সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাতাগোষ্ঠী, করপোরেট প্রতিষ্ঠানসহ সবাই মিলে কাজ করলে যেকোনও দুর্যোগ যে সফলভাবে সামাল দেওয়া যায়—করোনা মহামারি মোকাবিলা করে বাংলাদেশ সেটার দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ ইয়ার বুক ২০২০’-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক একেএম মোর্শেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
মন্ত্রী বলেন, ‘সামনের দিনে করোনা আবার হানা দিলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা একইভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।’
‘কোভিড-১৯ ইয়ারবুক ২০২০’-এর সংক্ষিপ্তসার উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক ডা. মোর্শেদা চৌধুরী। তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য সংকটে জাতির জরুরি প্রয়োজনে সাড়া দিতে গিয়ে আমাদের সম্মিলিত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার পাশাপাশি যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, তা-ও এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে। ব্র্যাক ও অন্যান্য সংস্থা ভবিষ্যতে এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় একে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে বিদ্যমান আস্থা সত্যিই আশাব্যাঞ্জক। এই পার্টনারশিপ আগামীতেও দুর্যোগ মোকাবিলায় সৃদৃঢ়ভাবে কাজ করবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার জানান, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার, ব্র্যাক এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে মার্কিন সরকার কাজ করতে পেরে গর্বিত।
দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ব্র্যাকের ভূমিকাকে অনুকরণীয় বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার জেরেমি ব্রুর।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান বলেন, যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে উত্তরণের পথ বাতলে দিতে। এমনটাই হয়েছে করোনা মোকাবেলায়।
এনজিও ব্যুরোর পরিচালক ড. মো. আশফাকুল ইসলাম বাবলু বলেন, মহামারিতে তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিতে এই ঐক্যকে আরও জোরদার করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাভেদ আখতার, গ্রামীণফোনের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা জেমস বেকার, কানাডিয়ান হাইকমিশনের সিনিয়র ডেভেলপমেন্ট অফিসার জো লন্ড্রি ও যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)-এর ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জুডিথ হার্বাটসন।