X
শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুর বাণীর জবাবে ইন্দিরা

উদিসা ইসলাম
০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:০০আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:০০

দৈনিক বাংলা, ২ ডিসেম্বর ১৯৭২

(বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকারি কর্মকাণ্ড ও তার শাসনামল নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বাংলা ট্রিবিউন। আজ পড়ুন ওই বছরের ১ ডিসেম্বরের  ঘটনা।)

১৯৭২ সালের ২ ডিসেম্বরের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মনে করেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আদর্শ হয়ে থাকবে। গত ১৯ নভেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তার জবাবে শ্রীমতি গান্ধী আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে তা প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদর্শ হয়ে থাকবে।

শ্রীমতি গান্ধী আরও আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সব বাধা অতিক্রম করে নিরাপত্তার সঙ্গে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক দীর্ঘতর হওয়ার কামনা করেন তিনি। এর আগে ১৯ নভেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে তাকে ব্যক্তিগতভাবে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে তার কাছে একটি বাণী পাঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাসসের খবরে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব গাঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বাণীতে লেখা— ‘আপনার শুভ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনার গতিশীল ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বাধীন ভারতের শান্তি ও উন্নয়নের পথে দীর্ঘ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোনও চিত্র রচনায় আপনার ব্যক্তিগত ঐতিহাসিক অবদান রয়েছে। এ বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী হোক।’

দৈনিক বাংলা, ২ ডিসেম্বর ১৯৭২ এদিকে পত্রিকায় জানানো হয়, ১৯৭২ সালে প্রথম  বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর সাধারণ ছুটি। সরকার বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বরকে সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করে। সরকার আরও সিদ্ধান্ত নেয় যে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর নবান্ন উপলক্ষে ছুটি থাকবে না।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি প্রশ্নে কোনও পূর্ব শর্ত নেই

সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের ওপর গৃহীত প্রস্তাব দুটি পরস্পর নির্ভরশীল কিনা, তা নিয়ে পরিষদে নানা রকম ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ পরিষদের সভাপতির বক্তব্যে শুধু মতামতের পরস্পর নির্ভরশীলতার কথাই বলেছেন, ‘প্রস্তাবের’ নয়। এই দিকটি ছিল একটি আলোচনার বিষয়বস্তু। সাধারণ পরিষদের বিতর্কের আগে তা আলোচিত হয়। যুগোস্লাভিয়া অন্তর্ভুক্তি প্রস্তাবটির প্রস্তুতির মধ্যে কোনও যোগসূত্র রাখতে চায়নি। তারা মূল প্রস্তাবটিকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য শর্ত আরোপ করার পাকিস্তানি প্রচেষ্টাকে সাফল্যজনকভাবে প্রতিহত করে।

দৈনিক বাংলা, ২ ডিসেম্বর ১৯৭২

সভাপতির বক্তব্যে এই ভাষাকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছিল। পাকিস্তান চেয়েছিল, সভাপতিকে এই পয়েন্টে একটি সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখতে হবে যে, প্রস্তাব দুটি পরস্পর নির্ভরশীল—একটি অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত ও অপরটি বন্দিমুক্তি সংক্রান্ত।

ভারতের খোলা বাজারে বাংলাদেশের রিলিফ

বাংলাদেশের ত্রাণসামগ্রী খোলাবাজারে বিক্রির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রাজ্যসভায় অনেক সদস্য সরকারের সমালোচনা করেন। পুনর্বাসন দফতর ও ভারতের রেডক্রস সোসাইটির দেওয়া বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য ত্রাণসামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এই মর্মে কিছু কিছু সংবাদ আসতে থাকে। সে সময় এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা। তবে এ ধরনের আরও কিছু অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানান ত্রাণসামগ্রী।

উপকূলে বঙ্গবন্ধু  

সার্বিক পরিস্থিতি নিজের নখদর্পণে রাখতে বঙ্গবন্ধু উপকূলীয় বাঁধ প্রকল্প ও বনাঞ্চল সংরক্ষণের ব্যবস্থা পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনের দ্বিতীয় দিনে পাইকগাছা থেকে বঙ্গবন্ধু সুন্দরবনে পৌঁছান। তাঁর এই সফর নিয়ে বিরোধীপক্ষ নানা প্রপাগান্ডা তৈরির চেষ্টা করলেও তিনি এই পুরো সময়টা আক্ষরিক অর্থে উপকূলে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ, মৎস্য ও পশু পালন মন্ত্রী সোহরাব হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ তার সঙ্গে ছিলেন। এদিন রাত আটটায় বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী জলযানটি সুন্দরবনের নিকটবর্তী নদীতে দেখা যায়। পত্রিকার খবরে বলা হয়, সেখানেই বঙ্গবন্ধুর রাত যাপন করার কথা।

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
মুজিব বর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
ভূমিহীনমুক্ত হচ্ছে সাতক্ষীরার ৬ উপজেলা, প্রস্তুত ৩৬৪টি ঘর
‘প্রধানমন্ত্রীর উপহার বেঁচে থাকার সাহস জুগিয়েছে’
সর্বশেষ খবর
২ জুনের মধ্যে গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের তথ্য চূড়ান্ত করার নির্দেশ
২ জুনের মধ্যে গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের তথ্য চূড়ান্ত করার নির্দেশ
বাংলাদেশের আকাশে আধঘণ্টা চক্কর দিলো ভারতীয় ড্রোন
বাংলাদেশের আকাশে আধঘণ্টা চক্কর দিলো ভারতীয় ড্রোন
প্রায় ৫০০ অভিনয়শিল্পী এক নাটকে!
প্রায় ৫০০ অভিনয়শিল্পী এক নাটকে!
জাল দলিলে ছাত্রাবাস ও হাসপাতালের সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ
জাল দলিলে ছাত্রাবাস ও হাসপাতালের সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ
সর্বাধিক পঠিত
ভুয়া কাগজপত্রে আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা, ইমিগ্রেশনে ধরা বিমানের কেবিন ক্রু
ভুয়া কাগজপত্রে আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা, ইমিগ্রেশনে ধরা বিমানের কেবিন ক্রু
ইসলামী ধারার ব্যাংক একীভূতকরণে এনবিএল থাকছে না: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ইসলামী ধারার ব্যাংক একীভূতকরণে এনবিএল থাকছে না: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেত্রীকে  রাস্তায় ফেলে মারধর
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেত্রীকে  রাস্তায় ফেলে মারধর
গ্রিন রোডে নারীকে শারীরিক হেনস্তা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ
গ্রিন রোডে নারীকে শারীরিক হেনস্তা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ
দেশ ছাড়া নিয়ে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে: ফারুক আহমেদ
দেশ ছাড়া নিয়ে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে: ফারুক আহমেদ