X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

রাবিতে সান্ধ্যকোর্স বন্ধে ইতিবাচক প্রশাসন

রাবি প্রতিনিধি
১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:২৮আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ২৩:৩৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৫২তম সমাবর্তনে সান্ধ্যকোর্স নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। এর প্রেক্ষিতে গত ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পক্ষ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকোর্স বন্ধসহ ১৩ দফা নিদের্শনা দিয়ে উপাচার্যদের বরাবর চিঠি দেওয়া হয়।

ইউজিসির নির্দেশনা পাওয়ার পর ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকোর্স বন্ধ করে দিয়েছে। সান্ধ্যকোর্স বিরোধী প্রথম ছাত্র আন্দোলন গড়ে ওঠা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইউজিসি নির্দেশনার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। উপাচার্যের দফতরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বাংলাট্রিবিউনকে জানান, গত ১১ ডিসেম্বর ইউজিসি’র থেকে উপাচার্য বরাবর একটি চিঠি এসেছে। উপাচার্য চিঠিটি রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়েছেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দাবি করেছেন, প্রশাসন সান্ধ্যকোর্স বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক। তবে এখনি সে নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আগ্রহী নয় প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে (শিক্ষা পরিষদে) আলোচনার পর প্রতিক্রিয়া জানাবে তারা। এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাকি তিনটি (ঢাবি, জাবি ও চবি) বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটিও তারা পর্যবেক্ষণ করছেন বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘সান্ধ্যকোর্স বিষয়টি নিয়ে চ্যান্সেলর ও ইউজিসির মনোভাব সম্পর্কে আমরা অবগত। বিষয়টি আমরা শিক্ষা পরিষদের আগামী বৈঠকে আলোচ্যসূচিতে রাখবো। আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য,  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকোর্স বন্ধের প্রথম দাবি উঠেছিল ২০০৯ সালে। সেসময় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মী সান্ধ্যকোর্স বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে না পারায় আন্দোলনের গতি ক্রমে স্থিমিত হয়ে যায়। পরে ২০১৪ সালে ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ ও সান্ধকোর্স বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালের ২ ফ্রেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এক সঙ্গে দফায় দফায় হামলা চালায়। ওই হামলায় সাংবাদিকসহ অন্তত ১০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলেন। অভিযোগ আছে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছিল।

/এফএএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অপতথ্য ও অর্ধসত্যের মাঝে মুক্ত গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ
অপতথ্য ও অর্ধসত্যের মাঝে মুক্ত গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ
নিখিল কৃষ্ণ মজুমদারের সাক্ষাৎকার
নিখিল কৃষ্ণ মজুমদারের সাক্ষাৎকার
মাজার জিয়ারত করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছেন একই পরিবারের ৪ জন
মাজার জিয়ারত করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছেন একই পরিবারের ৪ জন
কুড়িগ্রামে ধান কাটতে গিয়ে ‘গরমে অসুস্থ’ হয়ে আরেক শ্রমিকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ধান কাটতে গিয়ে ‘গরমে অসুস্থ’ হয়ে আরেক শ্রমিকের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা