X
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
১৫ আষাঢ় ১৪৩২

রাশেদ চৌধুরীর মামলা: আদেশে যা বললেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল

শেখ শাহরিয়ার জামান
২৬ জুলাই ২০২০, ১০:০০আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২০, ১০:৪৬

বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী (ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূত। বিপদ আঁচ করতে পেরে ব্রাজিল থেকে পালিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ২০০৪ সালের ৩১ মার্চ সান ফ্রানসিস্কো ইমিগ্রেশন জাজ তার প্রার্থনা মঞ্জুর করার পরে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বিরুদ্ধে আপিল করে। দুই বছর আইনি লড়াইয়ের পরে ২০০৬ সালের ২৯ মার্চ আপিলে রাশেদ চৌধুরীর পক্ষে রায় দেওয়া হয়। 

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসার পরে রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেন-দরবার শুরু হয়। স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হওয়ার পরে দীর্ঘ ১৫ বছর পরে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। নিয়ম অনুযায়ী তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনমন্ত্রী। 

উইলিয়াম বার ১৭ জুন এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলকে রাশেদ চৌধুরী মামলাটি তার কাছে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠাতে বলেছে এবং এ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র চেয়েছেন। মামলাটি পুনর্বিবেচনার জন্য এর সঙ্গে জড়িত সব পক্ষ এবং অন্যান্য বিজ্ঞ আইনজীবী (এমিকি কিউরি) এর কাছে মতামত চেয়েছেন উইলিয়াম। ১৭ জুন আদেশে এজন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীতে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এটি বর্ধিত করেন। ৮ জুলাই নতুন এক আদেশে বলা হয় জড়িত পক্ষগুলো ১৫,০০০ শব্দের মধ্যে তাদের বক্তব্য জমা দেবে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিজ্ঞ আইনজীবীদের ৯,০০০ শব্দের মধ্যে মতামত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া জড়িত পক্ষ যদি মনে করে ২৯ সেপ্টেম্বর বাড়তি তথ্য সম্বলিত একটি মতামত জমা দিতে পারবে কিন্তু তার শব্দসীমা হবে ৬,০০০। 

অ্যাটর্নি জেনারেল আদেশে যা বলেছেন

উইলিয়াম বার চারটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সবপক্ষকে মতামত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি প্রথমে সবার কাছে জানতে চেয়েছেন, দীর্ঘ সময় পরে এই মামলাটি পুনর্বিবেচনা করার কারণে বিবাদির পক্ষে এটি ডিফেন্স করতে অসুবিধা হবে কিনা অথবা অন্য কোনও কারণে এটি পুনর্বিবেচনা করতে অসুবিধা আছে কিনা। 

পরবর্তী যে তিনটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন সেটি হচ্ছে রাশেদ চৌধুরীর পক্ষে যে রায় দেওয়া হয়েছিল সেটির যথার্থতা সম্পর্কে।  

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্ষমতা আছে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার পরেও যুক্তিযুক্ত কারণ সাপেক্ষে সেটিকে বাতিল করার। 

পরবর্তী কর্মপন্থা

এ বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক সূত্র বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছে। একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সঠিক পথেই আছি। আমরা আশা করি অ্যাটর্নি জেনারেল বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বিবেচনা করবেন।’

রাশেদ চৌধুরীর ফেরত আসার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে বিষয়টি নির্ধারিত হবে।’

/এসএসজেড/এসটি/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অটোরিকশা ধাক্কা দেওয়ায় প্রাইভেটকার থেকে নেমে গুলি ছুড়লেন যুবক
অটোরিকশা ধাক্কা দেওয়ায় প্রাইভেটকার থেকে নেমে গুলি ছুড়লেন যুবক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নতুন করে নির্দেশনা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নতুন করে নির্দেশনা
পাকিস্তানের জন্য ৩৪০ কোটি ডলার বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন করেছে চীন
পাকিস্তানের জন্য ৩৪০ কোটি ডলার বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন করেছে চীন
প্রথমার্ধেই বাহরাইনের জালে বাংলাদেশের ৫ গোল
প্রথমার্ধেই বাহরাইনের জালে বাংলাদেশের ৫ গোল
সর্বাধিক পঠিত
‘সরকার দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে আন্দোলন ঘোষণা করবো’
‘সরকার দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে আন্দোলন ঘোষণা করবো’
সরকারি গাড়িতে দাওয়াতে গেলো ইউএনও’র পরিবার
সরকারি গাড়িতে দাওয়াতে গেলো ইউএনও’র পরিবার
মুরাদনগরে গলায় ছুরি ধরে নারীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
মুরাদনগরে গলায় ছুরি ধরে নারীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
‘সবাইকে ম্যানেজ করা আছে, দুদক কিংবা কেউ কিছুই করতে পারবে না’
মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীর নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ উপপরিচালকের‘সবাইকে ম্যানেজ করা আছে, দুদক কিংবা কেউ কিছুই করতে পারবে না’
খুলনা প্রেসক্লাবে কী ঘটেছে, জানালেন প্রেস সচিব
খুলনা প্রেসক্লাবে কী ঘটেছে, জানালেন প্রেস সচিব