জাতিসংঘ সদর দফতরের দুই জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার উপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভাসানচরে রোহিঙ্গারা কেন বিক্ষোভ করলো, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা তদন্তের অনুরোধ করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১ জুন) সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘যেটি ঘটে গেছে, সেটি একটু বেশি হয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার ফর প্রটেকশন গিলিয়ান ট্রিগস ও অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার ফর অপারেশনস রাউফ মাজুও সোমবার (৩১ মে) ভাসানচর পরিদর্শনে গেলে কয়েকশ’ রোহিঙ্গা তাদের সামনে বিক্ষোভ করেন। একইসঙ্গে তারা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন, যা সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়াসহ দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বিদেশের কিছু সংবাদ মাধ্যম এবং আমাদের কিছু পত্রিকায় যেভাবে এসেছে, ব্যাপারটাকে সেভাবে না দেখাটাই বোধহয় ভালো হবে।’
এর আগেও বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের টিম ভাসানচরে গিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ তখন আমি নিজেও গিয়েছিলাম। কিন্তু গতকালের ঘটনাটি কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল এবং অনভিপ্রেত।’
ভাসানচর ও কক্সবাজারের জীবন-যাপনে রোহিঙ্গারা পার্থক্য দেখতে পাচ্ছে জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বিশেষ করে জীবিকার বিষয়গুলো এখানে (ভাসানচরে) প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। অন্যান্য যেসব কার্যক্রম যেমন- টুকটাক ব্যবসা বা জীবিকার উপাদান এখানে নেই। এছাড়া কালো জীবিকা যেমন- মাদক চোরাচালান বা মানবপাচারের মতো ব্যবস্থা এখানে নেই। এসব কারণে তাদের মধ্যে কিছুটা অসহিষ্ণুতা আছে বলে মনে হয়।’