(বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর সরকারি কর্মকাণ্ড ও তার শাসনামল নিয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বাংলা ট্রিবিউন। আজ পড়ুন ১৯৭৩ সালের ২৯ মে’র ঘটনা।)
১৫ হাজার বাঙালি নারী ও শিশুকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংক্রান্ত হাইকমিশনার সদরুদ্দিন আগা খান ঢাকায় যে আলাপ-আলোচনা চালান, তা ফলপ্রসূ হয়েছে। এদিন (২৯ মে) বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। এনার খবরে প্রকাশ, সরকারি মহল এই আলোচনাকে ফলপ্রসূ ও সন্তোষজনক বলে বর্ণনা করেছেন। তবে ওই বাঙালিদের কবে নাগাদ ফিরিয়ে আনা হবে, তা বলতে অস্বীকার করেন। প্রিন্স সদরুদ্দিন আগা খান পাকিস্তান থেকে ঢাকায় আসেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে আলোচনাও করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মঙ্গলবার (২৯ মে) পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সদরুদ্দিন আগা খান এদিন রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ও কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ১৫ হাজার বাঙালি নারী ও শিশুকে জাহাজযোগে করাচি থেকে চট্টগ্রামের নিয়ে আসার ব্যাপারে জাতিসংঘের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গত ২৯ মার্চ যে বাণী পাঠান, তার পরিপ্রেক্ষিতে সদরুদ্দিন ঢাকায় আসেন।
বিডিআর কমান্ডের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু
সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ১৯৭৩ সালের এদিন সকালে গণভবনে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সেক্টর কমান্ডারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কথা বলেন। বাসসের খবরে বলা হয়, গণভবনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মালেক উকিল এবং অন্যান্য পদস্থ অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বিডিআরকে চোরাচালানকারীদের ওপর আরও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে এবং তাদের তৎপরতার বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে সক্রিয় হতে বলেন।
ভুট্টোকে হত্যা করতে চেয়েছিল?
পাকিস্তানের পশ্চিম পাঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘সেনাবাহিনীর তৎপরতায় যুক্ত সামরিক অফিসাররা প্রেসিডেন্ট ভুট্টোসহ চার জন প্রাদেশিক গভর্নর এবং সেনাবাহিনীর জেনারেলদের একসঙ্গে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। চার জন সামরিক অফিসারের রিট আবেদনের শুনানির সময় আবেদন নাকচ করার দাবি জানিয়ে লাহোর হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট বদরুজ্জামান তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ঢাকাকে মিসরের স্বীকৃতিদানের সিদ্ধান্ত
মিসর সরকার বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে খুব শিগগিরই একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রদান করা হবে বলে এদিন সংবাদ প্রকাশ হয়। কায়রো থেকে ঢাকায় প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, মিসর সরকার একজন দূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। তার নাম ঘোষণা করা হবে। তারা এখনও বাংলাদেশের স্বীকৃতি না দিলেও দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
খবরে বলা হয়, আরব দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। কায়রো থেকে খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রতিনিধি আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বেশ কয়েকটি আরব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে তার আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।