X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতি সেমিস্টারে ৫ হাজার টাকা গুনতে হয় হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের 

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
১৩ আগস্ট ২০২১, ০২:০১আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২১, ০২:০১

দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেশি পরীক্ষা ফি দিতে হয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের। ফলে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্রাতিরিক্ত পরীক্ষা ফি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হাবিপ্রবিতে সেমিস্টার পদ্ধতিতে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেমিস্টার পদ্ধতিতে প্রতি বছরে দুই সেমিস্টার করে চার বছরে মোট আট সেমিস্টার শেষ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। প্রত্যেক সেমিস্টারে চূড়ান্ত পরীক্ষার সময় একটি নির্ধারিত পরীক্ষা ফি নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরীক্ষা ফি সেমিস্টার প্রতি পাঁচ হাজার টাকা করে এক বছরে দুই সেমিস্টারে প্রায় ১০ হাজার টাকা করে দিতে হয় শিক্ষার্থীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই পরীক্ষা ফি প্রতি সেমিস্টারে পড়ানো সব কোর্সের মোট ক্রেডিট অনুযায়ী দিতে হয়। এ জন্য ক্রেডিট প্রতি ১৫০ টাকা করে অন্যান্য আরও আনুষঙ্গিক ফিসহ এক সেমিস্টারেই শিক্ষার্থীদের গুনতে হয় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। ফলে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আসলেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে অনেকের। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট থাকায় প্রতি মাসে মেস ভাড়া, খাবারসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ জোগাতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে প্রতি সেমিস্টারে এত বেশি ক্রেডিট ফি বাবদ পরীক্ষা ফি দেওয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যান্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার পদ্ধতিতে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় তাদের তুলনায় হাবিপ্রবির ক্রেডিট ফি অনেক বেশি হওয়ায় পরীক্ষার ফিও বেশি। হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা যেখানে ক্রেডিট ফি প্রতি ১৫০ টাকা দিচ্ছে সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ফি প্রতি দিতে হয় ৬৬ টাকা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ টাকা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ টাকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ টাকা (গড়ে), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ টাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ টাকা, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ টাকা, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১০ টাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ টাকা এবং ডুয়েটে ক্রেডিট ফি প্রতি ২০ টাকা করে দিতে হয়। বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ অনুযায়ী ক্রেডিট ফি আলাদা হওয়ায় এখানে গড় হিসাব দেখানো হয়েছে।

এদিকে, চলতি মাসের ৪ আগস্ট থেকে অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করেছে হাবিপ্রবি।  শুরু হওয়া অনলাইন পরীক্ষা জন্য নির্ধারিত ক্রেডিট ফি করোনাকালীন সময়ের জন্য হলেও আগের তুলনায় কিছুটা কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ক্রেডিট ফি না কমানোয় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত এক লাইভ অনুষ্ঠানে এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, পরীক্ষা ফি কমানোর ব্যাপারে আমরা আলোচনায় বসবো। ইতোমধ্যে করোনাকালীন সময়ের জন্য অকার্যকর ফি সমূহ মওকুফ করা হয়েছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে একাই সব সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমাকেও একটি কাঠামোর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে হিসাব শাখা এবং সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের ওপর। তবে আশা করছি, খুব শিগগিরই শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর আসছে।

/এএম/
সম্পর্কিত
শর্ত পূরণ করেও বৃত্তি পান না হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য সড়ক অবরোধ
মেস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সর্বশেষ খবর
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা