পাঁজরের অগ্নীচুল্লী
স্বচ্ছ শুভ্র ধারালো ছুরির মুকুট,
ছড়িয়ে আছে প্রাণে প্রাণে।
মুকুটের ঠিকরে পড়া
দুর্গম আলোর ঝলকে,
ঝলসে যায় রঙহীন নির্মল আভা।
ঝলসানো গন্ধে
বিলুপ্তি ঘটে ফুলের মিষ্ট গন্ধের,
আর কলুষিত হয় সবুজ প্রান্তর।
অলৌকিক খাদ্যের ঘ্রাণে
প্লাবিত হয় অগ্নিচুল্লী।
চারপাশে ধ্বনিত হয়,
শব্দহীন সুনসান সর্প সঙ্গীত।
ঝলসানোর ক্রমধারায়,
নেমে আসে ইস্পাতের ন্যায় কোমলতা,
আর জড়িয়ে ধরে দুঃখের মতো খাঁটি ও সাহসী সঙ্গী!
অব্যক্ত কথা
জীবন ছায়ার ছুটিতে,
প্রকট হয় রোদের তীব্রতা।
নিকট প্রাণের আর্তনাদে
জর্জরিত হয় কোমল হৃদয়!
যে হৃদয়ে সুচ লাগেনি,
তা বিষাক্ত তীরে আহত,
ছায়ার ছুটিতে, রোদের তীব্রতায়,
মধু শুষ্ক হয়ে বাষ্প হয়।
শুভাকাঙ্ক্ষী পালিয়ে যায়।
শুভ্রোজ্জ্বল জ্যোৎস্নাও ঢাকা পড়ে,
কালো ঘন আঁধারে।
আর বিশাল প্রান্তর?
তা হয়ে আসে কবরের ঘরখানা।