X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

রিজার্ভ থেকে ঋণ নেওয়া যায় কিনা ভাবতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৬ জুলাই ২০২০, ১৮:৫৩আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২০, ১৯:৪৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা) তিন মাসের আমদানি খরচ হাতে রেখে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ নেওয়ার কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্টদের বিষয়টির প্রভাব ও সম্ভাবনা যাচাই-বাছাই করে দেখতে বলেছেন তিনি। দেশে বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা সর্বকালের রেকর্ড।

সোমবার (৬ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এমন প্রস্তাব দিয়েছেন বলে একনেক সভা শেষে তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, ‘এটা তার অর্ডার নয়। তিনি একটা আইডিয়া তুলে ধরেছেন আলোচনার জন্য। আলোচনা-পর্যালোচনা এবং বিচার-বিশ্লেষণ শেষে আমরা সিদ্ধান্তে আসবো।’

প্রধানমন্ত্রীর আজকের প্রস্তাব তুলে ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৬ বিলিয়ন ডলার। সর্বকালের রেকর্ড এটা। একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিদেশ থেকে ডলারে ঋণ নিই। আমরা নিজেদের টাকা তো নিজেরাই ঋণ দিতে পারি। সরকার নিজেই ঋণ নিতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের পক্ষে, জনগণের পক্ষে এই টাকা সংরক্ষণ করে। রিজার্ভ তাদের আয়ত্তেই আছে। ওখান থেকে আমরা প্রকল্পের জন্য ঋণ নিতে পারি।’ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একনেক বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা)

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা হলো, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চিন্তাভাবনা করে খুঁটিনাটি দেখবে। অর্থনৈতিক প্রভাব কী হতে পারে। যেমন প্রধানমন্ত্রীর ধারণা, সাধারণত তিন মাসের আমদানি ব্যয় হাতে রাখা নিরাপদ। তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ বিদেশি টাকা যদি হাতে থাকে, তাহলে স্বস্তিদায়ক মনে করা হয়। সুতরাং তিনি মনে করেন যে আমদানি ব্যয়ের যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ হাতে রিজার্ভ রেখে বাকিটা অভ্যন্তরীণ নিজেদের অর্থে নিজেরাই ঋণ নিতে পারি এবং তুলে দিতে পারি।’

রিজার্ভ আমাদের একমাত্র ব্যাকআপ, রিজার্ভ থেকে প্রকল্পের জন্য ঋণ নেওয়াটাকে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে আপনি যৌক্তিক মনে করেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ‘আমি সমর্থন করি দুটো কারণে। একটা হলো, আমাদের নিজস্ব টাকা ডান হাত থেকে বাম হাতে আনলাম। আবার ডান হাতে ফেরত দেবো। এটা আগে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ফেরত যায়। এটা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

আর দ্বিতীয়তটি হলো, বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক শর্ত থাকে, এটা-সেটা থাকে, সেগুলো মানতে হয়। মানতে গিয়ে ব্যয় বেড়ে যায়। ঋণচুক্তি সই করার পরে প্রক্রিয়া করতে অনেক সময় দেখা যায়, এক থেকে দেড় বছর পার হয়ে যায়। তখন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। ডলারের মান বেড়ে যায়, টাকার মান কমে যায়। আমাদের নিজেদের টাকা হলে নিজেরাই খরচ করবো। ভয়ের কারণটা হলো যে ডলারটা দেবো, তা ফেরত আসতে হবে। এখানে যদি ওই ধরনের কোনও ভীতি থাকে, যেটা ব্যাংকে আমাদের নন-পারফর্মিং (ঋণখেলাপি) ঋণের ক্ষেত্রে দেখেন। তাহলে আমি হাত দেবো না। ওটা নিশ্চিত হয়ে আমি ঋণ করতে রাজি আছি। আমি মনে করি, এটা সম্ভব।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবটি গুরুত্বপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী। আল্টিমেটলি জনগণের সঞ্চয় জনগণ ব্যয় করবে তাদের কল্যাণে। এজন্য নিয়ম-কানুন, নীতিমালা, চিন্তাভাবনা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আমাদের অন্যান্য যেসব অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভাগ আছে, তারা ঠিক করবে। আমরাও পরিকল্পনা বিভাগ থেকে অবশ্যই সহায়তা দেবো। এটা একটা যুগান্তকারী প্রস্তাব এসেছে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।’

/এসআই/এফএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সংসদ অধিবেশন শুরু, চলবে ৯ মে পর্যন্ত
সংসদ অধিবেশন শুরু, চলবে ৯ মে পর্যন্ত
মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা
গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
পরপর দুবার কমলো এলপিজির দাম
পরপর দুবার কমলো এলপিজির দাম
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে