X
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
২২ আষাঢ় ১৪৩২

‘বিস্ফোরণে সব বিল্ডিংয়ের কাচ ও অ্যালুমিনিয়ামের স্ট্রাকচারগুলো ভেঙে পড়তে থাকে’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৬ আগস্ট ২০২০, ০০:৩৮আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২০, ০৩:৩৮

সুজন হোসেন মঙ্গলবারও (৪ আগস্ট) দুজন একইসঙ্গে এক রুমে ছিলেন, কথা হয়েছে কিন্তু সন্ধ্যায় জোড়া বিস্ফোরণে মেহেদি হাসান নিহত হন। সাক্ষী হিসাবে বেঁচে গেছেন সুজন হোসেন। বাবা ও মার সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় বিস্ফোরণে মারা যান মেহেদি।

সুজন ও মেহেদি বৈরুতের বাইরে আশরাফিয়া অঞ্চলে অনেক দিন ধরে বাস করলেও গত তিনমাস ধরে একই রুমে থাকতেন।  পাঁচ বছর আগে লেবাননে যাওয়া সুজন বলেন, ‘মেহেদি আমার এক বছর আগে এখানে এসেছে। আমি অনেকদিন ধরে তাকে চিনলেও সখ্যতা গভীর হয় গত তিন মাস ধরে।’

জুস তৈরির কোম্পানিতে কাজ করা সুজন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বিকালে যখন আমি কাজে যাচ্ছিলাম তখন প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এর কয়েক সেকেন্ড পরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পর সব বিল্ডিংয়ে কাঁচ ও অ্যালুমিনিয়ামের স্ট্রাকচারগুলো রাস্তায় ভেঙে পড়তে থাকে। আমি দ্রুত একটি বিল্ডিংয়ের সানসেটের নিচে শেল্টার নেই।

ধ্বংসযজ্ঞ থামলে আতঙ্কে হতভম্ব হয়ে যাওয়া সুজন রওয়ান হন মেহেদি যে সুপার শপে কাজ করতো সেদিকে। সুজন বলেন,  ‘মেহেদির সঙ্গে তার চাচাত ভাইও কাজ করতো। সেখানে পৌঁছানোর পরে জানতে পারি বিস্ফোরণের পর সবাই সুপার শপ থেকে বের হয়ে আসতে পারলেও মেহেদি বের হয়ে আসতে পারেনি। ভবনের গ্লাস ও স্ট্রাকচার তার ওপর এসে পড়ে।’

নিহত মেহেদি হাসান

তিনি বলেন,  ‘স্পটেই অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছিল মেহেদির। অনেকে ধারণা করছিল সে মারা গেছে কিন্তু আমরা সবাই চেষ্টা করছিলাম। কিছুক্ষণের ভেতরে অ্যাম্বুলেন্স চলে আসে এবং মেহেদিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে যাওয়ার পরে জানতে পারি আমার রুমমেট মারা গেছে।’ বর্তমান অবস্থা কি জানতে চাইলে, সুজন বলেন,  ‘যদি পারতাম তবে উড়াল দিয়ে দেশে চলে যেতাম।’

বাংলাদেশিরা আতঙ্কিত জানিয়ে সুজন বলেন, আমাদের এখন একটাই চাওয়া যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত যাওয়া।

লেবাননের আর্থিক অবস্থা ভালো না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দূতাবাসকে জানিয়েছি বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে আমাদের যেন নিয়ে যায়। দূতাবাস এ বিষয়ে সহায়তা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে অনেকে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছে এবং আমরা আশা করি সরকার দ্রুততার সঙ্গে একটি ব্যবস্থা করবে।

 

/এসএসজেড/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিশেষ অভিযানে সারা দেশে গ্রেফতার ১৪৫৪
বিশেষ অভিযানে সারা দেশে গ্রেফতার ১৪৫৪
ট্রাম্পের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনালাপকে সবচেয়ে ফলপ্রসূ বললেন জেলেনস্কি
ট্রাম্পের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনালাপকে সবচেয়ে ফলপ্রসূ বললেন জেলেনস্কি
গ্লোবাল সুপার লিগে দুবাইয়ের সাকিব
গ্লোবাল সুপার লিগে দুবাইয়ের সাকিব
‘ধর্ষণের’ পর লোকলজ্জার ভয়ে কিশোরীর বিষপানে আত্মহত্যা
‘ধর্ষণের’ পর লোকলজ্জার ভয়ে কিশোরীর বিষপানে আত্মহত্যা
সর্বাধিক পঠিত
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
আসছে নতুন কারিকুলাম: ফ্রেমওয়ার্ক ডিসেম্বরে, ‘বড় পরিসরে’ থাকবে জুলাই
আসছে নতুন কারিকুলাম: ফ্রেমওয়ার্ক ডিসেম্বরে, ‘বড় পরিসরে’ থাকবে জুলাই
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল