X
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পুলিশ নেই, তাই রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১১:৩৯আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১১:৩৯

রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান (ফাইল ছবি) পুলিশ না পাওয়ায় আবারও থমকে গেছে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেছেন, পুলিশ না পেলে বড় ধরনের উচ্ছেদ কর্মসূচি পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

জানা গেছে, এবার উচ্ছেদের জন্য ৫ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযান কর্মসূচি ঠিক করেছে রাজউক। এই কর্মসূচিতে সহায়তার জন্য রাজউকের পরিচালক (যুগ্মসচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহার স্বাক্ষরে ৩০ আগস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে অভিযান কর্মসূচি যুক্ত করে প্রতিটি অভিযানের জন্য এক প্লাটুন করে পুলিশ চাওয়া হয়। পাশাপাশি কিছুসংখ্যক নারী পুলিশও চাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ না পাওয়ায় অভিযান আর শুরু করা যায়নি।

রাজউকের পরিচালক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা পুলিশের অপেক্ষায় আছি। পুলিশ পেলেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। পুলিশ না পাওয়া গেলে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

সংস্থাটির অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ৩ অক্টোবর থেকে অভিযান শুরুর পরিকল্পনা করেছে রাজউক। এ জন্য আবারও পুলিশ চাওয়া হয়েছে।

রাজউকের উচ্ছেদ কার্যক্রমে পুলিশের সহায়তা কেন পাওয়া যায়নি সে সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে রাজউকের প্রয়োজনে পুলিশ দেওয়া হবে। তবে সেজন্য পুলিশ বিভাগকে সময় দিতে হবে।

জানা গেছে, গুলশান হামলার পর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক। এ জন্য একযোগে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনার কর্মসূচি তৈরি করা হয়। প্রথমে ২৩ জুলাই ছিল উচ্ছেদের নির্ধারিত দিন। কিন্তু পুলিশ না পাওয়ায় সে অভিযান স্থগিত করা হয়। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। ফলে ২৫ জুলাই শুরু হয় অভিযান। চলে আগস্ট মাসজুড়ে। অভিযানের মাধ্যমে বেশ কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় রাজউক।

জানা গেছে, প্রাথমিক তালিকায় এক হাজার ৬২৫টি অবৈধ স্থাপনার মধ্যে গুলশান-বারিধারা জোনে রয়েছে ৫৫২টি, উত্তরা জোনে ২১৫টি, মিরপুর জোনে ৫৮০টি, ধানমণ্ডি-লালবাগ জোনে ১৭৩টি এবং মতিঝিল-খিলগাঁও জোনে ১০৫টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে স্কুল, কলেজ, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, গেস্ট হাউস, বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার, ফিটনেস সেন্টার, স্পা, বিউটি পার্লার, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, ক্লিনিক, কোচিং সেন্টার, বুটিকের দোকান প্রভৃতি।

আরও পড়ুন- 

‘আমাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় নেই’
‘জীবিত পাই নাই, লাশটাও ফেরত পাইলাম না’

/ওএফ/টিএন/আপ-এফএস/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নিজঘরে স্ত্রীর মরদেহ, স্বামী পলাতক
নিজঘরে স্ত্রীর মরদেহ, স্বামী পলাতক
পেরুতে বাস দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত
পেরুতে বাস দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত
আলাভেসকে বিধ্বস্ত করে যে রেকর্ড গড়েছে রিয়াল
আলাভেসকে বিধ্বস্ত করে যে রেকর্ড গড়েছে রিয়াল
আমাকে হরণ করে গেরুয়া উৎসার
আমাকে হরণ করে গেরুয়া উৎসার
সর্বাধিক পঠিত
সোনার অলংকার কেনাবেচায় নতুন হার নির্ধারণ
সোনার অলংকার কেনাবেচায় নতুন হার নির্ধারণ
পেঁয়াজ আমদানি শুরু
পেঁয়াজ আমদানি শুরু
তাসকিনকে সহ-অধিনায়ক করে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
তাসকিনকে সহ-অধিনায়ক করে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
একীভূত হতে পারে কেউ পাস না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
একীভূত হতে পারে কেউ পাস না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বিএনপির আকস্মিক জেগে ওঠার উদ্দেশ্য খুঁজছে যুগপৎসঙ্গীরা
যুগপৎ ধারায় আসবে নতুন কর্মসূচিবিএনপির আকস্মিক জেগে ওঠার উদ্দেশ্য খুঁজছে যুগপৎসঙ্গীরা