অবিলম্বে ডাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে একদল সাধারণ শিক্ষার্থী। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটায় দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি হল পাড়া থেকে শুরু হয়ে মুহসিন হল ও এএফআর হল থেকে টিএসসি ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থান নেয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা— দফা এক দাবি এক- ডাকসুর রোডম্যাপ, এক দুই তিন চার- ডাকসু আমার অধিকার, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম, সংগ্রাম, দালালি না রাজপথ-রাজপথ, হলে হলে খবর দে-গেস্টরুমের কবর দে, হলে হলে খবর দে-গণরুমের কবর দে, একশন একশন- গণরুমের বিরুদ্ধে, গণরুম না ডাকসু-ডাকসু, ডাকসু, দালালি না ডাকসু-ডাকসু, ডাকসু ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী কানিজ বলেন, আমরা এএফআর হলে নতুন করে গেস্টরুম কালচার দেখেছি। আমি এই গেস্টরুম কালচার আর চাই না। আমরা চাই না ছাত্রলীগের নেত্রীদের মতো আর কোনও নেত্রী আসুক। আমরা চাই না কোনও দল সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ফায়দা লুটুক। আমরা গেস্টরুম চাই না, ডাকসু চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন একত্রিত হয়েছেন তখন কোনও শক্তিকেই আমরা গেস্টরুম ফিরিয়ে আনতে দেব না।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, আজকে জুলাই বিপ্লবের ৫ মাস হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কেনও ডাকসুর রোডম্যাপ দিতে পারছে না— এর জবাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিতে হবে। যদি ডাকসু না হয় তাহলে নতুন ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে।
ভিসি চত্বর থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ নিয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম ও রেজিস্টার মুন্সি শামসুদ্দিন কথা বলেন।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের উদ্দেশে ব্রিফিংয়ে তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী বলেন, আজকের আলোচনার পরে আমাদের ডাকসু কেন্দ্রিক হতাশা আরও বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধু ছাত্র সংগঠনদের ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কোনও ধরনের সরাসরি যুক্ত না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই গুটিকয়েক ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে ডাকসু কেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়েই ডাকসু কেন্দ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করবো।
মাহিন সরকার বলেন, আমরা চাই দ্রুত ডাকসু নির্বাচন। ডাকসু সংসদ না থাকায় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম নিতে পারে। আর যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম নেয়, তাহলে এর দায়ভার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা আগামীকালের মধ্যে ডাকসুর অগ্রগতি নিয়ে আমাদেরকে একটি আপডেট জানাবে।