১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন সদরঘাটগামী যাত্রীরা। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকেই লঞ্চ না পেয়ে ঘাটে এসে ফিরে গেছেন অনেকে৷ আবার নিরুপায় হয়ে লঞ্চের আশায় অনেককে বসে থাকতে দেখা গেছে।
তবে সকালের দিকে বেশ কয়েকটি রুটে লঞ্চ ছেড়ে গেছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ’র (বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ) পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, সকাল থেকে ১৫টি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।
ধর্মঘট ডাকা শ্রমিকদের একজন লঞ্চঘাটের লস্কর হেলাল শিকদার বলেন, ‘আমাদের বেতন কম, ছুটি নেই। কেউ অসুস্থ বা আহত হলে নামমাত্র চিকিৎসা খরচ দেওয়া হয়৷ আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা লঞ্চ ছাড়বো না।’
ঘাটে অপেক্ষমাণ ভোলাগামী যাত্রী শাহাবুদ্দীন আহম্মেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উত্তরা থেকে সদরঘাটে এসেছি অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার জন্য। এসে দেখছি লঞ্চ চলাচল বন্ধ।’ বরিশালগামী সবেকুন্নাহার বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে ঘাটে এসে বিপদে পড়েছি। এখন লঞ্চ ছাড়ার অপেক্ষায় আছি।’
এদিকে দুপুর ৩টার দিকে ধর্মঘটকে অবৈধ দাবি করে পল্টুন ও টার্মিনাল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে ঘাট শ্রমিকরা। এ সময় তারা ‘অবৈধ ধর্মঘট মানি না, মানবো না' স্লোগান দেয়। এ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া ঘাট শ্রমিকদের নেতা মো. ফিরোজ বলেন, ‘যাত্রীদের জিম্মি করে যে ধর্মঘট চলছে তা অবৈধ। মানুষ ঘাটে এসে ভোগান্তিতে পড়ছে, ঘাট শ্রমিকদের রোজগার বন্ধ। আমরা এই অবৈধ ধর্মঘট তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
সদরঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. পাবেল মিয়া বলেন, ‘সারাদিন ঘাটের পরিস্থিতি শান্ত ছিল। বেশকিছু লঞ্চ ছেড়ে গেছে। মানুষের উপস্থিতি কম ছিল।’ এখানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।