রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে। দীর্ঘ ৬৮ ঘণ্টা পর, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।
এর আগে আনুমানিক বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নগর ভবনে মেয়রের সঙ্গে ‘সমঝোতায়’ বসে আন্দোলনরত নেতৃবৃন্দ ও নতুন সভাপতি-সম্পাদক।
গত শনিবার রাতে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে সভাপতি ও আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
ঘোষণার পর নতুন কমিটিকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে ছাত্রলীগের কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া একটি অংশ। গত তিন দিন তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন, ভাঙচুর, মারধর ও ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটান। এমনকি নতুন কমিটির নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
পরে আজ বিকালে রাজশাহী নগর ভবনে আন্দোলনকারী নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। পরে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের নিয়ে সমঝোতায় বসেন সিটি মেয়র লিটন। সেখানে তাদের মধ্যে একটি সমঝোতা হয় এবং সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন তাদের কর্মী ও সমর্থকরা। সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তাদের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়েছে। খায়রুজ্জামান লিটন ভাই, আমি এবং আমার সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন তাদেরকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে।’
সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব বলেন, ‘এই কমিটি নিয়ে আমাদের কিছু ভাই মনঃক্ষুণ্ন হয়েছিলেন, হওয়াটাও স্বাভাবিক। তারাও সাত বছর রাজনীতি করেছেন। খায়রুজ্জামান লিটন ভাই আমাদেরকে ডেকে নিয়ে বুঝিয়েছেন। তারাও বুঝেছে আমরাও বুঝেছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, নবনির্বাচিত ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে যারা রয়েছেন তারাসহ যারা পদবঞ্চিত হয়েছেন তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে এগিয়ে নেবো।’