তোর্সার জ্ঞানগম্যি
‘তুমি তো এই গ্রীষ্মকালে
জন্মেছ এক নিজ-সকালে
এত্তোটুকুন—এইটুকুনই
কিন্তু তুমি অনেক গুণী।
মায়ের কাছে শিল্প শেখো
বাবার কাছে অংক
অংক তো খুব কঠিন, তবু
নেই কোনো আতঙ্ক।
দাদির কাছে হাসি শেখো
নানির কাছে ভাষা
তোমার প্রতি উথলে ওঠে
সবার ভালোবাসা।
নানা কিছু শেখায় না, না?
নানা কিছু জানে?
নানা কি আর শেখায়, তোর্সা,
এই জীবনের মানে?’
'না না, তা না, নানা শেখায়—
কিচ্ছুটি নেই হাতের রেখায়
জীবনে আনন্দ আছে—
মানুষ যদি কর্মে বাঁচে।
তখনই হয় মর্মে থাকা
নইলে জীবন বর্মে ঢাকা।’
‘বুঝতে পারো কথার মানে?’
‘নানা জানে! নানা জানে!’