X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে মিয়ানমার

শেখ শাহরিয়ার জামান
২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০২:৩০আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০২:৩৩

মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবির পাহারা (ফাইল ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি) রাখাইনকে আবারও অশান্ত করে তুলছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। যা এ অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের পরে রাখাইনে আরাকানিদের বিরুদ্ধে অপারেশন শুরু করেছে মিয়ানমার বাহিনী। গত কয়েক মাসে অন্তত ২০টি গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। এক লাখেও বেশি আরাকানি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী গৃহহারা হয়েছে। মিয়ানমারে আগামী নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ পরিস্থিতিতে রাখাইন অশান্ত হলে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলো এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরেও সমস্যা আরও প্রকট হবে।
এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ফেলো মোহাম্মাদ শহীদুল হক বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এরফলে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে এখন গণতন্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংসলীলা চালানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন দমন-পীড়ন করে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশকে তারা বলপূর্বক বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়। ফলে সেখানে শূন্যস্থান দখল করে আরাকানিরা।তিনি বলেন,  ‘এখন মিয়ানমার বাহিনী আরাকানিদের বিরুদ্ধে অপারেশন চালাচ্ছে যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করবে।’
মিয়ানমার বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল আরাকানি ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করা। এ কারণে তারা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে বিতাড়ন করে কিন্তু এটি একটি ভয়ংকর কৌশল কারণ এর ফলে ওই এলাকার অর্থনীতি ও রাজনীতি উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, রাখাইনে ধান চাষ, মাছ উৎপাদনসহ আরও কৃষিকাজ রোহিঙ্গারা করতো কিন্তু এখন এই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড না থাকার কারণে মিয়ানমার অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘকে আরও বেশি তৎপর হওয়ার আহবান জানিয়ে সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জাতিসংঘকে আরও বেশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি হতে হবে।’
মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের দুটি সংস্থা চুক্তি করেও রাখাইনে পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারছে না জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে এ জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ বা বিবৃতি বা অন্য ধরনের কার্যক্রম নেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক এই ডিফেন্স এটাশে বলেন, ‘রাখাইনে এখন অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে সেখানে অবস্থিত আরাকানি অর্থাৎ বৌদ্ধরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘তারা যদি বাংলাদেশে পালিয়ে আসে তবে এখানে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের জাতিগত দাঙ্গা হওয়ার আশঙ্কা আছে। কারণ ২০১২ ও ২০১৭ সালে আরাকানিরা রোহিঙ্গাদের অত্যাচার করেছে।’ নতুনভাবে মিয়ানমারের মানুষ বাংলাদেশে আসলে এটি নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হবে বলে তিনি মনে করেন।



/এমআর/আপ-এনএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে সরব ইউরোপ
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে সরব ইউরোপ
মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব
মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোটের প্রচারণায় সরকারি কর্মচারী
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোটের প্রচারণায় সরকারি কর্মচারী
১৩৯ উপজেলায় ভোট বুধবার, কেন্দ্রে গেলো সরঞ্জাম
১৩৯ উপজেলায় ভোট বুধবার, কেন্দ্রে গেলো সরঞ্জাম
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা