X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর ১৬১টি মামলা ফের শুনানির সিদ্ধান্ত

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ এপ্রিল ২০১৬, ১৮:৫৯আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০১৬, ০৩:১৪

বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী অবসরের পর বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর কাছে রায় লেখার অপেক্ষায় থাকা ১৬১ মামলার ফের শুনানি হবে। এছাড়া ফের শুনানির তালিকায় উঠছে মোজাম্মেল হোসেনের ৭টি মামলা।আগামী ২ মে আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় ১৬৮টি মামলা অন্তর্ভুক্ত হবে। তাদের লেখা রায় গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় মামলাগুলো আবার শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এর পরপরই প্রস্তুত করা হয়েছে এসব মামলার পেপারবুক।
এসব মামলার বেশির ভাগ রায় লেখার কাজ শেষ করেছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু তার লেখা রায় গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় প্রধান বিচারপতি মামলাগুলো পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার বিভাগ থেকে জানা যায়, ‘২৬ এপ্রিল এসব মামলার পুনঃশুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৬১টি মামলার মধ্যে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের এক নম্বর আদালতের কার্যতালিকায় ১০০টি এবং বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন দুই নম্বর আদালতের কার্যতালিকায় বাকি ৬১টি মামলা পুনঃশুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।


২০১৫ সালের এক অক্টোবর আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। তখন তার দায়িত্ব ছিল ১৬১টি মামলার রায় লেখার। এসব মামলা তার অবসরে যাওয়ার আগেই আপিল বিভাগ বিভিন্ন সময়ে শুনানি হয়, সংক্ষিপ্ত আদেশও হয়, শুধু পূর্ণাঙ্গ রায় লেখার কাজ বাকি ছিল।

সূত্র জানায়, মামলাগুলোর রায় দীর্ঘদিনেও তিনি না লিখে সময়ক্ষেপণ করছিলেন। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে বর্তমান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা গত ১৭ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বাণীতে অবসরের পরে রায় লেখাকে সংবিধান পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করেন। ওই বাণীতে তিনি বলেন, ‘কোনও কোনও বিচারপতি রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের পর দীর্ঘ সময় ধরে রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধানপরিপন্থী।’
অবসরের পর রায় লেখা বেআইনি বলার ব্যাখ্যায় বিচারপতি এসকে সিনহা তার বাণীতে বলেন, ‘কোনও বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে গণ্য হন বিধায় তার গৃহীত শপথও বহাল থাকে না। এরপর গত ২২ জানুয়ারি মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভায় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারপতিদের অবসরে যাওয়ার পর আর কোনও রায় লিখতে দেওয়া হবে না। আমাদের দেশে অতীতে এরকম রায় দিলেও এখন থেকে আর এ সুযোগ দেওয়া যাবে না।’

এরপর তীব্র সমালোচনার মুখে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৬৫টি মামলার রায় ও আদেশের কপি হাতে লিখে জমা দেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি আরও কিছু রায় লিখে জমা দেন। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী তার কাছে আর কোনও মামলায় রায় লেখার কাজ বাকি নেই বলে তখন মিডিয়ার কাছে দাবি করেন।

/জেএ/এএইচ/

আরও খবর পড়ুন-

ওবায়দুল কাদের ওবায়দুল কাদেরকে বিব্রত করলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস আজ
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস আজ
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ৩ নেতাকে বহিষ্কার বিএনপির
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ৩ নেতাকে বহিষ্কার বিএনপির
দায়িত্ব পালনকালে কতটা সুরক্ষা পাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা
পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস আজদায়িত্ব পালনকালে কতটা সুরক্ষা পাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা
শাহীনের বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তানের সিরিজ ভাগাভাগি
শাহীনের বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তানের সিরিজ ভাগাভাগি
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু