রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মার্কেটিং ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ এবং মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের দ্বারা এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার জানিয়েছেন, আইন বিভাগ ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানকে সভাপতি এবং প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি সদস্যরা হলেন- পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম খলিলুর রহমান, শেরেবাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক আবু রেজা, রাবি চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মাফরূহা সিদ্দিকা লিপি এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতে সাংবাদিক আবু সালেহ শোয়েব মারধরের শিকার হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম এবং সদস্যসচিব হিসেবে আছেন ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুন্সী ইসরাইল হোসেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম এবং মাদার বখস হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ হোসাইন আহমদ মেহদী।
গতকাল সোমবার বিকাল থেকে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েক দফায় আইন ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আইন বিভাগের শিক্ষক মাহফুজুর রহমানসহ দুই বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সাংবাদিক আবু সালেহ শোয়েব ভিডিও ধারণ করতে ছিলেন। ভিডিও করতে দেখে মার্কেটিং বিভাগের আনুমানিক ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী তাকে মারধর শুরু করেন। ওই সময় তাদের মধ্য থেকে পাঁচ-ছয় জন শিক্ষার্থী তার কলার চেপে ধরে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য করেন। শোয়েব সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র দেখালেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেটি ছিঁড়ে ফেলেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ একাধিক সহকর্মী এগিয়ে আসলে তাদেরকেও হেনস্তা করা হয়।
সাংবাদিককে মারধর ও হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল তিন সাংবাদিক সংগঠন।