খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়া ৭৩ শিক্ষকের (সাত জন সহকারী অধ্যাপক ও ৬৬ জন প্রভাষক) নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারী ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকদের নিয়োগের সিলেকশন বোর্ডে ‘বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ’ সদস্য অন্তর্ভুক্ত না থাকার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। যার পরপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দেয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৫ পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগ বাছাই কমিটিতে (বোর্ড) বিশেষজ্ঞ (বিষয়ভিত্তিক) সদস্য রাখার বিধানটি বাধ্যতামূলক, কিন্তু সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উক্ত বিধানের বাধ্যবাধকতা নেই। কাজেই খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এত বড় সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা লক্ষ্য করছি যে, উদ্ভূত পরিস্থিতি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা, গবেষণা তথা সার্বিক পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা সারা দেশের উচ্চশিক্ষার পরিবেশকেও নেতিবাচকভাবে ব্যাহত করতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়ে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনার মতো সিদ্ধান্ত সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের পথে এমনকি দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। যা সমগ্র দেশ ও জাতির জন্যই সমূহ অকল্যাণকর। তাই স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনাটি প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছে।