচনার আদি কথাই বার বার প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। সেই আদি কথা এটুকুই যে, আধুনিকতা মানে হলো ভাঙন এবং ভাঙনের জন্য আফসোসের দীর্ঘশ্বাস ও চিৎকার, আর পক্ষান্তরে উত্তরাধুনিকতা মানে হলো ভাঙনের আনন্দ ও ভাঙন থেকে উদ্ভূত টুকরোগুলোর ওপর নতুন সৃষ্টির ভিত নির্মাণ।চলবে

তৃতীয় পর্বে পড়ুন : আধুনিকতা ও  উত্তরাধুনিকতার সময়কাল।

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেফতার ১
প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেফতার ১
ইরান হামলা বন্ধ করলেও ছায়াশক্তিরা সক্রিয়
ইরান হামলা বন্ধ করলেও ছায়াশক্তিরা সক্রিয়
খিলগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
খিলগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!