পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, মাছ, পশু, পাখি, ফল, গাছ, ঘাস, লতা-পাতা নিয়ে আপনারা গবেষণা করেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সব বিষয়ে গবেষণা করতে বলেছেন। গবেষণার জন্য আমরা টাকা নিয়ে বসে আছি, চাইলেই পাবেন। তবে আমাদের কিছু ধাপ আছে, এগুলো পার হয়ে গবেষণার জন্য টাকা নিতে হবে।
রবিবার (১৫ মে) নগরীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মডার্ন কমার্শিয়াল প্রডাকশন অব সিবাস, প্রসপেক্টাস ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড শেয়ারিং অব লেসন ফর্ম রিজিওনাল বেস্ট প্র্যাকটিস’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে ভেটকি চাষের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার অধ্যাপক আজিজ আহমেদ ও থাইল্যান্ডের মৎস্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক সোমবন লাওপ্রাসির্ট।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ভেটকি মাছ পুষ্টি, স্বাদ ও উচ্চমূল্যের জন্য চাষিদের কাছে আকর্ষণীয়। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভেটকি চাষের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের গবেষণা দরকার। কীভাবে এটাকে মিঠা পানিতে চাষ করা যায় সে গবেষণা করতে হবে। নিয়মিত গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ভোগ ও ব্যয়ের জন্য চারদিকে খবর রাখতে হবে। আমরা পোশাক রফতানিতে আকাশে ওঠে গেছি। এটার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অন্যদিকেও নজর দিতে হবে। মাছ চাষ করেও বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। মাছে-ভাতে বাঙালি। আরও বেশি করে মাছের চাষ করতে হবে। শুধু পুকুর বা খাল নয়, মাছ আহরণে বঙ্গোপসাগরেও নজর রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, লবণাক্ত পানির স্বল্পতাও রয়েছে। ভেটকি মাছের প্রজনন এবং দ্রুত বৃদ্ধির জন্য লবণাক্ত পানি অত্যাবশ্যক। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মৎস্য বিজ্ঞানীরা আরও বেশি বেশি গবেষণা করবেন। গবেষণার জন্য টাকার অভাব হবে না।